কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১২-১৩)
وقد قام الدليل على وجوب اعفاء اللحية وقص الشارب وهو ما رواه احمد والنسائى والترمذى وقال حديث صحيح عن زيد بن ارقم رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم من لـم ياخذ شاربه فليس منا- وعن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم جزوا الشوارب وارخوا اللحى خالفوا الـمجوس رواه احمد ومسلـم وعن ابن عمر رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلـم خالفوا الـمشركين وفروا اللحى واحفوا الشوارب (متفق عليه) زاد البخارى وكان ابن عمر رضى الله عنه اذا حج اواعتمر قبض على الحيته فما فضل اخذ- وكذا فى النيل الاوطار-১-১১১ والامر للوجوب كما تقرر فى الاصول= (تفسير احكام القران للشفيع ج১ صفه৬৫)
অর্থ বাকি অংশ পড়ুন...
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
মহান আল্লাহ পাক তিনি “পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ” উনার ৭৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَتْ تَعْمَلُ الْخَبَائِثَ - الخ-
অর্থ: আমি হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে অসৎকাজে লিপ্ত ক্বওম থেকে মুক্তি দিয়েছি। আর অসৎকাজে লিপ্ত ক্বওমকে ধ্বংস করে দিয়েছি।
“পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ” উনার উক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা বলেন-
(৮)
فقد اخرج اسحاق بن بشر والخطيب وابن عساكر عن الحسن قال رسول الله صلى ال বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি ও গোঁফে খেযাব ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ফায়সালা:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَضَبَ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغِ الْخِضَابَ كَانَ فِى لِحْيَتِهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ. قَالَ قُلْتُ لَهُ أَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَخْضِبُ قَالَ فَقَالَ نَعَمْ بِالْحِنَّاءِ وَالْكَتَمِ.
অর্থ: হযরত ইবনে শীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ ভিজা পানি পান করার হুকুম:
অনেকের ধারণা গোঁফ বা মোঁছ ভিজা পানি পান করা মাকরূহ বা নিষেধ, যার কারণে অনেকে মোঁছ সম্পূর্ণ চেছে ফেলে। অথচ তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণই ভুল। কারণ শরীয়ত তথা ফিক্বাহ্র নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবেই এ ধরনের কথা উল্লেখ নেই। বরং মোঁছ ভিজা পানি পান করা সম্পূর্ণ জায়িয ও হালাল। তাছাড়া মোঁছ যতই চেছে ফেলা হোক না কেন তার চিহ্ন অবশ্যই কিছু না কিছু অবশিষ্ট থাকবে। কাজেই কোন অবস্থাতেই মোঁছ ভিজানো ছাড়া পানি পান করা সম্ভব নয়। অতএব, এরূপ ভুল ধারণা বা রসমের বশবর্তী হয়ে মোঁছ চেছে ফেলা জায়িয নয় বরং মোঁছ সম্পূর্ণ চেছে ফেল বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও আহকাম:
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে গোঁফ খাটো বা ছোট করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তার পরিমাণ কতটুকু? নিম্নে গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও তার আহকাম উল্লেখ করা হলো-
এ প্রসঙ্গে মিশকাত শরীফ উনার বিখ্যাত ফার্সী শরাহ আশয়াতুল লুময়াত, ১ম খ- ২২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের দশটি সুন্নতের মধ্যে একটি হলো- মোঁছ বা গোঁফ কাটা। উপরের ঠোঁটের উপরিভাগে যে লোম বা কেশ উঠে, উহাকে মোঁছ বা গোঁফ বলে।
গ্রহণযোগ্য বা মুখতার মত হলো- মোঁছ বা গোঁফ খাটো বা ছোট করে রাখবে, উহা বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও আহকাম:
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে গোঁফ খাটো বা ছোট করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তার পরিমাণ কতটুকু? নিম্নে গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও তার আহকাম উল্লেখ করা হলো-
এ প্রসঙ্গে মিশকাত শরীফ উনার বিখ্যাত ফার্সী শরাহ আশয়াতুল লুময়াত, ১ম খ- ২২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের দশটি সুন্নতের মধ্যে একটি হলো- মোঁছ বা গোঁফ কাটা। উপরের ঠোঁটের উপরিভাগে যে লোম বা কেশ উঠে, উহাকে মোঁছ বা গোঁফ বলে।
গ্রহণযোগ্য বা মুখতার মত হলো- মোঁছ বা গোঁফ খাটো বা ছোট করে রাখবে, উহা বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও আহকাম:
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে গোঁফ খাটো বা ছোট করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তার পরিমাণ কতটুকু? নিম্নে গোঁফ বা মোঁছের শরয়ী পরিমাপ ও তার আহকাম উল্লেখ করা হলো-
এ প্রসঙ্গে মিশকাত শরীফ উনার বিখ্যাত ফার্সী শরাহ আশয়াতুল লুময়াত, ১ম খ- ২২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের দশটি সুন্নতের মধ্যে একটি হলো- মোঁছ বা গোঁফ কাটা। উপরের ঠোঁটের উপরিভাগে যে লোম বা কেশ উঠে, উহাকে মোঁছ বা গোঁফ বলে।
গ্রহণযোগ্য বা মুখতার মত হলো- মোঁছ বা গোঁফ খাটো বা ছোট করে রাখবে, উহা বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফের দৃষ্টিতে গোঁফ বা মোঁছের আহকাম:
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহে গোঁফ বা মোঁছের ব্যাপারে যতগুলো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তার প্রত্যেকটির দ্বারাই গোঁফ ছেটে খাট বা ছোট করে রাখার নির্দেশ পাওয়া যায়। হলক্ব বা চেছে ফেলা নয়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- قَصُّ الشَّارِبِ মোঁছ কাটা حُدُّوا شَوَارِبَكُمْ তোমাদের মোঁছ ধর (খাট কর) اِنْهَكُوا الشَّوَارِبَ মোঁছ কাট جُزُّوا الشَّوَارِبَ মোঁছ ভালরুপে ছোট করো أَحْفُوا الشَّوَارِبَ মোঁছ অধিক খাট করো। উল্লেখিত হাদীছ শরীফের একটির দ্বারাও حلق الشَّارِبِ বা গোঁফ বা মোঁছ চেছে ফেলার প্রমাণ পাওয়া যায় না। বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফের দৃষ্টিতে গোঁফ বা মোঁছের আহকাম:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ أَخْذُ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحٰى، فَإِنَّ الْمَجُوسَ تُعْفِي شَوَارِبَهَا، وَتُحْفِي لِحَاهَا، فَخَالِفُوهُمْ، حُدُّوا شَوَارِبَكُمْ، وَاعْفُوا لِحَاكُمْ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, গোঁফ কাটা ও দাড়ি লম্বা রাখা ইসলামী বাকি অংশ পড়ুন...
একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কর্তন ও মু-নকারী ইমামের পিছনে নামায পড়ার হুকুম:
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। আর এক মুষ্ঠির কমে দাড়ি চাছা ও কাটা হারাম।
শরীয়ত উনার ফায়সালা হলো- যারা সর্বদা ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করে অথবা সর্বদা হারাম কাজে লিপ্ত, শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তারা ফাসিকের অর্ন্তভুক্ত। আর সর্বসম্মতিক্রমে ফাসেকের পিছনে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী।
অতএব, যারা দাড়ি এক মুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটে বা ছাটে, তারা ফরয তরক করা বা হারাম কাজে লিপ্ত থাকার কারণে ফাসেকের অন্তর্ভুক্ত। এরূপ ব বাকি অংশ পড়ুন...
নীম দাড়ির পরিচয় ও তার আহকাম:
নীচের ঠোট ও থুৎনীর মধ্যবর্তী ছোট ছোট দাড়িকে নীম দাড়ি বা বাচ্চা দাড়ি বলা হয়। অনেকে এ দাড়ির আহকাম না জানার কারণে তা কেটে ফেলে বা চেছে ফেলে। অথচ শরীয়তের হুকুম মোতাবেক উক্ত নীম দাড়ি ছাটা বা কাটাও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও মাকরূহে তাহরীমী।
এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহর বিখ্যাত কিতাব ফতওয়ায়ে আলমগীরীতে উল্লেখ আছে যে-
وَنَتْفُ الْفَنْبَكَيْنِ بِدْعَةٌ وَهُمَا جَانِبَا الْعَنْفَقَةِ وَهِيَ شَعْرُ الشَّفَةِ السُّفْلَى كَذَا فِي الْغَرَائِبِ وكذا فى الشامى
অর্থ: নীচের ঠোটের নিম্নবর্তী লোম বা কেশসমূহ ছাটা বা কাটা বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ অনুরূপ গারায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ির শরয়ী তা’রীফ বা পরিচয়:
পূর্বে উল্লেখিত বর্ণনার সার সংক্ষেপ হলো- যাক্বান, ইযার ও আরেজে যে লোমসমূহ উঠে উহাকে দাড়ি বলে। নিম্নে যাক্বান, ইযার ও আরেজ -এর লোগাতী বা আভিধানিক অর্থ তুলে ধরা হলো। যার কারণে বিষয়টি আরো সুস্পষ্টভাবে বুঝে আসবে যে, কোন স্থানসমূহের লোমসমূহ দাড়ির অন্তর্ভুক্ত।
اَلْعَارِضُ- صَفْحَةُ الْخَدَّيْنِ
অর্থ : আরেজ” অর্থ : গালের পার্শ্বদেশ
اَلْعِذَارُ= جَانِبُ اللِّحْيَةِ الشّعْرُ الَّذِي يُحَاذِي الْأذُنِ مَانَبَتَ عَلَيْهِ ذَالِكَ الشَّعْرُ
ইযার অর্থ : দাড়ির প্রান্ত কানের নিকটবর্তী স্থানের পশম, অর্থাৎ যে হাড়ের উপর উক্ত পশম উঠে।
اَلذَّقَنُ- بَمَعْنَى- تَهَوُّر বাকি অংশ পড়ুন...












