দিন দিন কমছে মার্কিনী ডলারের আধিপত্য ব্রিকস ইতোমধ্যেই আলাদা মুদ্রা ব্যবস্থার মনস্থির নিয়েছে তেল বেচা-কেনায় সউদী ও চীন ডলার বাদ দিতে সম্মত হয়েছে
একটু উদ্যোগ নিলেই খোদায়ী রহমতে মুসলিম বিশ্ব নিজেদের আলাদা মুদ্রা প্রচলনে মহাসফল ও চরম সমৃদ্ধ হতে পারবে ইনশাআল্লাহ (পর্ব-১)
, ০২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
সাধারণত মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে বিপরীত অবস্থানে থাকা স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার কমে যায়। কিন্তু এবার কিছুটা হলেও অন্য রকম ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র জোট ন্যাটো রাশিয়ার ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক স্যাংশন আরোপ করে। তারা ভেবেছিল এই স্যাংশনের কারণে রাশিয়ার অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙে পড়বে। তারা যুদ্ধ সমাপ্ত করতে বাধ্য হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর ইকোনমিক স্যাংশন আরোপ করার পর বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের চাহিদা এবং বিনিময় মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়ে একপর্যায়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়, যা ছিল বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি।
এতে দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ মন্দার কবলে পতিত হওয়ার শঙ্কা জেগে ওঠে। পলিসি রেট বৃদ্ধি করার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্বল্পকালীন বন্ডে বিনিয়োগ বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যেসব মার্কিন নাগরিক বিভিন্ন দেশের বন্ড মার্কেট বা অন্যান্য বিনিয়োগ স্কিমে অর্থ লগ্নি করেছিল তারা তা প্রত্যাহার করে নিজ দেশে বিনিয়োগ করতে থাকে। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্বৃত্ত পুঁজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত তারল্য পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়।
এদিকে রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ইকোনমিক স্যাংশনে ভীত না হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ান গ্যাস, জ্বালানি তেল ও খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোকে পণ্যমূল্য রুবলের মাধ্যমে পরিশোধের শর্তারোপ করে। অনেক দেশ বাধ্য হয়ে গোপনে রাশিয়ান মুদ্রা দিয়ে দেশটি থেকে পণ্য আমদানিতে বাধ্য হয়। এতে রুবলের মূল্য সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবচেয়ে চাঙা অবস্থায় উন্নীত হয়। বিপরীতধর্মী দুটি মুদ্রা মার্কিন ডলার এবং রাশিয়ান রুবল একই সঙ্গে চাঙা হয়ে ওঠার ঘটনা নিকট অতীতে আর কখনোই ঘটেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের দেয় ইকোনমিক স্যাংশন কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার পর রাশিয়া এবং চীন মিলিতভাবে মার্কিন ডলারের বিপরীতে একটি নতুন কমন মুদ্রা চালু করার চেষ্টা করছে। একদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব মুদ্রা ইউরো এবং রুশ-চীনের নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করার প্রচেষ্টা মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিকট প্রতিবেশী কোনো কোনো দেশ নিজস্ব মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় লেনদেন শুরু করছে।
একটি মুদ্রা বিশ্বব্যাপী কতটা প্রভাব বিস্তার করবে বা গ্রহণীয় হবে তা মুদ্রা প্রচলনকারী দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা, বিশ্ব ‘শক্তির ভরকেন্দ্রে’ তার অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে একমাত্র সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। কোনো কোনো আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থাও মার্কিন ডলারের অবস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের সেই শক্তিশালী অবস্থান আর কত দিন বহাল থাকবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। কারণ মার্কিন ডলার ইতিমধ্যেই কিছুটা হুমকির মুখে পড়েছে। তিন দশক আগেও বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৬২ শতাংশই সংরক্ষিত হতো মার্কিন ডলারে। এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। ২০২১ সালেও বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ৫৫ শতাংশ সংরক্ষিত হতো মার্কিন ডলারে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বর্তমানে তা ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। মার্কিন ডলারকে কোণঠাসা করার জন্য ব্রিকস জোট সচেষ্ট হয়েছে। ব্রিকস জোট হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন এবং সাউথ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট। ২০০৬ সালে সাউথ আফ্রিকা ব্যতীত অন্য চারটি দেশ মিলে প্রাথমিকভাবে এই জোট গঠিত হয়। পরে সাউথ আফ্রিকা এতে যোগদান করে। এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক জোট।
ব্রিকস জোট মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিশ্বব্যাপী একটি শক্তিশালী মুদ্রা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাচ্ছে। বিশ্বের আরও অন্তত ৩০টি দেশ ব্রিকসের এই প্রস্তাবিত নতুন মুদ্রা ব্যবস্থায় যোগ দিতে চাইছে। তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করলে ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর জন্য একক মুদ্রা প্রচলনের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক দেশই রাশিয়ান রুবলের মাধ্যমে লেনদেন করতে ব্যর্থ হয়। এতে রাশিয়া বেশ কিছুটা সমস্যায় পতিত হয়। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ান পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। রাশিয়া এ সময় শর্তারোপ করে যে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল ও গম আমদানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশকে রুবলের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এ সময় ডলারে সংরক্ষিত রাশিয়ান রিজার্ভ আটকে দেয়। এসব কারণে ব্রিকস জোটের নিজস্ব একক মুদ্রা প্রচলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য, ব্রিকস অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার মতো সব ধরনের উপকরণই বিদ্যমান রয়েছে। ২০০৬ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া ও চীনের সমন্বয়ে ব্রিক জোট গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এই জোটে যোগদান করলে এর নতুন নামকরণ করা হয় ব্রিকস। ব্রিকস অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি অর্থনৈতিক জোট। যদিও শিগগিরই এটি অর্থনৈতিক জোটের পাশাপাশি ন্যাটোর মতো সামরিক জোটে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীন চাচ্ছে ব্রিকসের সদস্যসংখ্যা দ্রুত বাড়িয়ে একে আরও শক্তিশালী জোটে পরিণত করতে। কিন্তু ইন্ডিয়া ও ব্রাজিল জোটের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে মোটেও আগ্রহী নয়। আর রাশিয়া এই ইস্যুতে কিছুটা হলেও ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে। অন্তত ৪০টি দেশ ব্রিকসের সদস্যভুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আরও ২৪টি দেশ ব্রিকসের সদস্য না হলেও প্রস্তাবিত একক মুদ্রাব্যবস্থায় যুক্ত হতে চায়। কাজেই আগামীতে ব্রিকস যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলো বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এই জোটভুক্ত দেশগুলোর অধিকারে রয়েছে বিশ্বের মোট স্বর্ণের ২৬ শতাংশ, জ্বালানি তেলের ৪০ শতাংশ, ৪৬ শতাংশ গম ও অন্যান্য দানাদার খাদ্য। ব্রিকস দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন, যা বিশ্ব জনসংখ্যার ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশগুলোর মোট জিডিপির পরিমাণ হচ্ছে ১৯ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ২৩ দশমিক ২ শতাংশ এসব দেশে সম্পাদিত হয়। জোটভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত আয়তন হচ্ছে ১৫ কোটি ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ বর্গমাইল। অর্থনৈতিকভাবে ব্রিকস জোট অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করছেন, আগামীতে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিশেষ করে অনেক দেশই মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রায় বৈদেশিক রিজার্ভ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












