মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّـهَارَ اٰيَتَيْنِ. فَمَحَوْنَا اٰيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا اٰيَةَ النَّـهَارِ مُبْصِرَةً لّتَـبْتَغُوا فَضْلًا مّن رَّبّكُمْ وَلِتَعْلَمُوا عَدَدَ السّنِينَ وَالْـحِسَابَ. وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَـفْصِيلًا
অর্থ: “আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিষ্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি, যাতে তোমরা তোমাদের মহান রব তায়ালা উনার মুবারক অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা জানতে পারো বছরসমূহের গণনা ও হিসাব এবং আমি সব বিষয়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। ” (পবিত্র সূরা বনী ইসরা বাকি অংশ পড়ুন...
৭) হিলালের অস্ত যাওয়ার গতিপথ:
বিষুবরেখায় অবস্থিত স্থানসমূহে সূর্য সোজাভাবে উদয় হয় এবং অস্ত যায়।
ফলে এ সকল স্থানে সন্ধ্যার সময়কাল প্রায় ১ ঘণ্টা সময়ব্যাপী থাকে। কিন্তু উত্তর-দক্ষিণ অক্ষাংশের স্থানসমূহে সূর্যাস্তের সময় কিছুটা হেলে থাকে অর্থাৎ সূর্য বাঁকাভাবে অস্ত যেতে থাকে বলে দিগন্তের নিচে ১৮ক্ক পরিমাণ অস্ত যেতে সূর্যের অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং সে কারণে সন্ধ্যার সময়কাল বৃদ্ধি পায়।
সূর্যাস্তের পর আলোর এই বিকিরণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখার সময়ের তারতম্য ঘটে থাকে। দিগন্তের উজ্জলতার চেয়ে চাঁদের উজ্জলতা কম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করার নির্দেশ মুবারক রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে মাসের ২৯তম দিনে আকাশ মেঘলা থাকায় চাঁদ দেখা না যাওয়ার পরও সউদী ওহাবী সরকার আরবী মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ না করে পরের দিন থেকেই নতুন তারিখ গণনা শুরু করেছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ১৪২৯ হিজরী সনের পবিত্র সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম, রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৯তম দিনে সউদী আরবের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানা যায়। কিন্তু সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার সেদিন চাঁদ দেখার দাবি করে পরের দিন থেকে রবীউছ ছানী মা বাকি অংশ পড়ুন...
চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনার প্রমাণ:
২০০৩ খৃষ্টাব্দে (১৪২৩ হিজরী) থেকে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার নতুন বানানো একটি নিয়মে অর্থাৎ চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতিতে আরবী মাস গণনা করে যাচ্ছে।
তাদের উম্মুল কুরার প্রশাসনিক ওয়েব সাইটে পদ্ধতিটি বর্ণিত হয়েছে এভাবে যে-
১. যদি সূর্যাস্তের পূর্বে জিওসেন্ট্রিক অমাবস্যা সংঘটিত হয়,
২. আর সূর্যাস্তের পর চন্দ্রাস্ত হয়,
তাহলে পরের দিন থেকে নতুন মাসের প্রথম দিন শুরু হবে।
চিত্র-৪ : উম্মুল কুরার প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে বর্ণিত চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতির শর্তদ্বয়
লক্ষ্যণীয় যে, এ পদ্ধতিতেও খালি চোখে চাঁদ দেখাকে উ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পূর্বে উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করে কেবল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওমান ২৯তম দিন শেষে চাঁদ তালাশের আয়োজন করে থাকে। বাকি অন্যান্য দেশ সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন মনগড়া পদ্ধতিতে আরবী মাস গণনা করে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন দেশের মনগড়া পদ্ধতিগুলো ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো-
দেশ চাঁদ দেখার মনগড়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা
সউদী আরব ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী আরব এ পর্যন্ত ৪টি মনগড়া পদ্ধতি ব্যবহার করেছে :
১. প্রথম মনগড়া পদ্ধতি (১৯৫০-১৯৭২ ঈসায়ী) : সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার ৯০ উপরে অবস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আরবী মাসের ২৯তম দিনে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিব। অমাবস্যার পর চাঁদ যখন দেখা যাওয়ার আকৃতিতে আকাশে উদয় হয় তখন তাকে ইংরেজীতে ক্রিসেন্ট (Crescent) এবং বাংলায় বাঁকা চাঁদ বলে। এটিই হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে প্রথম চাঁদ, যাকে সম্মানিত ইসলামী পরিভাষায় ‘হিলাল’ বলে।
হিলাল বা বাঁকা চাঁদ কোন কোন চন্দ্রমাসে ২৯ দিন পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম দেখা যায়। আবার কোন কোন চন্দ্রমাসে ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর পশ্চিম আকাশে প্রথম দেখা যায়। পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী কোন চন্দ্রমাসে ২৯তম দিন শেষে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা ন বাকি অংশ পড়ুন...
চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে বেশ কিছু মাসয়ালা-মাসায়িল রয়েছে। তবে সকল আলোচনাই হচ্ছে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা এবং কোন মাসে কতজন দেখলে তা গ্রহণযোগ্য হবে সেসব প্রসঙ্গে। চাঁদের আলোচনায় কোন জটিলতা স্থান পায়নি। এর কারণ চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বা কেউ তা পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করতে পারে তা পূর্ববর্তী মানুষের অনুভূতিতেও জন্ম নেয়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো চাঁদের তারিখ একদিন হের-ফের করলেই মুসলমানদের অনেক আমল যেমন পবিত্র হজ্জ, পবিত্র ঈদ, বিশেষ দিন এবং রাত বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় ও দিক-নির্দেশনায় পরিচালিত ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ উনার সংবাদ অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৪৪৪ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গতকাল ২২ আশির (১৩৯০ শামসী), (২২ মার্চ খৃ.) দিবাগত সন্ধ্যায় ‘মাজলিসু রু’ইয়াতিল হিলাল’ উনার ক বাকি অংশ পড়ুন...
মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল বাংলাদেশ পবিত্র শাবান শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করেছে ২৯শে রজবুল হারাম শরীফ ১৪৪৪ হিজরি, ২৩ তাসি, ১৩৯০ শামসী (২১ ফেব্রুয়ারী, ছুলাছা, ২০২৩) মঙ্গলবার দিবাগত সন্ধ্যায় । আজ দিগন্তরেখার ১৪ ডিগ্রী ৪০ আর্ক মিনিট উপরে ছিল চাঁদের অবস্থান এবং চাঁদের বয়স ছিল ২৭ ঘণ্টার বেশী। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ছিল ৫ টা ৫৮ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ছিল ৭ টা ১০ মিনিটে অর্থাৎ ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট চাঁদ আকাশে অবস্থান করে অস্ত গেছে। চাঁদ ছিল ২৫৪ ডিগ্রী আযিমাতে এবং সূর্যের অবস্থান ছিল ২৫৮ ডিগ্রী আযিমাতে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ১৬ ডিগ্রীর কিছু বেশী কোণ বাকি অংশ পড়ুন...












