সম্পাদকীয়-২
দেশে বছরে গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধ বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার কোটি টাকার উপরে দ্বীনি অভিজ্ঞ চিকিৎসক মন্তব্য করেছেন- গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধের বিরুদ্ধে বলা ছদকায়ে জারিয়া একটু সচেতনতা আর হাতের কাছের পথ্যেই গ্যাষ্ট্রিক নির্মূল সম্ভব
, ০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ দেশে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ হিসেবে পরিচিত 'সার্জেল'র বিক্রি বছরে এক হাজার কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইএমএস হেলথের তথ্য বলছে, গেল বছরের ঔষধ বিক্রি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার উপরে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া ঔষধগুলোও একই ধরনের। একই গ্যাস্ট্রোলজিক্যাল জেনেরিকের ‘ম্যাক্সপ্রো’ ও ‘প্যান্টোনিক্স’র বিক্রি যথাক্রমে ৪৮৬ কোটি ও ৩৭৬ কোটি টাকা।
সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, দেশে মাত্র এক বছরে শুধু গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ বিক্রি হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রি হওয়া ঔষধের অর্ধেকই মানুষ খাচ্ছে অপ্রয়োজনে। বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। সুস্থ কিংবা অসুস্থ যাই হোক, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেতে অন্তত চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না রোগীরা। ঔষধ বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনের মোট বিক্রি হওয়া ঔষধের অন্তত ৩০ শতাংশই গ্যাস্ট্রিকের।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ প্রেসক্রিপশনে গ্যাস্টিকের ঔষধ লিখছেন চিকিৎসকরা।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে অধিকাংশ সাধারণ মানুষই যেকোনো পেট ব্যথা মানেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বলে মনে করেন। আসলে আমাদের দেশে প্রায় ৭০-৮০% মানুষই অপ্রয়োজনে প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর বা অ্যান্টি আলসারেন্ট জাতীয় ঔষধ সেবন করে থাকে এবং এদের অধিকাংশই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যখন-তখন এবং টানা দীর্ঘদিন এইসব ঔষধ গ্রহণ করে। বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা, এইসব ঔষধের কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধগুলোর মূল কাজ পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ কমিয়ে দেওয়া। এতে পাকস্থলীর অমøতা কমে যায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিছুটা লাঘব হয় কিন্তু বিভিন্ন স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাঘাতও ঘটে। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি নিউমোনিয়া, কোষ স্ফীত হওয়া, রক্তশূন্যতা, কিডনীর কার্যকারিতা হ্রাস এবং গ্যাস্ট্রিক পলিপের মতো রোগের আশঙ্কা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
এ ঔষধ সেবনে পাকস্থলীর অমøীয় পরিবেশ বদলে যায়। এতে জীবাণুর বংশবিস্তার সহজতর হয়। বিশেষত হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এসব জীবাণু একসময় পাকস্থলী থেকে বসত গড়ে ফুসফুসে। ফলে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ ওমিপ্রাজল ঔষধ সেবন করলে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময় হাড় ভেঙে যায়।
দীর্ঘদিন এই ঔষধ সেবনের ফলে ভিটামিন বি-১২-এ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর অভাবে রক্তশূন্যতা, স্নায়ুবৈকল্য দেখা দেয়। বিশেষত বয়স্কদের এসব সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ঔষধ সেবনের সঙ্গে স্মৃতিভ্রমের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত দ্বীনদার অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ মনে করেন, যে গ্যাষ্ট্রিক ঔষধের বিরুদ্ধে বলা বিশেষ ছদকায়ে জারিয়া। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে ক্ষতি হয় এমন ঔষধ সম্পর্কে বিশেষ করে গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধের মানুষকে সচেতন করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করতে হবে। প্রত্যেককে এটা জানানো প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদী গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেলে তা তাদেরকে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ)
কথিত উন্নত দেশে যখন ইচ্ছা তখন ঔষধ কেনা সম্ভব নয়। বছরে তিনবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিনা যাবে। এর বেশি কেউ কিনতে পারবেন না। কারণ ওখানে সবকিছু রেকর্ড থাকে আর এর বিল দেয় বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান।
যদি আমাদের দেশে শরীয়তভিত্তিক স্বাস্থ্যবিমা থাকতো, ঔষধ বিক্রি ও কেনা এবং তদারকি করা সম্ভব হতো, তাহলে এই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের অতিরিক্ত বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো ইনশাআল্লাহ।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












