ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
, ১৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৮ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
ওযূর মুস্তাহাবসমূহ ও আদব:
আদব ও মুস্তাহাব সহকারে ওযূ করলে অধিক ছওয়াব ও ফযীলত মুবারক হাছিল হয়। না করলে কোনো গুনাহ নেই।
ওযূর আদবসমূহ হচ্ছে-
১. উঁচু জায়গায় বসে ওযূ করা, যাতে শরীরে অথবা কাপড়ে পানির ছিটা না লাগে।
২. ক্বিবলামুখী হয়ে বসা।
৩. ওযূর অঙ্গসমূহ ধৌত করতে কারো সাহায্য না নিয়ে নিজেই ধোয়া।
৪. ওযূ করার সময় দুনিয়াবী কথা না বলা।
৫. ওযূর নিয়ত মনে মনে এবং মুখে উচ্চারণ করা অর্থাৎ উভয়ভাবেই করা।
৬. ওযূর সময় যেসব দোয়া মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম উনাদের থেকে এবং হযরত তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের থেকে বর্ণিত রয়েছে তা পাঠ করা।
৭. উভয় কানের ছিদ্রে কনিষ্ঠা অঙ্গুলি প্রবেশ করিয়ে মাসেহ করা।
৮. হাতের আংটি যদি ঢিলা না হয়, তবে নাড়া-চাড়া দিয়ে যথাস্থানে পানি পৌঁছানো ফরয, আর যদি ঢিলা হয়, তবে তা নাড়া-চাড়া করা মুস্তাহাব (আদব)
৯. কুলি করতে এবং নাক ধৌত করতে ডান হাতে পানি প্রবেশ করানো এবং বাম হাতে নাক সাফ বা পরিষ্কার করা।
১০. পবিত্র নামায উনার ওয়াক্ত আসার আগেই ওযূ করে নেয়া।
১১. ওযূ করার পর-
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُـحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পাঠ করা।
১২. ওযূ শেষ করার পর অবশিষ্ট পানি থাকলে তা এক-দুই ঢোক দাঁড়িয়ে পান করা।
১৩. অতঃপর এই দোয়া মুবারক পাঠ করা-
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِـىْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِـىْ مِنَ الْـمُتَطَهِّرِيْنَ.
১৪. রৌদ্র-তাপের গরম পানিতে ওযূ না করা।
১৫. মুখম-লে সজোরে পানি না মারা।
১৬. ওযূ করার পর রুমাল দ্বারা ওযূর অঙ্গসমূহ সম্পূর্ণ না মুছে কিছু ভিজা থাকতে দেয়া।
১৭. ওযূ করার জন্য মাটির পাত্র, পিতলের পাত্র ও চামড়ার পাত্র ব্যবহার করা।
১৮. ওযূ করার জন্য প্রয়োজনের অধিক অথবা প্রয়োজন অপেক্ষা কম পানি খরচ না করা।
১৯. ওযূ করার পর তিনবার পবিত্র সূরা ক্বদর শরীফ পাঠ করা। (মারাকিউল ফালাহ)
ওযূর মাকরূহসমূহ :
১. অপবিত্র স্থানে বসে ওযূ করা।
২. ডান হাতে পা পরিষ্কার করা।
৩. ওযূ করার সময় দুনিয়াবী কথা বলা।
৪. সুন্নত মুবারকের বিপরীত ওযূ করা।
৫. অতিরিক্ত পানি খরচ করা।
৬. মুখম-লে জোরে পানি মারা।
৭. ডান হাত দ্বারা নাক পরিষ্কার করা।
৮. বাম হাত দ্বারা মুখম-ল ধৌত করা।
৯. বাম হাতে কুলির পানি মুখে দেয়া।
১০. অঙ্গসমূহ তিনবারের কম বা বেশি ধৌত করা।
১১. নিচু স্থানে বসে ওযূ করা।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












