পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ৬ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৮ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২০ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
(ধারাবাহিক)
এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি একবার উনার নবী হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের দেখালেন যারা আরশের ছায়ায় স্থান লাভ করবেন।
তাদেরকে যখন দেখানো হলো- তখন তাদের মধ্যে এক ব্যক্তিকে বিশেষ মর্যাদাবান অবস্থায় দেখলেন। দেখে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আরশের ছায়ায় অনেকেই থাকবে এবং অনেকেই রয়েছে। একটা লোককে বিশেষ মর্যাদায় মর্যাদাবান দেখা যাচ্ছে তার কি কারণ, সে কি আমল করেছে যার জন্য সে আরশের ছায়ায় বিশেষ মর্যাদায় অবস্থান করতেছে?
মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, হে আমার নবী হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি জেনে রাখুন, এই লোকটার তিনটা গুণ ছিল।
লোকটার তিনটা গুণ ছিল। এক নাম্বার হচ্ছে- সে কখনও মানুষকে হিংসা করতো না, সাধারণত অনেকের ধন-সম্পদ হয়ে গেলে হিংসা করে থাকে। সে কখনও কাউকে হিংসা করতো না।
দুই নাম্বার হচ্ছে- সে কখনও বিবাদ-বিসম্বাদ করতো না। একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে ফিৎনা-ফ্যাসাদ, বিবাদ সে সৃষ্টি করতো না।
আর তিন নাম্বার- মূল যেটা সেটা হচ্ছে, সে সবসময় তার পিতা-মাতার আনুগত্যতা প্রকাশ করেছে, কখনও সে তার পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়নি বা কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করেনি। বরং আনুগত্যতা প্রকাশ করেছে। যার জন্য তাকে এই ফযীলত, বুযুর্গী ও সম্মান দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই পিতা-মাতার যে হক্ব রয়েছে সেটা খুব সহজ এবং খুব কঠিন। প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, সেটা যথাযথ আদায় করা। যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রত্যেক নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পিতা-মাতার প্রতি সৎ ব্যবহার সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন।
যেমন হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন-
وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا
“আমি হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনাকে নেক সন্তান করেছি অর্থাৎ তিনি পিতা-মাতার সহিত সৎ ব্যবহারকারী ছিলেন, যালিম এবং নাফরমান ছিলেন না। ” (সূরা মারইয়াম শরীফ/১৪)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












