খাছ সুন্নতী দস্তরখানার পরিচয় ও গুরুত্ব:
মুসলমান হিসেবে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা সর্বক্ষেত্রে ফরয। আর খাওয়ার সময় মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করতে হলে দস্তরখানার ব্যবহার একটি অপরিহার্য বিষয়। “দস্তরখানা” শব্দটি উর্দু ও ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত হয়। আরবীতে سُفْرٌ বা مَائِدَةٌ বা مَوَائِدُ বলা হয়। পরিভাষায়, চামড়ার যে বিশেষ বস্তুর উপর খাবার রেখে আহার করা হয় তাকে দস্তরখানা বলে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত আহার মুবারক করার সময় দস্তরখানা মুবারক ব্যবহার করতেন। নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই কাঠের প্লেটে করে খাবার মুবারক গ্রহণ করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! অর্থ্যাৎ খাবার খাওয়ার পাত্র হিসেবে কাঠের প্লেট ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
অবলুপ্ত হওয়া সুন্নতসমূহ পুনরায় জিন্দা করে জারি করার ব্যবস্থা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন রাজারবাগ শরীফ উনার সম্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا اِنَّهُ لَا يُـحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ
অর্থ: “তোমরা খাও এবং পান করো কিন্তু অপচয় করো না। তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩১)
চলাফেরা, উঠা-বসা, আহার করা, এক কথায় সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই অনুসরণ করতে হবে। তিনি যেসকল খাদ্য মুবারক গ্রহণ করেছেন, অথবা খাওয়ার জন্য উম্মতদেরকে নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন কিংবা খাওয়ার জন্য মহাসম্মানিত ইযাজত মুবারক দিয়েছেন তা সবই মূলত মহান আল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
তালবীনাহ
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তালবীনা খেতে আদেশ মুবারক করতেন এবং ইরশাদ মুবারক করতেন, এটি হল অপছন্দনীয়, তবে উপকারী। ” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বিব: বাবুত তালবীনাতি লিল মারীদ্ব: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৯০)
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি কোন রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তালবীনা খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
রুটি-গোশত একত্রে খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারকঃ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রুটি-গোশত পছন্দ মুবারক করতেন। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ رَبيعَة رحمة الله عليه انه سمع حَضْرَتْ القاسم بن محمد رحمة الله عَلَيْهِ يَقُولُ كَانَ في حَضْرَتْ بَرِيرَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْها ثَلاَثُ سُنَنٍ أَرَادَتْ حضرت أمُّ الْمُؤْمِنِينَ الثالثة الصديقة عليها السلام أَنْ تَشْتَرِيَهَا فَتُعْتِقَهَا فَقَالَ أَهْلُهَا وَلَنَا الْوَلاَءُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْ شِئْتِ شَرَطْتِيهِ لَهُمْ فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَق বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- ‘তোমরা জয়তুনের তেল খাও ও গায়ে মাখো। ’ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাঝেও জয়তুনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সুন্নতী জয়তুনের বহু উপকারিতার মধ্যে গবেষকরা এ তেলের বিশেষ কয়েক ধরণের উপকারিতার কথা জানাতে পেরেছে।
বরকতময় এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী বিষয়াদিসহ সকল প্রকার সুন্নতী সামগ্রী সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ গেট, ৫ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা- ১২১৭
ফোন: ০১৩০৩৪২৬৭৬৭, ০১৭১৭২১৯৫ বাকি অংশ পড়ুন...
সাধারণভাবে বিভিন্ন শস্যদানাকে পেষণ করে যে গুড়া/আটা পাওয়া যায়, তা থেকে রুটি তৈরী করা হয়। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যবের রুটিই বেশিরভাগ সময় গ্রহণ করেছেন।
(خبز الشعير) খুবযুশ শা’য়ীর অর্থাৎ যবের রুটি:
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ إِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ يَبِيتُ اللَّيَالِي الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا وَأَهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ الْعَشَاءَ وكان أكثرهم خبزهم خبز الشعير.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘জয়তুন ফল’ বিষয়ে সরাসরি ইরশাদ মুবারক করেছেন- “শপথ ত্বীন এবং জয়তুনের। ” (পবিত্র সূরা ত্বীন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- জয়তুন ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি, বার্ধক্যকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং পেটের জন্য তেমন শীতল যেমন আগুনের সামনে বরফ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে- তোমরা জয়তুন খাও এবং জয়তুনের তেল গায়ে মাখো। কেননা এটি একটি বরকতময় বৃক্ষ থেকে তৈরি।
বরকতময় এই ফল ও এর তেলের রয়েছে বহু স্বাস্থ্য বাকি অংশ পড়ুন...












