সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে কটুক্তিকারীদের এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননাকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়ন এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঈমানী সমাবেশ
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২২ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) তাজা খবর
আমাদের মাতৃভূমিতে দ্বীন ইসলাম বিরোধী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীদের দালালেরা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং দেশের মানুষের ঈমানী অনুভূতিতে বিভিন্ন কৌশলে আঘাত করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এবং মানুষের ঈমানের সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল পদগুলোতে বসে আছে কাফির-মুশরিকদের দালাল মুনাফিকরা অথবা মুসলমান ছূরতে ছদ্মবেশী কাফির-মুশরিকরাই। এরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এবং ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রায় অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশকে এমন এক কৌশলগত সংকটে ফেলে দিয়েছে যে প্রায় অকার্যকর এই দেশে এখন বিদেশী হস্তক্ষেপ বাহ্যিকভাবে আর আপত্তিকর মনে হবে না বরং প্রয়োজনীয় মনে করবে দেশের মানুষ। দেশের মানুষের ভরসার শেষ স্থানটুকু ছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের নিষ্ক্রিয়তা এবং কাফিরদের প্রতি নতজানু মানসিকতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে বারবার হতাশ করেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে, জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুণœ হচ্ছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিঘিœত হচ্ছে ও দ্বীন ইসলামের উপর আঘাত আসছে। মানুষের মধ্যে হামলা, সংঘাত ও ভাংচুর করে দেশটাকে একটা মবের রাজ্য বানানো হয়েছে এবং এর ফলে যেকোন সময় সারাদেশে বিস্ফোরণ হতে পারে সাধারণ জনতার ক্ষোভ।
এদেশে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার প্রসার করেছেন হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি। পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রতি রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার ৫৬ নং আয়াত শরীফ)। আরো ইরশাদ হয়েছেন, “সাবধান, নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয়, চিন্তা, পেরেশানী নেই। উনাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাকে সুসংবাদ। ” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৬২-৬৪ নং আয়াত শরীফ)। এই আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফে আছে যে যাকে মুহব্বত করবে সে তারই অন্থর্ভুক্ত। তার সাথে তার হাশর-নশর হবে।
এই কারণে সারাদেশে এবং সারা পৃথিবীতে মানুষ মাজার শরীফ জিয়ারত করে। কিন্তু কিছু কুচক্রী, কাফিরদের দালাল এবং দুষ্কৃতিকারীরা মাজার শরীফ জিয়ারতকে ‘মাজার পূজা’ আখ্যা দিয়ে মব সৃষ্টি করে দরগাহ-মাজার-খানকাহ শরীফ ইত্যাদিতে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এমনকি মুসলমানদের শহীদ (খুন) করছে। এরাই দেশকে অস্থিতিশীলকারী এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিছুদিন পূর্বে মাইকে ঘোষণা দিয়ে কুমিল্লার হোমনায় চার মাজারে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুধু গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসেই সারাদেশে কমপক্ষে ৭০টি মাজার ও আখড়ায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট হয়েছে। অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে কয়েকশ মাজার, খানকাহ, দরগাহ ইত্যাদিতে হামলা হয়েছে। এই সমস্ত স্থানের মসজিদ-মাদরাসাতেও ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ভক্তদের জোরপূর্বক চুল-দাড়ি ছেঁটে প্রকাশ্যে অপমান করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে নূরা পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির লাশের সাথে এমন কাজ করাটা চরম নিকৃষ্ট ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এমতাবস্থায় দ্বীনী মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে আমাদের দাবি-
১. মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে মানহানীকারীদের এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার যেকোনো বিষয়ে বিরোধীতাকারীদের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়ন করতেই হবে।
২. পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত এবং রাষ্ট্রস্বীকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই অপরাধে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমের বর্তমান খতীবকে বহিষ্কার করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিরব সমর্থন করার কারণে ধর্ম উপদেষ্টাকেও বহিষ্কার করতে হবে।
৩. বিভিন্ন স্থানে যারা মাজার শরীফ ভাংচুর করছে, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে, দরবার বা খানকায় এমনকি মসজিদেও হামলা করছে এদেরকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে বিচার হবে। এরাই গৃহযৃদ্ধ লাগানোর জন্য বিদেশী কাফিরদের দালাল বা কামলা হিসেবে কাজ করছে।
৪. যারা মাজার শরীফ জিয়ারতকে মাজার পূজা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
৫. যদি কোনো মাজারে শরীয়তের খিলাফ কাজ কর্ম হয় তা সংশোধন করার জন্য হক্কানী রব্বানী সুন্নী আলিম ওলামা দ্বারা তা’লীমের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. সমস্ত দরবার-দরগাহ-মাজার-খানকাহ শরীফ এবং মসজিদগুলোতে সরকারীভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে।
৭. যেসমস্ত মাজার, দরবার, মসজিদগুলো ভাঙা হয়েছে সেগুলো সরকারীভাবে পুনর্নিমাণ করতে হবে।
৮. সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় মাজার শরীফ গুলোতে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক এবং বার্ষিক মাহফিলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. মাজার শরীফগুলোতে সরকারীভাবে সুন্নতী মালামাল প্রচার প্রসার করার জন্য সুন্নত প্রচার কেন্দ্র করতে হবে।
১০. মাজার শরীফ গুলোতে নিয়মিত দাতব্য চিকিৎসা, জিয়ারত, শিশু শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. মাজার শরীফ গুলোতে প্রতিদিন মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম করে তাবারুকের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা অভাবের কারণে খেতে পারে না তাদেরকে মাজার শরীফ কেন্দ্রিক খাদ্য বিতরণ ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও দ্বীনী মূল্যবোধে আঘাতকারী নারীবাদ, এলজিবিটি, ইনক্লুসিভ সমাজ মতবাদ ইত্যাদি সরকারীভাবে প্রতিহত করতে হবে। আমেরিকা-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সাথে করা সকল গোপন চুক্তি বাতিল করতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে স্থাপন করা চলবে না। দেশের মানুষকে না খাইয়ে দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে কোনো ইলিশ পাঠানো যাবে না। সীমান্ত হত্যা, পুশ ইন এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ এবং শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৌশলগত হাব চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া চলবে না। মায়ানমারের রাখাইনকে করিডোর বা মানবিক প্যাসেজ দিয়ে বাংলাদেশকে চীন-আমেরিকার প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্র বানানো বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ি উপজাতিদের “আদিবাসী” স্বীকৃতি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে নতুন রাষ্ট্র (কথিত জুম্মল্যান্ড) বানানোর ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি “স্টারলিংক”-এর নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে ছড়াতে দেওয়া যাবে না। পরিবেশ রক্ষার নামে নারিকেল দ্বীপ (সেন্ট মার্টিন)-কে অঘোষিতভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে না। দেশের সকল নাগরিকের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, দ্বীনী শিক্ষা, জান-মাল-ঈমানের নিরাপত্তা এই মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সামরিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশের সকল যুবককে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পরিবেশবাদের নামে দেশী শিল্প (যেমন- পলিথিন ব্যবসা, পাথর উত্তোলন, চামড়া শিল্প ইত্যাদি) ধ্বংস করে কোটি মানুষকে বেকার বানানো বন্ধ করো। ফুটপাতের ব্যবসা বন্ধ করে, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে, ব্যাটারি চালিত বাহন (অটোরিক্সা) বন্ধ করে গরীবের পেটে লাত্থি মারা যাবে না। সবার আগে দেশকে সুস্থির করা এবং দেশকে দুর্ভিক্ষ ও গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করা জরুরী। (বার্তা প্রেরণে: প্রেস প্রতিনিধি, ইনসাফ কায়েমকারী)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসরাইলী গুপ্তচর গ্যাং নেতাসহ নিহত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঘোষিত আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম -ফখরুল
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভারতীয় গোয়েন্দা নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা তাপসের অফিসে
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেয়া যাবে না -স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘১৫ বছরের মধ্যে সেনাবাহিনী যেন দাঁড়াতে না পারে’
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তপথে ঢোকে, ছড়ায় ট্রেনে
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা প্রশ্নে হাইকোর্টের ‘দ্বিধাবিভক্ত’ রায়
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ উনার সম্মানার্থে অনন্য আয়োজন
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘রাজাকার-আল বদরদের জন্য আ.লীগই ঠিক ছিল’
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই বিচার নয় -চিফ প্রসিকিউটর
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












