বানভাসিদের এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
-এখনও পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার
, ২৫ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
ঘর-বসতির পুরোটাই যেন ধ্বংসস্তূপ। বানভাসি পরিবারগুলো সব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। ভয়াবহ বন্যার পর ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ ফিরতে শুরু করলেও কাটেনি দুর্ভোগ।
বানের পানি কমার খবরে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হাসি-মুখে বাড়ি ফেরেন ফেনীর ফুলগাজীর ষাটোর্ধ সগুরা খাতুন। কিন্তু সেই হাসি ফিকে হয়ে গেল মুহূর্তেই। সাজানো-গোছানো ঘরটার কিছুই যে অক্ষত রইলো না। খাট, পালঙ্ক, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, দলিল-দস্তাবেজ বানের পানি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে সব।
পরশুরাম উপজেলার কোলাপাড়া গ্রামের কৃষক ইমাম হোসেন জানান, বন্যায় নষ্ট হওয়া সবজির মাচা ভেঙে নতুন করে তৈরি করছেন। সেখানে মাত্র কয়েক হাজার টাকার বিক্রির পর বন্যায় সম্পূর্ণ পচে নষ্ট হয়ে যায়।
ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুরের সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় চারিদিকে সবকিছুই প্লাবিত। বানভাসিরা যেখানে খেতে পারছে না সেখানে ফসলের উপকরণ কেনা তাদের পক্ষে অসম্ভব। এখন কৃষকদের মাঝে ধানের চারা ও শাকসবজির বীজ দিলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি ও সাহস পাবে।
সব হারানোর এমন গল্প একটা দুটো নয় শত শত। ঘর-বসতির আসবাব, কাপড়চোপড় থেকে ব্যবসার পুঁজি- সব হারিয়ে দিশেহারা মানুষগুলো।
বানের পানি যতই কমছে মানুষের বেঁচে থাকার সহায় সম্বলগুলোর ক্ষতচিহ্ন যেন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সহায়-সম্বল হারিয়ে একদম নিঃস্ব বানভাসি মানুষগুলো।
কৃষিখাতে ইতোমধ্যে প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতি নিরূপণ করা গেলেও রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো এবং মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সার্বিক ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে বিভিন্ন মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে এ বন্যায় ফেনীতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে ২০ হাজার কোটির বেশি।
চলতি বছরের তৃতীয় দফার এ বন্যায় ফেনীর সবকটি উপজেলার বিভিন্ন জনপদ আক্রান্ত হয়। মাইলের পর মাইল রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। হাঁটার পরিস্থিতি নেই অনেক রাস্তায়। কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রিসহ সার্বিক ক্ষতি হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কীভাবে এখনো বহাল আছে আইজিপি?
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একই রাতে দুই সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ!
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফোন কেনার জন্য নিজ বাড়িতে ডাকাতির নাটক, ৩ কিশোর গ্রেপ্তার
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নির্বাচনে পুলিশকে ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালনের আহ্বান
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইরান নয়, নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলই বড় হুমকি’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাসিনা প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর: ‘সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘যেকোনো সময় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ফেব্রুয়ারিতে হবে পরিবর্তনের সূচনাকারী নির্বাচন’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












