মহিলারা ঘরে অবস্থান করার সময় ক্বমীছ, ওড়না ও সেলোয়ার পরিধান করা সুন্নত। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত মুহম্মদ বিন ক্বয়েস বিন মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ-ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি প্রায় একথা বলতেন যে, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি সুমহান সংবাদ মুবারক দিব না? আমরা বলতাম হাঁ! তখন তিনি বলতেন, পর্যায়ক্রমে এক রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আমার সম্মানিত হুজরা শরীফ মুবারকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন, তখ বাকি অংশ পড়ুন...
মাখরাজ উনার বিবরণ:
যেসব জায়গা থেকে আরবী হরফ উচ্চারণ করতে হয়, উচ্চারণের সেই জায়গাগুলোকে মাখরাজ বলা হয়। মাখরাজ ১৭টি যথা:
১নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) নিচের ভাগ থেকে ه -ء
২নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) মধ্য ভাগ থেকে ح - ع
৩নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) উপরিভাগ থেকে خ - غ
৪নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়া, তার বরাবর উপরের তালুর সাথে লাগিয়ে ق
৫নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়ার একটু আগে বাড়িয়ে, তার বরাবর উপরের তালুর সাথে লাগিয়ে ك
৬নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়ার (বাম পাশের) কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে ض
৭নং মাখরাজ : জিহ্বার মাঝখান, তার বরাবর উপর বাকি অংশ পড়ুন...
যা মানুষের গুণ, চর্চা বা অনুশীলনের মধ্যমে বৃদ্ধি পায় তাকে মানবিক সম্পদ বলে। যেমন : সময়, বিদ্যা, শক্তি, দক্ষতা, জ্ঞান ইত্যাদি। প্রতি পরিবারে একাধিক সদস্য থাকে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সামর্থ্য অনুযায়ী সময়, শক্তি, জ্ঞান, দক্ষতার যদি সুষ্ঠু ব্যবহার করা যায় তবে পরিবারটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। পরিবারের সদস্যদের দক্ষতা, পারদর্শিতা, মনোভাব গৃহ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে এবং অমানবীয় বা বস্তুবাচক সম্পদের অপচয় হ্রাস করে এবং সমৃদ্ধি ঘটায়।
যেমন- বাজেট করে চলা। বাজেট করে চললে অর্থকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। অথচ মহিলাদের মহিমান্বিত কে করেছে তা এখনো অনেক মহিলা নিজেরাই অবগত নন। ফলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীতে মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম সর্বপ্রথম মহিলাদের যথাযোগ্য সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। দ্বীন ইসলাম পূর্বযুগে মহিলাদের মানুষ হিসেবে গন্য করা হতো না। স্ত্রী হিসেবে তারা ছিল চরম অবহেলার স্বীকার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণকে সামাজিক কলঙ্কের বোঝা মনে করে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। সমাজে মেয়ে হিসেবে জন্ম নেয়া অভিশা বাকি অংশ পড়ুন...
সাংবাদিক “আমিনা অ্যাসিলিমি”। ছিলেন গোঁড়া খ্রিস্টান ও খ্রিস্টবাদ প্রচারক। একটা সময় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটারের একটি ভুল তার জীবনের মোড় পুরোপুরি বদলে দেয়।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর মার্কিন নও-মুসলিম “আমিনা অ্যাসিলিমি” এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মানুষ। তিনি বলেছেন, “আমার হৃদয়ের স্পন্দন ও আমার শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত রক্ত-ধারা এবং আমার সমস্ত প্রেরণার উৎস হল সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। এ সম্মানিত দ্বীনের সুবাদে আমার জীবন হয়েছে অপরূপ সুন্দর ও অর্থপূর্ণ। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছাড়া আমি কিছুই নই।”
মার্কিন নও-মুসলিম “আমিনা অ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
আমরা জানি, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে । ছেলেদের বিয়ের পরও পিতা মাতার ভরণ-পোষণ ও দেখাশুনা করতে হয়। কিন্তু মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীর ঘরে চলে যায় । জানার বিষয় হলো, বিয়ের পর পিতা মাতার প্রতি মেয়েদের কতটুকু দায়িত্ব কর্তব্য?
জাওয়াব :
যেহেতু বিয়ের পর মেয়েদেরকে স্বামীর ঘরে চলে যেতে হয়, স্বামীর সংসার ও সন্তান-সন্ততি দেখাশুনা করতে হয় সেহেতু মেয়েদের জন্য স্বামীর ঘরের পাশাপাশি পিতা মাতার ভরণ পোষণ ও দেখাশুনা করা কঠিন হয়ে যাবে । আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দার জন্য দ্বীন ইসলাম উনাকে কঠিন নয় বরং সহজ কর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِىْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّموتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَا اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيّمُ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার কিতাবে আসমানসমূহ ও যমীনসমূহ সৃষ্টির দিন হতেই গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হারাম (যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত হুকুম। (পবিত্র সূরাতুত তাওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৬)
মহান আল্লাহ পাক উনার ইলমে আযালী এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ইলিম মুব বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পক্ষ হতে পর্দা বিধান সাধারণভাবে অনেক বড় ইহসান। বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য এটি যে কত বড় ইহসান তা বলে শেষ করা যাবে না। পর্দা বিধান মূলত সম্মানিত শরীয়ত উনার যর্থাথতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য এক প্রচ্ছন্ন বিধান। পর্দা একদিকে যেমন নারীর মর্যাদার প্রতীক তেমনিভাবে তা নারীর পবিত্রতা প্রমাণের একমাত্র উপায়।
মুসলমানদের মাঝে একটি কুধারণা প্রচলিত আছে। তাহচ্ছে, অনেকে মনে করে যে, পর্দা হুকুম শুধুমাত্র নারীর জন্য। মূলত এ ধারণা মোটেও শুদ্ধ নয়। নারীর জন্য যেমন পর্দার হুকুম ফরয বা অত্যাবশ্যক তেমনি তা প বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের জন্য স্যালোয়ার পরিধান করাই উত্তম এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহিলাদের জন্য স্যালোয়ার পরিধান করাই পছন্দ মুবারক করতেন। এবং স্যালোয়ার পরিধানকারিনীগণ উনাদের জন্য খাছভাবে তিনি পবিত্র দোয়া মুবারকও করেছেন। তবে, কারো প্রয়োজন হলে সুন্নত পালন উনার খেয়ালে নিতাক্ব তথা ইযার বা দোপাট্টা ব্যবহার করতে পারে।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত উম্মে হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহা উন বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত শুহাদা রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি একজন বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ছিলেন। অত্যন্ত সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য হাদীছ শরীফ বিশারদ ছিলেন। জীবনী লেখকগণ তার পরিচয় দিয়েছেন এভাবে- তিনি ক্যালিগ্রাফার ও বিখ্যাত হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী এবং নারী জগতের জন্য গর্ব ছিলেন। উনার পিতা হযরত আবূ নাসর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় কন্যাকে গভীরভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়েছেন এবং অনেক প্রসিদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশারদদের অধীনে ইলম হাছিলের ব্যবস্থা করেছিলেন। সহীহ্ আল্-বুখারী শরীফ ও অন্যান্য হাদীছ শরীফ সংগ্রহ হতে তার নছীহত মুবারক শুনতে অনেক জ্ঞা বাকি অংশ পড়ুন...












