১০০ টি চমৎকার ঘটনা
দুনিয়ার চেয়ে পরকালের বদলা উত্তম
ঘটনা-১৯
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম এটা দেখে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এর রহস্য জানতে চাইলেন। মহান আল্লাহ পাক তখন উনাকে আসমানের দিকে তাকাতে বললেন। তিনি তাকালেন এবং বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার!’ মহান আল্লাহ পাক আবার উনাকে যমীনের দিকে তাকাতে বললেন। তিনি তাকালেন এবং বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার!’ ঈমানদার লোকটি বিষয়টা খেয়াল করলেন এবং হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আরয করলেন, এরকম বলার কারণ কি? হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তখন উনাকে বললেন আসমান ও যমীনের দিকে তাকাতে। লোকটি তাই করলো এবং দুইবারই বলে উঠলো, ‘আল্লাহু আকবার!’
হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি দেখলে? লোকটি জবাব দিলো, ‘হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমি যখন আসমানের দিকে তাকালাম, তখন দেখলাম জান্নাতের দরজা খোলা। ভিতরে একটা পুকুর দেখা যাচ্ছে। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মাছ লাফালাফি করছে। আর সেই পুকুরের পাশে আমার নাম লেখা, অর্থাৎ পুকুরটি আমার জন্য রাখা। সুবহানাল্লাহ! আবার যখন যমীনের দিকে তাকালাম, তখন দেখলাম জাহান্নামের দরজা খোলা। ভিতরে একটি পুকুর দেখা যাচ্ছে। সেটাতে অনেক বিষধর সাপ, বিচ্ছু কিলবিল করছে। আর সেই পুকুরের পাশে এই কাফির লোকটির নাম লেখা অর্থাৎ এই পুকুরটি তার জায় ঠিকানা। নাঊযুবিল্লাহ! হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! যখন মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক নিয়ে বারবার আমি ছিপ ফেলছিলাম, কিন্তু কোনো মাছ উঠছিল না; অথচ কাফির লোকটি তার দেবতার নাম নেয়া সত্ত্বেও প্রতিবার তার মাছ উঠছিল, তখন আমি প্রতিবারই একটা ধাক্কা খাচ্ছিলাম। তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ইস্তেক্বামত থেকে উনার নাম মুবারক নিয়ে পরের বার আবার ছিপ ফেলছিলাম। এখন এই দৃশ্য দেখে আমার আর কোনো পেরেশানি নেই। মহান আল্লাহ পাক আমার বদলা পরকালের জন্য রেখেছেন। আর কাফির লোকটি তার বদলা দুনিয়াতেই পেয়ে যাচ্ছে।’
দুনিয়াতে যে যতটুকু বঞ্চিত হবে, মহান রব্বুল আলামীন পরকালে তাকে তার বদলা দিয়ে দিবেন। সুতরাং সব অবস্থায় শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












