জনগণের প্রত্যাশা পূরণের বাজেট প্রনয়নে প্রচেষ্ট হতে হবে
, ১০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
![জনগণের প্রত্যাশা পূরণের বাজেট প্রনয়নে প্রচেষ্ট হতে হবে](https://www.al-ihsan.net/uploads/1716098827_Editor.jpg)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রতি বছর জুন মাসে সংসদে জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হয়। উপস্থাপিত বাজেটের ভাষা এখনো মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। বিভিন্ন শব্দজাল তৈরি করে দেশের সমস্যা ও সঙ্কট এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন মানুষ মনে করে যে বাজেট এমন এক বিরাট অর্থঅভিধা যা তাদের না বুঝলেও চলবে।
বাজেট ভাষার জিমন্যাস্টিক। তাই যা বলা হয় তার বাস্তবায়ন ঘটে না। কোনো বছরেই শতভাগ বাজেট বাস্তবায়নের রেকর্ড নেই। কিন্তু দশ বছর ধরে তো বাস্তবায়নের ধারেকাছেও যাচ্ছে না। এরপরও প্রতি বছর বড় আকারে বাজেট পেশ হয়, বিশাল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয় এবং বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে অর্থ বছরের শেষ দিকে আয়-ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঢালাওভাবে কাটছাঁট করে সংসদে সংশোধিত বাজেট পাস করিয়ে নেওয়া হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে না প্রতি বছর, কিন্তু তার জন্য কাউকে জবাবদিহিতাও করতে হয় না। এই বছরও চলতি বাজেট থেকে ব্যয় কমানো হচ্ছে সাড়ে ৪৭ হাজার কোটি এবং আয় ২২ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের ব্যাপারে দুটি জিনিস মনে রাখা দরকার। সরকার যে টাকা খরচ করবে, এটি আহরণ কিভাবে করবে। সম্পদ কিভাবে আহরণ করবে। ট্যাক্সের মাধ্যমে, অন্যান্য ফির মাধ্যমে বা ঋণের মাধ্যমে করবে কি না, সেটি দেখার বিষয়। আরেকটি বিষয় হলো বণ্টন। কোন খাতে কী রকম বণ্টন করবে। কত টাকা কোন খাতে দেবে। প্রশাসনে কত ব্যয় করবে। চিকিৎসা খাতে কত টাকা ব্যয় করবে। শিক্ষায় কত টাকা ব্যয় করবে।
বাংলাদেশে কর হলো সরকারের সবচেয়ে বড় একটি অর্থের উৎস। সেই করটি আমাদের দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করে। সেই করের মূল উৎসটিই হলো মূল্য সংযোজন কর অর্থাৎ পরোক্ষ কর। পৃথিবীর সব দেশেই কিন্তু মূল্য সংযোজন করের চেয়ে বেশি হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। পরোক্ষ করে অসুবিধা হচ্ছে ভ্যাটটি ধনী-গরিব সবাইকে সমহারে দিতে হয়। যেমন-রুটির ওপরে একটি ভ্যাট দেওয়া হয়েছে। এটি বড়লোকদের যে পরিমাণ ট্যাক্স দিতে হয়, দরিদ্রও সে রকম ট্যাক্স দেয়। এটি ঠিক ইকিউটি বা সমতার মানদ-ে যুক্তিসংগত নয়।
এডিবি-বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা একটি বিরাট হয়ে থাকে। এটিতে অনেক প্রজেক্ট থাকে। আমাদের পরামর্শ হলো এডিবি একদম কাটছাঁট করে ফেলা।
আরেকটি পরামর্শ হচ্ছে যেসব প্রকল্প শেষ হয়নি, সেই প্রকল্পগুলো শেষ করা। আমাদের এখানে শিক্ষায় এবং স্বাস্থ্যে বাজেটের অত্যন্ত কম বরাদ্দ দিয়ে থাকি। কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর যেসব দেশের আমরা উদাহরণ দিয়ে থাকি. সেসব দেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে প্রচুর ব্যয় করে। আমাদের এখানে স্বাস্থ্য প্রাইভেটাইজেশন হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন বেসরকারি খাতে চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ভূমিকা কমে যাচ্ছে। এটি তো মোটেই ঠিক নয়। কারণ দরিদ্র লোক কিন্তু ভুক্তভোগী। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্য তাদের সেবা অপ্রতুল হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের অর্থায়নের একটি দিক হচ্ছে বিভিন্ন সূত্র থেকে ঋণ নেওয়া। সরকার যখন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর থেকে ঋণ নেয়, তখন ব্যাংক আবার প্রাইভেট সেক্টরে ঋণ কম দিতে পারে। প্রাইভেট সেক্টর হলো মূল চালিকাশক্তি। যথাসম্ভব প্রাইভেট সেক্টরের ঋণ দিতে হবে। সরকারের ঋণের আরেকটি উৎস হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ। গত দেড় শতকে এটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে এবং আমাদের পরিশোধের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছে। এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
বাজেট হয় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে নিয়ে। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারে না। তারা রাজস্ব নিয়ে অভিযোগ করেন কারণ রাজস্ব কী কাজে লাগে, কোন কোন খাতে রাজস্ব খরচ হচ্ছে এ নিয়ে সরকার তাদের পরিষ্কার ধারণা দেয় না। সরকারের উচিত বাজেটের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একটি সম্মেলন ঘটানো, তাদের সম্পৃক্ত করা, রাজস্বের বিষয়ে তাদের পরিষ্কার ধারণা দেয়া।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কারফিউতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আরো আগুন। ধারদেনায় চলছে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে কে? সরকারকেই সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা; দেশের ৫০ ভাগ শিশুমৃত্যুর কারণ অপুষ্টি; অপুষ্টিতে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে স্থুলতা। দেশের জনগণের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের কি কোনই দায়বদ্ধতা নেই?
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল খমিস, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শহীদে কারবালা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)