ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১৮)
, ২০ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ফতওয়া বিভাগ
৫২. আল্ আইম্মাতুল্ আরবায়াহ্ (الائمة الاربعة):
(১২৬)
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের প্রতিষ্ঠাতা উনাদেরকে আইম্মাহ আরবায়াহ্ বলা হয়। উনারা হলেন- (১) হানাফী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আ’যম হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত বিন যাওতী হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, (২) মালিকী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস রহমতুল্লাহি আলাইহি, (৩) শাফিয়ী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪) হাম্বলী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম আহমদ বিন মুহম্মদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
৫৩. আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ (ائمتنا الثلاثة):
(১২৭)
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ বলা হয়।
৫৪. শায়খাইন (شيخين):
(১২৮)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছিদ্দীকে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদেরকে শায়খাইন বলা হয়।
৫৫. শায়খাইন (شيخين):
(১২৯)
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা দু’জন হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ বা শিক্ষক ছিলেন বলেই উনাদেরকে শায়খাইন বা দু’উস্তায বলা হয়ে থাকে।
৫৬. শায়খাইন (شيخين):
(১৩০)
হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী ও সংকলনের দৃষ্টিতে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে শায়খাইন বলা হয়ে থাকে।
৫৭. ছাহিবাইন (صاحبين):
(১৩১)
হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা দু’জন হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান ছাত্র। এ হিসেবে উভয়ে পরস্পর সাথী।
৫৮. ত্বরফাইন (طرفين):
(১৩২)
হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের দু’জনকে একত্রে ত্বরফাইন বলা হয়।
৫৯. সালাফ (سلف):
(১৩৩)
হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ সালাফ বা প্রাচীণ ফক্বীহ।
৬০. খালাফ (خلف):
(১৩৪)
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পর হতে হযরত ইমাম শামসুল আইম্মাহ হালওয়ানী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ খালাফ বা তৎপরবর্তী ফক্বীহ।
৬১. রিওয়াইয়াতুয্ যাহির (رواية الظاهر):
(১৩৫)
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক লিখিত ৬ খানা কিতাবকে রিওয়াইয়াতুয্ যাহির বা প্রকাশ্য বর্ণনা বলা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো: (১) আল্ জামিউছ্ ছগীর (২) আল্ জামিউল্ কবীর (৩) আস্ সিয়ারুছ্ ছগীর (৪) আস্ সিয়ারুল্ কবীর (৫) আল্ মাব্সূত (৬) আয্ যিয়াদাত।
৬২. কুতুবুন্ নাওয়াদির (كتب النوادر):
(১৩৬)
রিওয়াইয়াতুয্ যাহির ৬ খানা কিতাব ছাড়া হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রচিত অন্যান্য কিতাবগুলোকে কুতুবুন্ নাওয়াদির বলা হয়।
৬৩. খইরুল্ কুরূন (خير القرون):
(১৩৭)
প্রথম তিন যুগ তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবিউত্ তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগকে একই সাথে খইরুল্ কুরূন বা সর্বোত্তম যুগ বলা হয়ে থাকে। এ যুগকে ‘আছ্ ছদরুল আউওয়াল’ও বলা হয়।
৬৪. শায়েখ (شيخ):
(১৩৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষাদাতা রাবীকে উনার ছাত্রের তুলনায় ‘শায়েখ’ বলা হয়ে থাকে।
৬৫. মুহাদ্দিছ (محدث):
(১৩৯)
যিনি হাদীছ শরীফ চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদীছ শরীফ উনার সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন উনাকে ‘মুহাদ্দিছ’ বলে।
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












