ছহীহ সনদ সহকারে সৃষ্টির সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত নূরে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি সংক্রান্ত হাদীছ শরীফ
, ১৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
এক শ্রেণীর লোক সমাজে অপপ্রচার করে ও বিভিন্ন বই পুস্তক লিখে প্রচার করে সর্বপ্রথম সম্মানিত নূরে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি সংক্রান্ত হাদীছ শরীফ উনার কোন সনদ নেই। তারা “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ” কিতাবের নুসখায় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা অস্বীকার করে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৪০ জনের মত বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইমাম উনারা স্ব স্ব কিতাবে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সেই বর্ণনা “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ” কিতাবে থাকার কথা উল্লেখ করার পরও বিদ্য়াতী ওহাবীরা তা মানতে নারাজ। বর্তমান সময়ে যখন “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ” কিতাবের সেই হাদীছ শরীফখানা ও অন্যান্য হাদীছ শরীফ যা “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ” কিতাবে ছিলো তা “আয-যুযউল মাফকূদ মিনাল যুযউল-আউওয়াল মিনাল মুছান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক” নামক কিতাবে ছবি সহ প্রকাশিত হওয়ার পরও বিদ্য়াতী ওহাবীরা দাবি করেছে এই পা-ুলিপিটিই নাকি জাল। উক্ত কিতাবের বিরোধিতা করে তারা বাজারে কয়েক ডজন বইও ছেপে দিয়েছে। একচেটিয়াভাবে প্রচার করছে পবিত্র নূর মুবারক সংশ্লিষ্ট কোন হাদীছ শরীফ উনার কোন সনদই নেই। যা আছে তা মানুষের বানানো ... ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!
এই সকল বিদ্য়াতী ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে আমরা ছহীহ সনদ সহকারে একখানা হাদীছ শরীফ পেশ করবো যা দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হবে সর্বপ্রথম সম্মানিত নূর মুবারক সৃষ্টি হয়েছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
رووي عبد الله بن مبارك عن سفيان الثوري عن جعفر بن مـحمد الصادق عن أبيه عن جدّه عن علي بن أبي طالب أن الله تبارك وتعالى خلق نور مـحمد صلى الله عليه واٰله قبل أن يـخلق السماوات والأرض والعرش والكرسي واللوح والقلم الـجنة والنارৃ..
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হযরত ইমাম জাফর ছ¦দিক্ব আলাইহিস সালাম) উনার থেকে, তিনি উনার সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার থেকে, তিনি উনার সম্মানিত দাদা আলাইহিস সালাম উনার থেকে, তিনি খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র নূরে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেছেন আসমান, যমীন, আরশ, কুরসী, লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম সৃষ্টির পূর্বে। ” সুবহানাল্লাহ (শরফুল মুস্তফা ১ম খন্ড ৩০৫-৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নং ৭৯; লেখক: ইমামুল হাফিয মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম খারকুশী আন নাইসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৪০৬ হিজরী; প্রকাশনী: দারু বাশায়িরুল ইসলামিয়া, আল মক্কাতুল মুকররমা)
এই হাদীছ শরীফ উনার সনদ মুত্তাছিল। এই সনদে রয়েছেন স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ৪ জন মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব আলাইহিমুস সালাম। আর সনদের শেষে রয়েছেন আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের আমীরুল মু’মিনীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা।
অর্থাৎ এই হাদীছ শরীফখানা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত। আর এ হাদীছ শরীফ দ্বারাই দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হচ্ছে, সর্বপ্রথম সৃষ্টি হচ্ছেন নূরে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুতরাং আজ যারা বিরোধিতা করছে তারা যে স্পষ্ট বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সেটা প্রমাণিত। তারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক যাতে প্রকাশ না হয় সে জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!
আর এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা (কাফিররা) মুখের ফুঁৎকারে মহান আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক নিভিয়ে দিতে চায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নূর মুবারক উনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। ” (পবিত্র সূরা ছফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ্, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত উছীলায় আজ এ দলীলসমূহ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সেই সাথে সকল বাতিল ফিরকার মুখোশও উন্মোচন হয়ে যাচ্ছে।
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন পলাশ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












