তথাকথিত উন্নত বিশ্বের সকল নাগরিক ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতির আওতাভুক্ত অথচ বাংলাদেশের মুসলমানগণ ছবিযুক্ত, ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
বর্তমানে চলতে থাকা আইডি বানানোর কার্যক্রম সরকারের অপরিকল্পিত এবং অদূরদর্শী নীতিসমূহের একটি বড় উদাহরণ। ছবি তুলে আইডি বানানোর কার্যক্রমে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। পাশাপাশি চলছে জন্মনিবন্ধনের কাজ। এ খাতেও সরকারকে খরচ বহন করতে হচ্ছে।
দৈনিক আল ইহসান-এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে সবার জন্য সোশাল সিকিউরিটি নম্বরের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় সরকারের হয়নি; অথচ প্রস্তাবনাটি ছিলো সম্পূর্ণ ইসলামী শরীয়তসম্মত এবং এদেশের মুসলমানদের জন্য উপযোগী একটি ব্যবস্থা। ইসলামী শরীয়তসম্মত পদ্ধতির দিকে মনোনিবেশ না করে সরকার ছবি তোলার মতো হারাম কাজকে বাধ্যতামূলক করে দেশ জুড়ে মুসলমানদের গুনাহর কাজে লিপ্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইসরাইল এরূপ আরও তথাকথিত উন্নত দেশের সকল নাগরিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতাভুক্ত। অর্থাৎ সরকারের ডাটাবেইজে সকল নাগরিকের ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত আছে। যখন কোনো নাগরিকের কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় অর্থাৎ চাকরির ক্ষেত্রে, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় তখন বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সরকারের বেগ পেতে হয় না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ টাকা আইডি বানাতে খরচ করা হয়েছে সে পরিমাণ টাকা দিয়ে সকল নাগরিককে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতাভুক্ত করা যেতো। ছবির মত হারাম একটি বিষয় দিয়ে আইডি কার্ড রচিত হবার পরে সরকারিভাবে সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষিত নেই।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির মতো একটি জায়িয পদ্ধতি দিয়ে দেশের নাগরিকদের জন্য যেখানে একটি জাতীয় আইডি’র ব্যবস্থা করা যেতো, সেখানে তা না করে ছবির মতো হারাম একটি বিষয় দিয়ে আইডি বানানোর কর্মসূচিতে সরকারের দূরদর্শিতার যথেষ্ট অভাব ধরা পড়ে। এ দেশের সকল নাগরিকের উচিত ছবির মতো হারাম একটি বিষয় জাতির উপর চাপিয়ে দেবার কারণে এ ব্যাপারে যথেষ্ট শক্ত প্রতিবাদ করা। আর এ প্রতিবাদ কোনো আন্দোলনের জন্য নয়, বরং পবিত্র ইসলামী শরীয়ত পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য।
-মুহম্মদ রুহুল হাসান, ঢাকা
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












