নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
, ২১ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَتَانِـىْ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ اِنَّ رَبِّـىْ وَرَبَّكَ يَقُوْلُ لَكَ كَيْفَ رَفَعْتُ ذِكْرَكَ قَالَ اللهُ اَعْلَمُ قَالَ اِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ مَعِىْ
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বলেন, নিশ্চয়ই আমার রব তা‘য়ালা এবং আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, আমি কিভাবে আপনার মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করবো? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অধিক ভালো জানেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ مَعِىْ
‘যখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করা হয়, তখন আমার সাথে আপনারও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করা হয়’।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, ত্ববারনী, ইবনে আবী হাতিম, ত্ববারী, আবূ না‘ঈম, আব্দুর রাজ্জাক্ব ইত্যাদি)
সেজন্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফসহ সম্মানিত আযান-ইক্বামত, সম্মানিত নামায, সম্মানিত মুনাজাত, সম্মানিত খুতবা, সম্মানিত রোযা, সম্মানিত হজ্জ, সম্মানিত যাকাত এক কথায় সমস্ত ইবাদত-বন্দিগীতে আবশ্যিকভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক করতে হয়। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক ব্যতীত কোনো ইবাদত-বন্দিগীই নেই।
তাহলে কি করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ‘পিয়ন বা কাউ বয়’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে? উনার শান মুবারকে ‘পিয়ন বা কাউ বয়’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করার অর্থ হচ্ছে উনাকে মানহানি করা। না’ঊযুবিল্লাহ! কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কথিত ইমাম নামধারী ঐ গোস্তাখে রসূল ও কুলাঙ্গার ‘পিয়ন’ শব্দ ব্যবহার করে উনার মানহানি করেছে। তার একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। অনুরূপ যেই মালঊন কুলাঙ্গার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তারও একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড।
উল্লেখ্য যে, কোনো মুসলমান যদি কুফরী করে তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যায়। মুরতাদ দুই প্রকার। ১. মুরতাদে ‘আম অর্থাৎ যারা সম্মানিত শরীয়ত উনার কোনো বিষয় অবমাননা করে বা অস্বীকার করে। এই প্রকার মুরতাদকে তওবার জন্য ৩ দিন সময় দেয়া হবে। যদি সে তওবা করে, তাহলে তাকে ক্ষমা করা হবে। অন্যথায় তার শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। আর ২. মুরতাদে মাল‘ঊন অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানিকারী করে। এই প্রকারের মুরতাদদের তওবার কোনো সুযোগ নেই। তাদের একমাত্র শরঈ হচ্ছে শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَلْعُوْنِيْنَ اَيْنَمَا ثُقِفُوْاۤ اُخِذُوْا وَقُتِّلُوْا تَقْتِيْلًا
অর্থ: “(এরা হচ্ছে লা’নতগ্রস্ত) লা’নতগ্রস্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই পাকড়াও করা হবে এবং অবশ্যই তাদেরকে অত্যন্ত কঠিনভাবে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّ يَهُوْدِيَّةً كَانَتْ تَشْتُمُ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقَعُ فِيْهِ فَخَنَقَهَا رَجُلٌ حَتّٰى مَاتَتْ فَاَبْطَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَمَهَا
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) নিশ্চয়ই এক ইহুদী মহিলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গালাগালি করতো, না‘ঊযুবিল্লাহ! এবং উনার সম্পর্কে মন্দ কথা বলতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! একদিন একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ঐ ইহুদী মহিলাকে গলা টিপে হত্যা করেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ ইহুদী মহিলার রক্তের দাবী বাতিল বলে ঘোষণা মুবারক করেন। অর্থাৎ ঐ ইহুদী মহিলার শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড, সেটাই তাকে এই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দিয়েছেন। কাজেই, এজন্য এই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে কোনো রক্তপণ দিতে হবে না। তিনি যা করেছেন সঠিকই করেছেন। এজন্য উনাকে কোনো রকম দোষারোপ করা তো যাবেই না; বরং উক্ত আমলের জন্য উনার প্রশংসা করতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৯/২০০, মা’রিফাতুছ ছাহাবা লিল বাইহাক্বী ১৩/৩২১, আল আহাদীছুল মুখতারাহ্ লিল মাক্বদিসী ২/১৬৯, যাদুল মা‘আদ ৫/৫৪, খ¦ছাইছুল কুবারা ২/৩৮০, নাইলুল আওত্বার ৭/২২২, যখীরতুল উক্ববা ৩২/২৫, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ৯/২১২, আহকামু আহলিয যিম্মাহ্ ৩/১৩৯৮ ইত্যাদি)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












