বহুমুখী সংকট নিয়ে ইলিশ ধরতে যাচ্ছেন জেলেরা
, ০৩ মে, ২০২৩ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর
বাংলাদেশের উপকূলে ১০ লক্ষাধিক মানুষ ইলিশ ধরা, ইলিশ ব্যবসা ও ইলিশ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্চ-এপ্রিল দুইমাস ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় এদের জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় অনেকেই ঋণ নিয়ে দিন কাটান। ঋণ পরিশোধ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য ইলিশের এই প্রধান মৌসুমের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু কখনো কখনো তাদের হতাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। ইলিশ না পেলে মৎস্যজীবীদের ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। তবুও ইলিশই মৎস্যজীবীদের আশার আলো। সারা বছর তারা এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে কয়েক বছর ধরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। বছরের বিভিন্ন সময় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এর মধ্যে বছরে প্রধান তিনটি নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মার্চ-এপ্রিল দুইমাস বাচ্চা ইলিশ বড় হওয়ার জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এই সময়ে ইলিশ সমুদ্রে বিচরণ করে এবং বড় হয়। অক্টোবর মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হয় ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকে। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ে মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকায়। যদিও সরকারের তরফে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালীণ মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ আছে সব মৎস্যজীবীরা সেই পুনর্বাসন সহায়তা যথাযথভাবে পান না।
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বহু মৎস্যজীবী প্রথম দিন থেকে ইলিশ ধরতে নামতে পারবেন না। অনেকে এখনও প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি। অনেকে রয়েছেন অর্থনৈতিক সংকটে।
সরকারি খাতায় ইলিশ উৎপাদন বাড়লেও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির সুফল মৎস্যজীবীরা কতটা পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বাংলাদেশের উপকূলের মৎস্যজীবীরা বলেন, সময় বদলের সাথে সাথে তারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নতুন নতুন সংকটের মুখে পড়ছেন। বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলের অধিকাংশ এলাকার মৎস্যজীবীরা তাদের পেশায় সংকট মোকাবিলা করছেন। বিভিন্নভাবে পানিবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে তাদের জীবন ও জীবিকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আরেকদল মৎস্যজীবী মনে করেন, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, মাছ ধরার ক্ষেত্রে বছরের বিভিন্ন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা এবং মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ তাদের পেশায় বাধা সৃষ্টি করছে।
সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর অনেক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হন।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, নাব্যতা সংকটের কারণে নিকট সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জাল ফেলতে পারেন না। এক সময় ৩-৪ ঘণ্টা ট্রলার চালানোর পর মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে জাল ফেলতেন। কিন্তু এখন জাল ফেলার জন্য মৎস্যজীবীদের ১০-১২ ঘণ্টা ট্রলার চালাতে হয়। ফলে মৎস্যজীবীদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। এ ছাড়াও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা, নদী ভাঙন, বনাঞ্চল ছোট হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি কারণে মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার সংকট বাড়ছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদার ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিশর ও কাতারসহ ৮ মুসলিম দেশের
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুই দিনে পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নির্বাচনের আগে দেশে ফিরবেন না তারেক রহমান!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে বন্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালত
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অবশেষে বাড়িতে এলো নৌকাডুবির খবর
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শান্তিচুক্তি সংশোধন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশ ও চীনকে নিয়ে শক্তিশালী জোট করতে চায় পাকিস্তান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভোটে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের বার্তায় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশকে সুশৃঙ্খল করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর উচিত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যোদ্ধাদের এই মর্টারগুলোর আগুনের হলকাতেই নিজেদের ধ্বংস দেখেছে দখলদার বাহিনী
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












