আজ সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ দিবস
, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

৬০ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র ২২ রজবুল হারাম শরীফ-এ সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন- জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, খলীফায়ে সাদিস (৬ষ্ঠ খলীফা), ছাহিবুস র্সির অর্থাৎ গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার ফযীলত মুবারক সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَدْ سُئِلَ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَيُّهُمَا اَفْضَلُ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةُ بْنُ اَبِىْ سُفْيَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَمْ حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَقَالَ وَاللهِ اِنَّ الْغُبَارَ الَّذِىْ دَخَلَ اَنْفَ فَرَسِ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنْ حَضْرَتْ عُمَرَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ بِاَلْفِ مَرَّةٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সুওয়াল করা হয়েছিলো যে, সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি শ্রেষ্ঠ; নাকি বিশিষ্ট তাবিয়ী, ৮ম খলীফা হযরত হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শ্রেষ্ঠ? জবাবে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ঘোড়ায় চড়ে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যেতেন, তখন ঘোড়ার নাকে যে ধুলাবালিগুলো প্রবেশ করতো, সে ধুলাবালিগুলোও হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ। ” সুবহানাল্লাহ! (আস সুন্নাহ্ লিল খ¦ল্লাল ৩/৩৩, মাকতূবাত শরীফ ১ম খ- ২০৭ নং মাকতূবাত, তাত্বহীরুল জানান ওয়াল লিসান লি ইবনে হাজার হাইতামী ২২ নং পৃ. ইত্যাদি)
যদি সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার ঘোড়ার নাকের ভিতরে প্রবেশকৃত ধুলাবালির মর্যাদা বিশিষ্ট তাবিয়ী, ৮ম খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ হন, তাহলে উনার সরাসরি সম্মানিত ক্বদম মুবারক উনার ধুলিবালির মর্যাদা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে কতো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গুণ শ্রেষ্ঠ? আর তাহলে সরাসরি সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার ফযীলত মুবারক কতো বেমেছাল?
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারণে অনেকে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে থাকে, গালমন্দ করে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে খলীফা নিযুক্ত করেন, তখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ভালো ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ইহুদী ও মুনাফিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি গুমরাহ ও কাফির হয়ে যায়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰى “একজনের পাপের বোঝা অপরজন বহন করবে না। অর্থাৎ এক জনের পাপের জন্য অন্য জনকে দোষারোপ করা যাবে না। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
কাজেই, সন্তানের অপরাধের জন্য পিতাকে এবং পিতার অপরাধের জন্য সন্তানকে দায়ী করা জায়িয নেই। যেমন- কাবিলের অপরাধের জন্য আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে, কেনানের অপরাধের জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাকে দায়ী করা জায়িয নেই। তেমনিভাবে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির অপরাধের জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দায়ী করাও জায়িয নেই। বরং সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- لِيَغِيْظَ بِـهِمُ الْكُفَّارَ “একমাত্র কাফিররাই (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম) উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (১)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান মুবারক
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড’
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসানকে জাহান্নামে যত শাস্তি দেয়া হবে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি শহীদ করেছে, তাকে এককভাবে সকলের অর্ধেক শাস্তি দেয়া হবে
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব- ‘ক্বিছ্ছাতুল গ্বরানীক্ব’
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড’
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)