নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের অজুহাতে বাড়ছে সবকিছুর দাম
আসলে কি এগুলো উন্নয়ন প্রকল্প, নাকি শোষণ প্রকল্প? জানুন, যেভাবে একটি দেশ ভুয়া উন্নয়নের ফাঁদে জড়িয়ে যায়..(১)
, ২১শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ৩০শে মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
ভুয়া উন্নয়ন পরিসংখ্যান তৈরি ও ঋণের লোভনীয় ফাঁদ এগুলোর পুরোটাই একটি বিশেষ আর্ন্তজাতিক অমুসলিম-বিধর্মী চক্রের কাজ। এসব কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ‘জন পার্কিন্স’ নামে তাদেরই এক এজেন্ট ‘গর্ব’ করে কয়েকটি বিষয় প্রকাশ করে বই লিখেছে। এই অর্থনৈতিক ঘাতকের বই থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। যে অংশগুলো পড়লে বুঝা সহজ হবে- কিভাবে ভুয়া উন্নয়নের হিসাব-নিকাশের ফেরে একটি দেশকে জড়ানো হয় ও ঋণের জালে আবদ্ধ করা হয়। বইটির নাম- কনফেশন অফ ইকোনোমিক হিটম্যান (Confessions of Economic Hitman)।
(১ম অংশ)
“...অর্থনৈতিক ঘাতকরা মোটা অংকের বেতনপ্রাপ্ত পেশাদার। এদের কাজ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ধাপ্পা দিয়ে লক্ষ কোটি ডলার চুরি করা। এরা বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইড এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইএমএফ, এডিবি) কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তহবিলে পৌছে দেয়। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদকে নিয়ন্ত্রণকারী গুটি কয়েক পরিবার প্রতিনিয়ত লাভবান হয় এ কাজে অর্থনৈতিক ঘাতকদের মূল অস্ত্র হচ্ছে ভুল তথ্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ডাটা ও প্রতিবেদন, পাতানো নির্বাচন, ঘুষ, চাপ প্রয়োগ, যৌনতা ও হত্যা। তাদের কর্মকা- সাম্রাজ্যের ইতিহাসের মতই প্রাচীন। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে এসব কর্মকা- নতুন ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
আমাকে ট্রেনিং দেয়ার সময় প্রশিক্ষক কোন রাখঢাক করে কথা বলে নি। সে সুস্পষ্টভাবে বলেছিল, তোমার কাজ হবে বিশ্বের নেতৃতৃন্দকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক স্বার্থরক্ষার নেটওয়ার্কের সদস্যে পরিণত হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগানো। এসব নেতা এমনভাবে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বে, যা তাদের আনুগত্যকে সুনিশ্চিত করবে। তখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা অসামরিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তাদেরকে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করতে পারব। বিনিময়ে তারা শিল্প স্থাপন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও বিমানবন্দর তৈরি করে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে সুসংহত করতে পারবেন। এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কারণে মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানীগুলো বিপুল বিত্ত অর্জন করতে পারবে।
এই নেটওয়ার্কের অপ্রতিহত গতির ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের বিশ্বখ্যাত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তধাররা কারখানাগুলোতে অমানবিক পরিবেশে কাজ করার জন্য নামমাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শ্রমিকদের ভাড়া করে। জ্বালানী প্রতিষ্ঠানগুলো বনে ও নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থগুলোকে উদগীরণ করে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে মানুষ, গাছ ও পশুপাখিকে হত্যা করছে, ধ্বংস করছে একের পর এক সভ্যতাকে। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আফ্রিকার লাখ লাখ এইচআইভি আক্রান্ত বাসিন্দাকে প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহ করছে না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ২০ লাখ পরিবার প্রতি বেলার খাবার ক্রয় করতে সক্ষম নয়। জ্বালানী শিল্পখাতে ঘটেছে এক ধরনের পতন। ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দে পৃথিবীর ধনাঢ্যতম ২০% এর সাথে দরিদ্রতম ২০% এর আয়ের অনুপাত ছিলো ৩ঃ১। ১৯৯৫ খ্রীস্টাব্দে এই অনুপাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ঃ১-এ। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে নিজ দখল বজায় রাখার জন্য ৮ হাজার ৭শত কোটি ডলার ব্যয় করছে। হিসাব অনুযায়ী এর অর্ধেক অর্থে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য সুপেয় পানি, খাদ্য, পয়ঃনিষ্কাশন ও শিক্ষা সুনিশ্চিত করা সম্ভব।...”
পাঠক! এই লেখাটির ১ম অংশে মার্কিনি এজেন্ট পার্কিন্সের বইয়ের ভূমিকা থেকে ১টি অংশ তুলে ধরা হলো।
দালালটি নিজেই স্বীকার করেছে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক সহ আন্তর্জাতিক ঋণ বিনিয়োগকারী সংস্থা আছে এগুলো সবগুলোরই উদ্দেশ্য হলো একটি দেশকে ঋণের জালে আবদ্ধ করা। এরপর নানা রকম শর্ত পালনে বাধ্য করা। আর এসব ঋণও দেশের উৎপদনশীল খাতে না দিয়ে বরং ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, বিমানবন্দর, হাইওয়ে ইত্যাদি প্রকল্পে দিয়ে থাকে।
অপরদিকে সুন্দরবন ধ্বংসের প্রকল্প রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হুমকির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও এসব অর্থনৈতিক ঘাতকদের সাফল্যের প্রমাণ। এসব ঘাতকদের সাফল্যের (!) ফলাফল আজ ভোগ করছে দেশের জনগণ। বেড়ে চলেছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ। যেখানে গত ২০১৫ সালে মাথাপিছু ঋণ ছিলো মাত্র ১৩ হাজার টাকা, মাত্র ৩ বছরেই তথা ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকারও বেশি।
-মুহম্মদ আল জাবির।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












