ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৪)
, ১১ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আইন ও জিহাদ
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিশর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য “Confession of British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
(মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো)
১০। মুসলমানদের মধ্যে বিদয়াত প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে এবং ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম বলে সমালোচনা করবে। প্রচার করবে যে মুসলিম দেশগুলো হচ্ছে অপ্রগতিশীল এবং তারা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে শুধু ইসলামের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে।
(অপরদিকে পৃথিবীতে সবচেয়ে সভ্য এবং বড় সাম্রাজ্য মুসলমানরাই তৈরী করেছিলেন। মুসলমানরা অধঃপতিত হচ্ছে শুধু ইসলাম থেকে সরে যাবার কারণে)
১১। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, সন্তানদের তাদের পিতা থেকে সরিয়ে দিতে উস্কানি দিতে হবে এবং এভাবে পিতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে হবে। আমরা তাদের শিক্ষিত করবো। যে সময়টা তারা পিতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে তখন আর তাদের কোন সুযোগ থাকবে না তাদের পিতার বিশ্বাস, আদর্শ এবং উলামাদের স্পর্শে যাবার।
১২. নারী জাতিদের প্ররোচিত করতে হবে যাতে তারা তাদের পর্দা থেকে সরে আসে। মিথ্যা কথামালা তৈরী করে বলতে হবে নিজেকে আবৃত রাখা ইসলামের মূল নির্দেশ নয় বরং আব্বাসীয় খেলাফতের সময়কালীন এটি একটি প্রথামাত্র। পূর্বে অন্যান্য পুরুষরা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দেখতে পেতেন এবং উনারা সকল সামাজিক কর্মকা-ে যোগ দিতেন। মহিলাদের তাদের ঐতিহ্যগত পোশাক থেকে সরিয়ে যুবকদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে একটা অশোভনীয় পরিবেশ তৈরী করতে হবে। ইসলামকে নষ্ট করার এটা একটা কার্যকর পদ্ধতি। প্রথমে অমুসলিম এ কাজে ব্যবহার করতে হবে। সময়ের পরিক্রমায় মুসলমান মহিলারাও ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যাবে এবং অমুসলিম মহিলাদের পথ অনুসরণ করবে।
(উপরের আলোচনাটি হেমপারকে দেয়া বইটিতে উদ্ধৃত ছিলো। পর্দা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের ১১২-১৩১তম সংখ্যা পড়–ন। সেখানে হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়া হয়েছে। )
১৩. মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে অপবাদ রটিয়ে জামাতে নামায আদায় বন্ধ করতে হবে এবং এতে সর্বপ্রকার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যে সকল মুছল্লী সেই ইমামের পিছনে নামায পড়বে তাদের প্রতি দেখাতে হবে অবজ্ঞা এবং বিরূপ মনোভাব।
১৪. সব মাযার শরীফ ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রচার করতে হবে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় এসব উপস্থিত ছিলো না। শুধু তাই নয়; মাযার শরীফ যিয়ারতের ব্যাপারে সন্দেহ প্রবেশ করিয়ে দিয়ে নবী আলাইহিস্্ সালাম, খলীফা এবং নেককার মুসলমানগণ যেখানে শুয়ে আছেন সে সকল স্থান যিয়ারত করতে বাধা প্রদান করতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাতার পাশে শুয়ে আছেন।
হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম এবং হযরত উমর আলাইহিস সালাম শুয়ে আছেন বাকি নামক গোরস্থানে। হযরত উছমান আলাইহিস সালাম উনাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি। কাজিমিয়াতে অবস্থিত দু’টো মাযার শরীফ দু’জন খলীফার। কিন্তু তারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর কাজিম বা জাওয়াদ নয়। তুস শহরে যে মাযার শরীফ রয়েছে তা হারুন নামীয় কারো। তিনি আহলে বাইতের সদস্য রিদা নামীয় কারো নয়। সামেরাস্থ কবরগুলো আব্বাসীয়দের। সেগুলো আহলে বাইতের সদস্য হাদী, আসকারী এবং মাহদীর নয়। যেহেতু সব মুসলিম দেশের মাযার ও গম্বুজ ধ্বংস করা ফরয, সে কারণে জান্নাতুল বাকীর সব কবরসমূহ নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
(যদিও কিছু মানুষের ঈমান আক্বীদা বিনষ্ট করতে ওহাবীরা সক্ষম হয়েছে তার মানে এই নয় সব বিষয়েই তারা কামিয়াব। আল্লাহ পাক উনার অসীম রহমতের কারণে বংশানুক্রমে মানুষ ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের মাযার শরীফসমূহ সঠিকভাবেই চিহ্নিত করে আসছেন। )
ভাষান্তর : আবুল বাশার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৯)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৮)
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যবসা করা হালাল ও সুন্নত আর সুদ হারাম
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












