নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পিবত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধী থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি সুগন্ধীময় এবং যাঁরা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (৪)
, ১৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
وَمِنْهُ شُرْبُ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ دَمَهٗ يَوْمَ اُحُدٍ وَّمَصُّهٗ اِيَّاهُ وَتَسْوِيْغُهٗ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذٰلِكَ لَهٗ وَقَوْلُهٗ لَهٗ لَنْ تُصِيْبَهُ النَّارُ
অর্থ: “হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বর্ণিত আছে। উহুদের সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত বর্ম মুবারক উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইস্তিক্বামত মুবারক (জিহাদে আহত হওয়া শান মুবারক) প্রকাশ করার পর হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার জিহ্বা মুবারক দিয়ে ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রক্ত মুবারক) পান করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَنْ تُصِيْبَهُ النَّارُ
‘উনাকে কখনো দোযখের আগুন স্পর্শ করবে না।’ সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরাকে হাকিম ৩/৬৩৮, মা’রিফতুছ ছাহাবা লি আবী না‘ঈম ১১/৪৬৮, দারু কুতনী ১/২২৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّـىْ بَعْدَ اُمِّـىْ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ اَيـْمَنَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ كَانَ لِرَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَّارَةٌ يَّبُوْلُ فِيْهَا فَكَانَ اِذَا اَصْبَحَ يَقُوْلُ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمِّـىْ بَعْدَ اُمِّـىْ عَلَيْهَا السَّلَامُ صُبِّـىْ مَا فِى الْفَخَّارَةِ فَقُمْتُ لَيْلَةً وَّاَنَا عَطْشٰى فَشَرِبْتُ مَا فِيْهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمِّـىْ بَعْدَ اُمِّـىْ عَلَيْهَا السَّلَامُ صُبِّـىْ مَا فِـى الْفَخَّارَةِ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُمْتُ وَاَنَا عَطْشٰى فَشَرِبْتُ مَا فِيْهَا فَقَالَ اِنَّكِ لَنْ تَشْتَكِىْ بَطْنَكِ بَعْدَ يَوْمِكِ هٰذَا اَبَدًا
অর্থ: “সায়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আয়মন আলাইহাস সালাম) উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাটির পাত্র মুবারক ছিলেন, সেই পাত্র মুবারক-এ তিনি (রাতের বেলায়) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক রাখতেন। যখন সকাল হতো, তখন তিনি বলতেন, ‘হে সায়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম! মাটির পাত্র মুবারক-এ যা রয়েছেন, তা আপনি ফেলে দিন।’ একরাতে আমি পিপাসার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে উঠি, ফলে মাটির পাত্রে যা ছিলেন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক), আমি তা পান করে ফেলি। সুবহানাল্লাহ! তারপর (সকালে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে সায়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম! মাটির পাত্র মুবারক-এ যা রয়েছেন, তা আপনি ফেলে দিন। সায়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি পিপাসার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলাম, তাই মাটির পাত্র মুবারক-এ যা ছিলেন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক), আমি তা পান করে ফেলেছি। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّكِ لَنْ تَشْتَكِىْ بَطْنَكِ بَعْدَ يَوْمِكِ هٰذَا اَبَدًا
‘নিশ্চয়ই আপনি আজকের পর থেকে চিরকালের জন্য আর কখনও পেটের পীড়ায় ভুগবেন না’।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












