ঘোড়ায় টানা ট্রেন ও তার ১১৮ বছরের ইতিহাস
, ১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পাঁচ মিশালী
ঘোড়ায় টানা ট্রেন! কি অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ার কিছু নেই। পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ জেলার জড়ানওয়ালা এলাকার গঙ্গাপুরে এখনো ঘোড়ায় টানে ট্রেন। মূলত ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে কাঠের তৈরি লরির ওপর দুইটা কাঠের তৈরি টেবিল আকৃতির আসন রয়েছে। সেটার দুই পাশে মোট ১৬ জন বসতে পারে। চাকা হিসেবে ব্যবহার করা হয় ট্যাঙ্কের বাতিলকৃত চাকা।
এই ঘোড়ায় টানা ট্রেনের জন্য রয়েছে স্টেশন, যাত্রী ছাউনি ও টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা স্টেশন থেকে টিকিট কাটেন। যাত্রী ছাউনির নিচে অপেক্ষা করেন। ঘোড়ায় টানা ট্রেন আসলে চড়ে বসেন। এ ট্রেন গঙ্গাপুর থেকে বুচিয়ানা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পথ দিয়ে চলে। মাঝখানে আছে যাত্রাবিরতি। অর্থাৎ দুই দিক থেকে দুটি ঘোড়ায় টানা ট্রেন চলে। মাঝপথে যাত্রীরা ট্রেন পরিবর্তন করেন। এই ফাঁকে চালকরা তাদের ঘোড়ার দিক পরিবর্তন করেন। এই ট্রেন ঘোড়া যখন পূর্ণ গতিতে টানে তখন এটা প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।
ইতিহাস থেকে জানা যায় এটার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৯৮ সালে। আর চালু হয় ১৯০৩ সালে। শুরুতে এই ঘোড়ায় টানা ট্রেনে ১৫ জন মানুষ চড়তে পারতো। ঘোড়ার যাতে এটা টানতে কষ্ট না হয় সে কারণে ট্রেন লাইনের মাঝখানে কাঠ পুতে দেওয়া হয়েছিল। এতে করে ঝড়-বৃষ্টি-বর্ষায় সহজেই ঘোড়ায় এই ট্রেন টানতে পারতো।
একটা সময় এই ঘোড়ায় টানা ট্রেন পাকিস্তানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে। কিন্তু ১৯৮০ সালে এই ঘোড়ায় টানা ট্রেন সার্ভিস নানামুখী সমস্যা পোহাতে শুরু করে। ১৯৯৩ সালে এটি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। কেন বন্ধ হলো? কেউ কেউ বলে দুবৃর্ত্তরা ট্রেন লাইনের ইস্পাত চুরি করে নিয়ে যায়। কেউ কেউ বলে ট্রেন লাইন ভেঙে-চুরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এটা বন্ধ থাকে। এরপর ২০০৭ সালে আবার চালু করা হয় এই ঐতিহ্যবাহী ট্রেন সার্ভিস।
আর সেটা সম্ভব হয় গঙ্গাপুরের ইউনিয়ন কাউন্সিলর মুনাওয়ার খানের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসী ও জড়ানওয়ালা মিউনিসিপাল প্রশাসনের সহযোগিতায়। গঙ্গাপুর থেকে বুচিয়ানা ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরি করার উদ্যোগ নেয় তারা। ব্যয় হয় ৫০ লাখ ৪০ হাজার রুপি। এই অর্থায়নে চার বছরের প্রচেষ্টার পর ২০০৭ সালে পুনরায় চালু হয় ঐতিহ্যবাহী এই ট্রেন সার্ভিস।
এখন কেবল স্থানীয়রাই নয়, বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসে এই ঘোড়ায় টানা ট্রেনে চড়ার জন্য। দেখার জন্য। বর্তমানে এই ট্রেনে ২০ থেকে ২৫ জন চড়তে পারে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জানা-অজানা ১০টি তথ্য
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মিষ্টি কুমড়ার ওজন ৮১৭ কেজি!
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গাছপালা যখন কথা বলে, পোকামাকড় শোনে -গবেষণা
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মিষ্টি কুমড়ার ওজন ৮১৭ কেজি!
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গাছপালা যখন কথা বলে, পোকামাকড় শোনে -গবেষণা
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাজার বছর আগের নির্মিত বিশালাকৃতির পিরামিড
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে দেশগুলোতে কোনো বিমানবন্দর নেই
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পৃথিবীর উচ্চতম দেশ কোনটি?
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাঁড়িয়ে পানি পানের পরিণতি কি?
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নষ্ট ডিম চেনার সহজ উপায়
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উপকারী বাদাম আখরোট
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)