প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক শুরু করার আগেই তার গুনাহ্-খতাগুলো কি করা হয়?
উত্তর: মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক শুরু করার আগেই তার গুনাহ্-খতাগুলো মাফ করা হয়, তারপর তার দ্বারা মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক করানো হয়।’
প্রশ্ন: ان هذا اليوم يوم فرح وسرور এই বাক্য মুবারক উনার অর্থ কি?
উত্তর: “নিশ্চয়ই (মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের) এই দিন খুশি প্রকাশের এবং আনন্দের দিন।”
প্রশ্ন: মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের ব্যাপারে নূরে মুজা বাকি অংশ পড়ুন...
বহু সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ তারীখ উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(৩) আল ইমামুল আলাম, আল্লামা, ফক্বীহ হযরত শায়েক আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ বান্নীস ফাসী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ১১৬০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ১২১৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
واذا ثبت ان ليلة ولادته وصبيحتها افضل الليالى والايام فهو عيد وموسم
অর্থ: “আর যখন প্রমাণ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ পালনকারীগণ দায়িমীভাবে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তত্ত্বাবধানে থাকেন, উনার নজর-করম, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি, রহমত মুবারক উনার মধ্যে থাকেন:
বিশিষ্ট বুযূর্গী, মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী আরিফ বিল্লাহ হযরত শায়েখ ঈসা ইবনে হাসান ইবনে বাকরী ইবনে আহমদ বায়ানূনী শাফিয়ী নকশাবন্দী মুহম্মদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ : ১২৯০, বিছাল শরীফ : ১৩৬২ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وكُنتُ أَلفْتُ جمعيَّةً عام ( ۱۳ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: وَمَآ اَرْسَلْـنٰكَ اِلَّا رَحْـمَةً لِّـلْعٰلَمِيْـنَ সম্মানিত আয়াত শরীফ অর্থ কি?
উত্তর: “আর (আমার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমস্ত আলমের জন্য, তামাম সৃষ্টি সকলের জন্য মহাসম্মানিত রহমত মুবারক স্বরূপ প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি।”
প্রশ্ন: أن الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم نور فى القلوب وتكفير الذنوب ورحمة للأحياء والأموات
এই বাক্য মুবারক উনার অর্থ কি?
উত্তর: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
বহু সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ তারীখ উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(১) আল্লামা হযরত ইমাম আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবী বকর ইবনে আব্দুল মালিক কুস্ত¡লানী মিছরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৯২৩ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فرحم الله امرآ اتخذ ليالى شهر مولده المبارك أعياداঅর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার বাকি অংশ পড়ুন...
নফসের অনুসারী ব্যক্তি অশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কার্যকলাপের উপরই দৃঢ় থেকে তওবা করা ব্যতিত মারা যাওয়ার পরেও সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে জান্নাত লাভ এবং জান্নাতে অত্যন্ত সুখ-শান্তিতে অবস্থান :
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
ان امرأة كان لها ولد مسرف على نفسه وكانت تامره بالخير وتنهاه عن الفحشاء والمنكر وفى رواية اخرى وكانت تأمره بالتوبة فلم يفعل والقضاء والقدر غالبان عليه، فمات وهو مصر على ما كان عليه فحزنت عليه أمه حزنا شديدا حيث مات على غير توبة فتمنت أن تراه في المنام فرأته وهو يعذب فازدادت عليه حزنا فلما كان بعد مدة رأته وهو على هيئة حسنة في فرح وسرور فسألته عن حاله وقالت ياولدى إني رأيتك تعذب فبم نلت هذه المنزلة فقال يا أماه اجتاز বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদ দিমইয়াতী আশ শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত “ইয়ানাতুত ত্বলেবীন” কিতাবে বর্ণনা করেন-
أَنَّهٗ كَانَ فِيْ زَمَانِ الْـخَلِيْفَةِ عَبْدِ الْـمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ شَابٌّ حُسْنُ الصُّوْرَةِ فِي الشَّامِ، وَكَانَ يَلْهُوْ بِرُكُوْبِ الْـخَيْلِ فَبَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلٰى ظَهْرِ حِصَانِهٖ إِذْ أَجْفَلَ الْـحِصَانُ وَحَـمَلَهٗ فِيْ سِكَكِ الشَّامِ وَلَـمْ يَكُنْ لَّهٗ قُدْرَةٌ عَلٰى مَنْعِهٖ فَوَقَعَ طَرِيْقَهٗ عَلٰى بَابِ الْـخَلِيْفَةِ فَصَادَفَ وَلَدُهٗ وَلَـمْ يَقْدِرِ الْوَلَدُ عَلٰى رَدِّ الْـحِصَانِ فَصَدَمَهٗ بِالْفَرَسِ وَقَتَلَهٗ، فَوَصَلَ الْـخَبْرَ إِلَى الْـخَلِيْفَةِ فَأَمَرَ بِإِحْضَارِهٖ، فَلَمَّا أَنْ أُشْرِفَ إِلَي বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক যাঁরা করেন উনাদের জন্য স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করেন?
উত্তর: সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজা মুবারকসমূহ খুলে দেন।
প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক যাঁরা করেন উনাদের জন্য সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা কি করেন?
উত্তর: সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত অর্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ঈদের দিন তো অবশ্যই; শুধু তাই নয়; সেদিন রোযার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, জুমু‘আর ঈদসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে আরো যত ব বাকি অংশ পড়ুন...
নফসের অনুসারী ও নেশাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও একবার মাত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে জান্নাতে সুউচ্চ মাক্বাম লাভ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন
وقال بعض الصوفية كان لى جار مسرف على نفسه لا يعرف من سكره يومه من أمسه، وكنت أعظه فلا يقبل، وآمره بالتوبة فلا يفعل ؛ فلما مات رأيته في المنام في أرفع مقام ، وعليه من حلل الجنة لباس الإعزاز والاكرام فقلت له نلت هذه المنزلة والمقام؟، فقال حضرت يوما مجلس الذكر فسمعت المحدث يقول من صلى على النبى صلى الله عليه وسلم ورفع صوته وجبت له الجنة ثم رفع المحدث صوته بالصلا النبي صلى الله عليه وسلم ورفعت أنا صوتى معه ورفع القوم أصواتهم فغفر لنا جميعا في ذلك اليوم فكان نصيبى من المغفرة أن جاد على مولاى بهذه النعمة
অর্থ: “একজন ছূফী-আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের সময় একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে রাখবেন, তিনি কতশত শহীদের ফযীলত মুবারক লাভ করবেন?
উত্তর: যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের সময় একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে রাখবেন, তিনি একশত শহীদের ফযীলত মুবারক লাভ করবেন।
প্রশ্ন: কেউ যদি মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত পরিপূর্ণরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করেন, তাহলে তিনি কত কত শহীদের ছওয়াব লাভ করবেন?
উত্তর: কেউ যদি মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত পরিপূর্ণরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ :
প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
আর একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرُّ رَحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আ বাকি অংশ পড়ুন...












