সম্পাদকীয়-১
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কেবল নদীর জন্য নয়; এটি উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন, অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক শান্তি এবং ন্যায়বিচারের জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য ও ন্যায্য হক্বের চরম সংগ্রাম।
, ০৩ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১০ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিস্তা নদীর ১০৫ কিলোমিটারজুড়ে একযোগে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেন তিস্তা তীরবর্তী হাজারো মানুষ।
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ১১টি পয়েন্টে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতীকী কর্মসূচি। এতে অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ, যাদের কণ্ঠে ছিল একটাই দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘তিস্তা বাঁচাও’ আন্দোলন দীর্ঘদিনের অবহেলার বিরুদ্ধে জনগণের সুসংগঠিত প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশ। নদীর ভাঙন, চর উত্থান এবং পানিবদ্ধতা লক্ষাধিক মানুষকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কৃষিজমি বিলীন, বাড়িঘর ধ্বংস এবং পরিবেশগত ক্ষতির কারণে মানুষ রাস্তায় নামছে। বিশেষ করে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি, গণমিছিল ও পদযাত্রাÑ যা রংপুর বিভাগের পাঁচটি জেলায় একযোগে ১১টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছেÑ এটি প্রমাণ করছে যে তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কেবল পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা নয়, বরং মানুষের জীবন, মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।
নদী শুধুমাত্র পানি বহন করে না; এটি অর্থনীতি, সমাজ, পরিবেশ এবং রাজনীতির এক জটিল সমন্বয়। নদী ভাঙনের ফলে কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে, বসতি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এটি শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের বা প্রকল্পের অভাবে ঘটে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক নীরবতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকারহীনতার ফল। নদী রক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের ভূমিকা থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। সরকারের ধীরগতি, প্রকল্প বিলম্ব এবং রাজনৈতিক অনীহাÑসবই নদীর জীববৈচিত্র্য, কৃষি এবং মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে।
উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসও এ সংকটকে আরও গভীর করেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্য অনুযায়ী, “দীর্ঘ ১৬ বছর এক ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন রংপুরের মানুষের বুকের ভেতরে জগদ্দল পাথরের মতো বসিয়ে দিয়েছে। ” এটি নির্দেশ করে যে রাজনৈতিক কারণে প্রকল্প বিলম্ব, স্থানীয় অধিকার অবহেলা এবং সরকারের উদাসীনতাÑসবই উত্তরবঙ্গের জনগণকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের এই ধীরগতি শুধু স্থানীয় আন্দোলনকে জোরদার করেছে না, বরং নদী সংরক্ষণে জনগণের সচেতনতা ও উদ্যোগকেও শক্তিশালী করেছে।
উত্তরবঙ্গের জনগণ এখন নদী রক্ষার দাবিকে কেবল পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার, ন্যায়বিচার এবং মর্যাদার প্রতিফলন হিসেবে দেখছে। আন্দোলনের মাধ্যমে দেখা গেছে, নদী রক্ষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী জনগণ রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে সক্রিয় হয়েছে। ছাত্র, যুব, সামাজিক সংগঠন এবং স্থানীয় নেতাÑসবাই একসঙ্গে এ আন্দোলনের অংশ হয়েছেন। মশাল প্রজ্জ্বলন, গণমিছিল, পদযাত্রা এবং স্মারকলিপি প্রদানÑসব মিলিয়ে এটি প্রমাণ করছে যে, নদী রক্ষা এখন মানুষের জীবন, অধিকার এবং ন্যায়বিচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
নদী ভাঙন ও চর উত্থান শুধু স্থানীয় মানুষের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে না; এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ধ্বংসেরও কারণ। ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর উত্থানের কারণে শতাধিক কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। কৃষকরা মৌসুমী ফসল হারাচ্ছেন, যা স্থানীয় খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। ভাঙনের কারণে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এবং পরিবারগুলো অবিরাম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় নদী তত্ত্বাবধান এবং প্রশাসনিক উদাসীনতা এ সংকটকে আরও তীব্র করেছে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কেবল নদীর জন্য নয়; এটি উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন, অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক শান্তি এবং ন্যায়বিচারের জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য ও ন্যায্য হক্বের চরম সংগ্রাম। এ আন্দোলনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, জনগণ আর নীরব থাকবে না। তারা সচেতন, একজোট এবং নিজের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, নাহলে নদী, কৃষি, জীবন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে।
উত্তরবঙ্গের ভাঙনপ্রবণ নদী, চর, কৃষি ক্ষতি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সরকারের ধীরগতি এবং জনগণের আন্দোলনÑ সব মিলিয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করেছে। তিস্তা নদী সংরক্ষণ এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে, শুধু নদী নয়, মানবজীবন, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাও বিপন্ন হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে, নদী রক্ষা এখন আর স্থানীয় সমস্যা নয়; এটি জাতীয় দায়িত্ব এবং ন্যায়বিচারের ইস্যু।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী হাসপাতালে নানা সংকট বেসরকারী হাসপাতাল অত্যন্ত ব্যয় বহুল জনগণের জন্য উভয় সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












