নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছলি না
, ৫রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২১ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ আল্লামা হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে হযরত যাকওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, “নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও উনার “খাছায়িছুল কুবরা” নামক কিতাবে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ করে এ মতের সমর্থন করেন।
বাহরুল উলূম, শায়খুল মাশায়িখ, হযরতুল আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “শিফাউছ ছুদূর” কিতাবে লিখেছেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন নূর। অতঃপর যখন তিনি সূর্য অথবা চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না।”
বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, হাফিযুল হাদীছ, আওলাদে রাসূল, হযরতুল আল্লামা ইমাম যুরকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “শরহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া শরীফ” কিতাবে বর্ণনা করেছেন- “চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না। কেননা তিনি নূর মুবারক ছিলেন।”
ইমামুল আল্লাম, জালালু মিল্লাত ওয়াদ্ দীন, আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আলমু’জামুল লাবীব ফী খাছায়িছিল হাবীব” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামক কিতাব উনার দ্বিতীয় বাবের চতুর্থ অধ্যায়ে লিখেছেন- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক দেখা যেতনা।”
হযরতুল আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু সম্পূর্ণ নূর মুবারক ছিলেন সেহেতু উনার ছায়া মুবারক ছিল না।
হযরত ইমাম রযীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেত।”
ইমামুল জালীল, মুহাদ্দিছুশ্ শাহীর, ফক্বীহুল আছার, আল্লামা ইমাম ক্বাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “শিফা শরীফ” কিতাবে লিখেছেন- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দেহ মুবারক উনার ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর মুবারক।”
বিখ্যাত বুযুর্গ, ওলীয়ে কামিল, হযরত ইমাম ইবনে হাজার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “আফদ্বালুল কুরা” কিতাবে উল্লেখ করেন, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর মুবারক ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।”
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফ্ফাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “নাসীমুর রিয়াদ্ব” নামক কিতাবে লিখেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুবুওওয়াতের প্রমাণের মধ্যে এটাও একটি প্রমাণ যে, উনার শরীর মুবারক উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। যখন তিনি সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে হাঁটতেন তখনও উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদমস্তক) নূর মুবারক।”
‘কিতাবুল ওয়াফা’ উনার লিখক হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। উনার নূরের উজ্জ্বলতা সূর্য ও বাতির আলোর উপর প্রাধান্য লাভ করতো।”
ক্বাইয়ূমে আউয়াল, আফদ্বালুল আওলিয়া, শায়খ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জগদ্বিখ্যাত কিতাব “মাকতুবাত শরীফ” উনার ৩য় জিলদ্ ১৫৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কি করে ছায়া পড়তে পারে? ছায়া তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তবে কি উনার কোন মিছাল রয়েছে? তবে কি তিনি কামালে লাতাফাত উনার অধিকারী নন? দেখুন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘কামালে লাতাফাত’ উনার অধিকারী হওয়ার কারণে উনার দেহ মুবারক উনার ছায়া মুবারক পড়তো না।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং অনুসরণীয় ইমাম, মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নির্ভরযোগ্য উল্লিখিত ক্বওল শরীফ উনার দ্বারা প্রতিভাত হলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরাণী দেহ মুবারক-উনার ছায়া মুবারক ছিল না।
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২৩০তম সংখ্যা থেকে সংকলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৩)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (২)
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (১)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)