নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার অবস্থা মুবারক
, ৩০শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুদায়ী মুবারক উনার কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই বাক্য মুবারকগুলো বলতে থাকেন,
السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِىْ وَأُمِّي لَقَدْ كُنْتَ تَخْطِبُنَا عَلَى جِذْعِ نَخْلَةٍ فَلَمَّا كَثُرَ النَّاسُ اتَّخَذت مِنْبَرًا لِتُسْمِعَهُمْ فَحَنَّ الْجِذْعُ لِفَرَاقِكَ حَتَّى جَعَلَتْ يَدَكَ عَلَيْهِ فَسَكَنَ فَأُمَّتُكَ أَوْلَى بِالْحَنِيْنِ إِلَيْكَ لِمَا فَارَقْتَهَا بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ بَلَغَ مِنْ فَضِيْلَتِكَ عِنْدَهُ أَنْ جَعَلَ طَاعَتُكَ طَاعَتِهِ فَقَالَ مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ
অর্থ: “ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সালাম। আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হোন। আপনি খেজুর বৃক্ষ মুবারক উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হেলান মুবারক দিয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুতবা মুবারক দিতেন। যখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা অনেক বেশি হলেন, তখন আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ উনার উপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন উনাদেরকে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়ায-নছীহত মুবারক শুনানোর জন্য। খেজুর বৃক্ষ মুবারক রেখে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ উনার উপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার কারণে সেই খেজুর বৃক্ষ মুবারক আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুদায়ী মুবারক উনার কারণে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করেছিলেন। আর আপনি যখন সেই খেজুর বৃক্ষ মুবারক উনার উপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) বুলিয়ে দিলেন, তখন কান্না থেমে গেলেন, খেজুর বৃক্ষ মুবারক ইতমিনান লাভ করলেন। (নিষ্প্রাণ খেজুর বৃক্ষ মুবারক উনার যখন এই অবস্থা,) তাহলে তো আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুদায়ী মুবারক উনার কারণে আপনার উম্মতগণ আপনার জন্য কান্নাকাটি, আহাজারি করার অধিক হক্বদার। ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন। অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার তরফ থেকে আপনাকে এমন বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন যে, আপনার অনুসরণ মুবারক করাকে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ মুবারক বলে সাব্যস্ত করেছেন। সেজন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন- ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা অনুসরণ মুবারক করলেন, উনারা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই অনুসরণ মুবারক করলেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (ইহ্্ইয়াউ উলূমিদ্দীন ২/১০৪)
এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উন্মুক্ত তরবারী হাত মুবারক-এ নিয়ে বলতে থাকেন- ‘কেউ যদি বলে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, তাহলে আমি তাকে এই তরবারী দ্বারা আঘাত করে দুই টুকরো টুকরো করে ফেলবো। ’
যেমন তাফসীরে দুররে মানছূর, রূহুল বয়ান, নীশাপূরী, তারীখে ত্ববারী ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله تعالى عنه قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ سيدنا حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام فَقَالَ إِنَّ رِجَالا من المنافقين يزعمون ان رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاللَّهِ مَا مَاتَ وَلَكِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى رَبِّهِ كَمَا ذَهَبَ حضرت مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عليه السلام فَغَابَ عَنْ قَوْمِهِ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ رَجَعَ بَعْدَ أَنْ قِيلَ قَدْ مَاتَ وَاللَّهِ لَيَرْجِعِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ولأُقطِّعن أيديَ رجالٍ وأرجلَهم يزعُمون أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مات
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি দ-ায়মান হয়ে বলতে থাকেন- ‘নিশ্চয়ই মুনাফিক্বদের মধ্য থেকে কিছু লোক ধারণা করে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেননি। বরং তিনি উনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট গিয়েছেন, যেমন হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি গিয়েছিলেন। তারপর তিনি উনার ক্বওম থেকে ৪০ রাত অদৃশ্য থেকে আবার ফিরে এসেছেন। যদিও বলা হয়েছিলো যে, অবশ্যই তিনি সম্মানিত ও পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! অবশ্যই অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফিরে আসবেন। আর অবশ্যই অবশ্যই আমি ঐ সমস্ত লোকদের হাত-পা কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবো যারা ধারণা করবে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন’। ” (তাফসীরে আবী সা‘ঊদ ১/৪৬৭, তাফসীরে রূহুল বয়ান ২/৮৫, তারীখে ত্ববারী ৩/২০০ ইত্যাদি)
-মুহাদ্দিছ মুহাম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












