নছীহতে ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
মানুষকে হিদায়েতের দিকে আহবানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত-১
, ০৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
লোকটি সিরিয়ার অধিবাসী। যুদ্ধের ময়দানে তার গর্জন ছিল সিংহের মতো। এমনকি এক হাজার অশ্বারোহীর চেয়েও তার চিৎকার ছিল ভয়ঙ্কর। তার জ্বালাময়ী ভাষণে সৈন্যরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তো। সে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে কাজ করতো। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কয়েকদিন উক্ত ব্যক্তিকে দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, অমুকের ছেলে অমুক কোথায়?
বলা হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে শরাব পানে ব্যস্ত আছে। এ সংবাদ শুনে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার পত্র লেখককে ডাকলেন। তিনি তাকে বললেন: লিখুন, ‘হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে অমুকের ছেলে অমুকের প্রতি। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি আপনার নিকট সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যিনি অপরাধ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠিন শাস্তিদাতা, বিশাল ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই, উনার নিকট সকলের প্রত্যাবর্তন।’ এরপর তিনি উনার সঙ্গীদের বললেন, আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করুন, তিনি যেন তার অন্তরকে পরিবর্তন করেন এবং তওবা কবুল করেন।
যখন লোকটির কাছে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার চিঠি পৌঁছলো তখন লোকটি বার বার চিঠিটি পড়ে বলতে লাগলো, ‘তিনি অপরাধ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠিন শাস্তিদাতা, বিশাল ক্ষমতার অধিকারী।’ এরপর সে কান্না শুরু করলো। এতো বেশি কাঁদলো যে, তার দাড়ি ভিজে গেল। এরপর আর কখনো উনাকে শরাব পান করতে দেখা যায়নি। এটি ছিল আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! [তাফসীরে ইবনে কাছীর]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












