বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি
, ১৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
“অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভারত নীতিতে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। আওয়ামী লীগ একটা অনুগত নীতি গ্রহণ করে। ভারতের সাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চেয়েও ভারত আওয়ামীলীগ সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়েছে।”
“উল্লেখ্য যুদ্ধবিহীন দুটি দেশের মাঝে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। যেখানে ৯৮% বাংলাদেশি, হয়তো ২% ভারতীয়। এটা খুব স্পষ্ট ভারতের সাথে রাষ্ট্রের চেয়ে দলের সম্পর্ক হয়েছে বেশি বাংলাদেশের। নিজের নদীতে পানি নাই তার মধ্যে ফেনী নদীর পানি তাকে দিয়ে দিচ্ছে’।
সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এক বিজবি সদস্য নিহতের ঘটনায় অভিযোগ করে ব্যাক্তি মহল বিশেষ বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে আমাদের বাহিনীকে মেরে ফেলেছে যার ন্যূনতম প্রতিবাদ সরকার করেনি।’ ভারতের পশ্চিম বাংলার বিজেপিবিরোধী প্রবল অবস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মোদিবিরোধী মনোভাবে জোয়ার যুক্ত হলে- বাংলায় মোদির আধিপত্য বিস্তারের অনেকদিনের স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ ও ক্ষোভ দেখা গেছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতার পালে বেশ জোরে একটা হাওয়ার ঝাপটা দিয়ে গেল। বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে চারদিকের ভারত বিরোধিতার জোয়ারকে আরও উস্কে দিয়ে ভারত নিজের স্বার্থ কতোটা হাসিল করতে পারবে, নিরাপত্তা কতোটা সুরক্ষিত থাকবে- এটাই এখন ভাবাচ্ছে নীতি-গবেষকদের। অনেকে মনে করেন- বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত মার্কিন অবস্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ধীরে ধীরে আমেরিকার অবস্থানের কাছাকাছি আসার পথে হাঁটলে চীনকে ঠেকানোতে যেমন মার্কিন সহযোগিতা বাড়বে, নিজের নিরাপত্তা ঝুঁকিও কমবে।
ভোটের আগে আগে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র একটি সম্পাদকীয় মন্তব্য লিখেছিল। বলা হয়েছিল, ভারত ও আওয়ামী লীগের স্বার্থেই শেখ হাসিনাকে থামানো উচিত।
ভারত যেকোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকে সমর্থন করার নীতি গ্রহণের কথা সবারই জানা। তার পরেও টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয়টা সামনে চলে আসার পর থেকে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা হলো- তবে কি বাংলাদেশ নীতিতে ভারতের থিংকট্যাঙ্কগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা তৈরি হতে শুরু করেছে। বিজেপি সরকার আর ভারত রাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থানের ভিন্নতা কি দ্বন্দ্বের রূপ নিতে শুরু করেছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, বড় দেশ হিসাবে ভারত প্রতিবেশি ছোট দেশগুলোর সমর্থন তাদের পেছনে আছে বলে এরকম ধরেই নিয়েছে। কিন্তু “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন নীতির কারণে অনেক ক্ষুব্ধ হয়েছে।” তারা বলেন তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশ কাঙ্খিত সমর্থন ভারতের কাছে পায়নি। তারা বলেন তবে তারপরেও প্রতিবেশিদের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ভাল বন্ধু যদি কেউ থাকে সেটা হল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কখনই আগ বাড়িয়ে কোন পদক্ষেপ নেবে না যেখানে ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়।
রওনক জাহান বলেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশ যদি নিজের স্বার্থে কখনও মনে করে যে চীনের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে, সেটা বাংলাদেশকে করতে হবে।
ভারতের আচরণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চীন একটা জায়গা করে নিচ্ছে। এই অঞ্চলে নেপাল -শ্রীলংকাও চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলেছে, প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের ঘাটতির বিষয়টা হয়তো ভারত এখন অনুধাবন করছে। সেজন্য ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের শীতলতা হয়তো কাটানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু ভারত আচরণ পরিবর্তন না করলে শুধু আলোচনা করে বা ভাল ভাল কিছু কথা বলেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি দূর করা যাবে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
যখন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট আলোচনায় এসেছে। মহামারি পরিস্থিতি সামাল দেয়া এবং ভ্যাকসিন ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের সাথেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যেমন নানা জল্পনা কল্পনা চলছে, একইসাথে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের গণমাধ্যমেও দেশটির রাজনৈতিক মহলের অস্বস্তির বিষয় শিরোনাম হয়েছে।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে যে ধরনের সাড়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তা আরও একটি নীরব গণপ্রতিরোধের অবস্থা- ভারতের বাণিজ্যের জন্য তৈরি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এ ছাড়া ভারতের পশ্চিম বাংলার বিজেপিবিরোধী প্রবল অবস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মোদিবিরোধী মনোভাবে জোয়ার যুক্ত হলে- বাংলায় মোদির আধিপত্য বিস্তারের অনেকদিনের স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সমপ্রতি বাবরি মসজিদ প্রাঙ্গণে মন্দির উদ্বোধনে মোদি যে কুৎসিত সম্প্রদায়িকতা দেখিয়েছে তা ভারতের সমপ্রীতিবাদী জনগণ তেমন ভালোভাবে নেয় নাই। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ ও ক্ষোভ দেখা গেছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতার পালে বেশ জোরে একটা হাওয়ার ঝাপটা দিয়ে গেল। বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার জোয়ারকে আরও উস্কে দিয়ে ভারত নিজের স্বার্থ কতোটা হাসিল করতে পারবে, নিরাপত্তা কতোটা সুরক্ষিত থাকবে- এটাই এখন ভাবাচ্ছে নীতি-গবেষকদের।
অপর দিকে উল্লেখ্য বাইডেন শুরু থেকেই যেভাবে নিঃশর্তে নেতানিয়ানহুকে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন তার রাজনৈতিক পরিণতি তার জন্য ভালো হয়নি। দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েলের গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের প্রতি তার নিঃশর্ত সমর্থন দেশের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে মার্কিন জনগণের বৃহৎ একটি অংশ তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার ভাবমূর্তি ও আধিপত্য খুইয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পরাজয় ও ইউরোপের যুগপৎ রাজনৈতিক ও জ্বালানি সংকট। ইউরোপে রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে তা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। জায়নিস্ট দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েলের নির্লজ্জ তল্পিবাহক হিসেবে হাজির হওয়া স্নায়ুযুদ্ধোত্তর বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চরম লজ্জার বিষয়। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এখন কথা উঠেছে যে ইসরায়েল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক দেশ নয়। তাহলে উভয় দেশের স্বার্থ এক হতে পারে না। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়েও তর্ক উঠছে। বহু কিছুই অতএব এখন দ্রুতবেগে ঘটতে থাকবে। প্রশ্ন হচ্ছে, গাজার ঘটনাবলীর চাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কমবে কি? হ্যাঁ। আপাত দৃষ্টিতে কমতে শুরু করেছে। এখন দিল্লির সমর্থনে ক্ষমতাসীন পক্ষে নির্বাচন সহজ হলো।
তবে এখন তারা চাইবে সংঘাত ও সহিংসতার নামে দিল্লি নিরাপত্তার অজুহাত এনে যেন আরও সরাসরি ও প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশে শাসক শক্তির উদ্ধার কর্তা হিসাবে হাজির হয়। মণিপুর ও মিয়ানমারের বাস্তবতা পরিষ্কার জানান দিচ্ছে যে, পূর্ব ভারত ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে দিল্লির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, যাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা দিল্লি নিজেও দ্রুত হারাচ্ছে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন, এমন নয় মোটেও। ২২ নভেম্বর ঞরসবং ড়ভ ওহফরধ-র সম্পাদকীয়কে তাই হালকাভাবে নেবার উপায় নাই ঐধষঃরহম ঐধংরহধ: ওহফরধ ংযড়ঁষফ ড়িৎৎু ধনড়ঁঃ ইধহমষধ চগ'ং ধঁঃযড়ৎরঃধৎরধহ ংঃৎবধশ. ওঃ রিষষ যঁৎঃ যবৎ রহঃবৎবংঃং ধং বিষষ ধং ঘবি উবষযর'ং অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারতের স্বার্থে প্রধান মন্ত্রীকে থামানো উচিত? কেন? যেন রাজনীতির খেলাটা মূলধারার বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া রীতিমতো সম্পাকীয় ফেঁদে বলছে, বিএনপিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উগ্রপন্থীদের পথ করে দেওয়া। এটা বিএনপি এবং শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ উভয়ের জন্যই খারাপ। খেয়াল করুন, এই সম্পাদকীয় বিএনপির ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর বটে। বোঝা যাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দিল্লির নীতিনির্ধারকদের প্রভাবশালী একটি অংশের কাছে বিএনপি দিল্লির স্বার্থের প্রতিকূল নয়, অনুকূল। বিএনপিকে প্রান্তিক করা হলে বাংলাদেশে ‘উগ্রপন্থা’ শক্তিশালী হবে, তাই এই যুক্তি দিতে তারা দ্বিধা করছে না।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












