তায়াম্মুম করার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল সমূহ-১
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءً فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَٱمۡسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمْ مِّنۡهُۚ
অর্থ: অতঃপর যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ করো। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩)
তায়াম্মুম সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘পূর্বের হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের চাইতে এই আখিরী উম্মতকে ৩টি বিষয়ে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাতার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাতারের মতো বানানো হয়েছে, সারা ভূখ-কে আমাদের জন্য মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পানি না পাওয়া অবস্থায় মাটিকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম বানানো হয়েছে।’ (বুখারী শরীফ : ১/২০৯)
‘তায়াম্মুম’ (تَيَمُّمْ) শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো- ইচ্ছা করা, নিয়ত করা, মনস্থ করা।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায়, পবিত্রতার নিয়তে পবিত্র মাটির ওপর হাত মেরে চেহারা ও কনুই পর্যন্ত হাত মাসেহ করাকে তায়াম্মুম বলে।
তায়াম্মুম উনার ফরয তিনটি:
১. নিয়ত করা-
نَوَيْتُ اَنْ اَتَيَمَّمَ لِرَفْعِ الْـحَدَثِ وَاِسْتِبَاحَةِ للِّصَّلٰوةِ وَتَقَرُّبًا اِلَى اللهِ تَعَالٰى .بِسْمِ اللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى دِيْنِ الْاِسْلَامِ
অর্থ: “আমি নাপাকী দূর করার জন্য, নামায আদায় করার উদ্দেশ্যে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভের নিমিত্তে তায়াম্মুম করার নিয়ত করলাম। মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করলাম এবং আমি যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর আছি, এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত প্রশংসা মুবারক।”
২. অতঃপর উভয় হাত মাটিতে মেরে সমস্ত মুখম-ল (ওযূতে যে পর্যন্ত ধৌত করা ফরয সেই পর্যন্ত) একবার মাসেহ করা।
৩. অতঃপর পুনরায় মাটিতে হাত মেরে, উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত একবার মাসেহ করা।
তায়াম্মুম উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১. পবিত্র বিসমিল্লাহ শরীফ বলা।
২. তারতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখা অর্থাৎ প্রথমে মুখম-ল তৎপরে হাতদ্বয় মাসেহ করা এবং হাতের পিঠের দিক প্রথম মাসেহ করা।
৩. হাতের তালু মাটিতে মেরে প্রথম সম্মুখে, পরে পিছনে ঘষা।
৪. পবিত্র মাটিতে হাত মারা।
৫. মাটিতে হাত রাখার সময় অঙ্গুলিগুলো ফাঁক ফাঁক করে রাখা।
৬. দাড়ি ও অঙ্গুলিসমূহ খিলাল করা এবং হাতে আংটি কিংবা নাকে বালী থাকলে, তা ঘুরিয়ে মাসেহ করা।
৭. মুখম-ল মাসেহ করার পরে অবিলম্বে মাটিতে হাত মেরে হাতদ্বয় মাসেহ করা।
৮. মাটিতে হাত মারার পরে ঝেড়ে ফেলা।
৯. ডান দিক থেকে আরম্ভ করা।
১০. ওযূতে যেমন এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই অন্য অঙ্গ ধৌত করা সুন্নত মুবারক, সেরূপ তায়াম্মুম উনার ক্ষেত্রেও পরপর মাসেহ করা সুন্নত মুবারক।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












