পর্দার আহকাম ও কল্যাণ
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পক্ষ হতে পর্দার আহকাম সাধারণভাবে অনেক বড় ইহসান। বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য এটি যে কত বড় ইহসান তা বলে শেষ করা যাবে না। পর্দার আহকাম মূলত সম্মানিত শরীয়ত উনার যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য এক প্রচ্ছন্ন আহকাম। পর্দা একদিকে যেমন নারীর মর্যাদার প্রতীক তেমনিভাবে তা নারীর পবিত্রতা প্রমাণের একমাত্র উপায়।
মুসলমানদের মাঝে একটি কুধারণা প্রচলিত আছে, তা হচ্ছে, অনেকে মনে করে যে, পর্দার হুকুম শুধুমাত্র নারীর জন্য। মূলত এ ধারণা মোটেও শুদ্ধ নয়। নারীর জন্য যেমন পর্দার আহকাম ফরয ব বাকি অংশ পড়ুন...
ঘটনা-২৩
রিযিকের জিম্মাদার একমাত্র মহান আল্লাহ পাক
হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে সারা পৃথিবীর কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি বাজারের থলি বানিয়ে বিক্রি করে উনার সংসার চালাতেন। একদিন তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, ‘এই যে থলিগুলি আমি বাজারে বিক্রি করি, এই উসীলায় মহান আল্লাহ পাক আমাকে রিযিক দিয়ে থাকেন।’ এটা চিন্তা করার সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, ‘আপনি গিয়ে আমার সম্মানিত নবী হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে বলুন, তিনি যেন আসমানের দিকে লক্ষ্য করেন।’ হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ صَفْوَانِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ قَالَ اَنَّهٗ قِـيْـلَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَكُوْنُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا؟ قَالَ نَـعَمْ فَـقِيْلَ لَهٗ أَيَكُوْنُ الْمُؤْمِنُ بَـخِيْلاً؟ قَالَ نَـعَمْ فَـقِيْلَ لَهٗ أَيَكُوْنُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا؟ قَالَ لَا. (رواه مالك والبيهقى فى شعب الايـمان مرسلا)
হযরত ছফওয়ান ইবনে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, মু’মিন কি ভীরু হতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো, মু’মি বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হুকুমগত দিক থেকে তলাক্ব তিন প্রকার:
১. তলাক্বে রেজয়ী:
এমন তলাক্ব যা প্রদান করলে আহলিয়ার (স্ত্রী) উপর আহালের (স্বামী) অধিকার থেকে যায়। আহাল ইচ্ছা করলে আহলিয়াকে সাথে সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতিতই পুনরায় নিজের বন্ধনে ফিরিয়ে আনতে পারে। অর্থাৎ উক্ত আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা কিংবা নিরিবিলি অবস্থানের দিকে আকর্ষণকারী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া অথবা খাহেশাতের সাথে স্পর্শ করা বা বুছা দেয়া অথবা আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম বললেও রাজায়াত বা ফিরিয়ে আসে।
উল্লেখ্য যে, ছরীহ্ বা সুস্পষ্ট তলাক্ব অর্থাৎ তলাক্ব শব্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত নবী হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার কথা সবারই খুব ভালো ভাবে জানা আছে। মহান আল্লাহ পাক হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনাকে সারা জাহানের বাদশাহী হাদিয়া করেছিলেন। জাহানের জ্বিন-ইনসান তো বটেই, এমনকি পশুপাখি, আলো-বাতাস, তরুলতা, কিটপতঙ্গ থেকে শুরু করে সকল সৃষ্টিই উনার কথা শুনতো এবং তিনিও তাদের সকলের কথা শুনতেন ও বুঝতেন। মহান আল্লাহ পাক উনাকে সমগ্র জাহানে সফর করার জন্য একটি সুসজ্জিত তখত মুবারকও হাদিয়া করেছিলেন। উনার সেই তখত মুবারকের দৈর্ঘ্য ছিল ২৭ মাইল। লক্ষ লক্ষ জ্বীন-ইনসান নিয়ে সেই তখত মুবারকে কর বাকি অংশ পড়ুন...
সত্য নাজাত দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস করে-১
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَـهْدِيْ إِلَى الْبِـرِّ وَإِنَّ الْبِـرَّ يَـهْدِيْ إِلَـى الْـجَنَّةِ وَمَا يَـزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَـتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتّٰـى يُكْتَبَ عِنْدَ اللّٰهِ صِدِّيْـقًا وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَـهْدِيْ إِلَـى الْفُجُوْرِ وَإِنَّ الْفُجُوْرَ يَـهْدِيْ إِلَـى النَّارِ وَمَا يَــزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ وَيَـتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتّٰـى يُكْتَبَ عِنْدَ اللّٰهِ كَذَّابًا. (بـخاری شریف)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল বাকি অংশ পড়ুন...
এই ঘটনাটিতে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি লোকটিকে তিরষ্কার করেননি বা এমন কথাও বলেননি যে, তার হিদায়েত নসীবে নেই বা সে হিদায়েত পাবে না। তাকে বের করে দিতে হবে। বরং তিনি বললেন, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর আমি আপনার নিকট সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। যিনি অপরাধ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠিন শাস্তিদাতা, বিশাল ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই। উনার নিকটেই সবাইকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তিনি কত সুন্দর করে লোকটির কাছে চিঠি লিখলেন! যার কারণে লোকটি নছীহত গ্রহণ করে গুনাহর কাজ থে বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ক্বাছীদা পাঠক মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ভাই উনার স্বপ্ন (কারামত)। তিনি একই সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাদের দিদার মুবারক লাভ করেন।(সুবহানাল্লাহ!)
মুহম্মদ হারুনুর রশীদ (ক্বাছীদা) ভাই উনার বর্ণনা মতে, মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত বাকি অংশ পড়ুন...
এ দিকে কুকুর গিয়ে মোরগকে বললো, ‘ভাই! তুমি তো বললে আমি আজ পেট পুরে খাবো। অথচ মনিব তো গরুটিকেই বিক্রি করে দিলো!’ মোরগ বলল, ‘আমাদের মনিব খুব চালাক। যাক, তুমি ভেবো না। কাল মনিবের ঘোড়া মারা যাবে। তখন তুমি পেট ভরে খেতে পারবে।’
লোকটি এবারও মোরগ আর কুকুরের কথাবার্তা শুনলো। সে তাড়াতাড়ি তার ঘোড়াটা আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিলো। পরদিন ঘোড়াটা মারা গেলো। লোকটি আবারও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলো।
এবার মোরগ গিয়ে কুকুরকে সান্তনা দিয়ে বললো, ‘ভাই! তোমার ভাগ্যে তো খাবার জুটলো না। তবে তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। কাল আমাদের মনিব মারা যাবে। যিয়াফতে (কুলখানি) অ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশের পর)
কিনায়া তলাক্ব দুই প্রকার:
১. প্রথমত তিনটি শব্দ এমন রয়েছে যেগুলো দ্বারা তলাক্বে রেজয়ী হয় এবং শুধুমাত্র একটি তলাক্ব কার্যকর হয়। শব্দ তিনটি হচ্ছে-
ক) اِعْتَدِّىْ অর্থাৎ তুমি গণনা করো।
খ) اِسْتَبْرِيْ رِحْمَكِ তোমার রেহেমকে মুক্ত করো।
গ) اَنْتِ وَاحِدَةٌ তুমি একাকী হও।
এই সকল শব্দ উচ্চারণে তলাক্বের নিয়ত বা তলাক্বের দালালত পাওয়া গেলে এক তলাক্বে রেজয়ী পতিত হবে।
২. আর কিনায়া তলাক্বের অন্যান্য শব্দ যেমন- اَنْتِ بَائِنٌ (তুমি পৃথক) اَنْتِ بَتَّةٌ (তুমি সম্পর্কহীনা) اَنْتِ حَرَامٌ (তুমি হারাম) ইত্যাদি।
এই সকল শব্দ কিংবা উহার অনুরূপ কোন শব্দ দ্বার বাকি অংশ পড়ুন...
এক লোকের পশুপাখির ভাষা শেখার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই সে হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট গিয়ে আরজু করলো, ‘হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি দয়া করে আমাকে পশুপাখির ভাষা শিখিয়ে দিন।’ লোকটির বারংবার অনুরোধে, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক উনাকে জানালেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুমতি দিলে, লোকটির আরজু পূরণ করলেন।
লোকটি তো খুশি মনে বাড়িতে চলে গেলো। তার বাড়িতে ছিল একটি মোরগ ও একটি কুকুর। একদিন খাবারের দস্তরখানা ঝাড়া হলো। একটি রুটির টুকরো সেখান থেকে পড়লো। মোরগ ও কুকুর দুজনেই ছুটে গেলো বাকি অংশ পড়ুন...












