সম্পাদকীয়-২
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
, ১৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৮ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংকট মোকাবিলায় সব সময়ই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের কোটা নিয়ে শুরু হওয়া সহিংসতায় জনমনে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে দেশপ্রেমিক সেনারা।
বাংলাদেশের গর্ব এই বাহিনী মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকে শান্তির কাজে স্থান করে নিয়েছে। শান্তির কাজে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা দিয়ে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাচ্ছে। এই কৃতিত্ব শুধু সশস্ত্র বাহিনীর নয় গোটা জাতিরও বটে।
শুধু নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে। দেশের ও জাতীয় স্বার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি বিতরণ, ভিজিডি কার্ড বিতরণ, টিআরকাবিখার হরিলুট বন্ধে ব্যবস্থা, ওয়াসার পানি বন্টন, ট্রাফিক যানজট নিরসন, চট্টগ্রামের পাহাড় ধস, জনদুর্ভোগ নিরসনে ত্বরিত কালভার্ট, সেতু, রাস্তা নির্মাণ, রানা প্লাজা ও র্যাংগস ভবন সহ শিল্প কারখানার আগুন নির্বাপনে, ৮৮, ৯১ এর সর্বগ্রাসী সামুদ্রিক পানিচ্ছাস, টর্নেডো, গোর্কির তান্ডব, উড়িরচরে সামুদ্রিক পানিচ্ছাস ও মহাপ্লাবনে যখন সারাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত, লন্ড-ভন্ড ও বিপর্যস্ত হয় সেই সময় দুর্দশাগ্রস্ত দুর্গতের পাশে দাড়িয়েছিলো সেনাবাহিনী।
দেশগঠনমূলক কাজে সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যেমন পদ্মাসেতু রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্প, মহিপাল ফ্লাইওভার, কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, সীমান্ত সড়ক প্রকল্প, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণ রাস্তা এবং কালভার্ট নির্মাণ করেছে, যা উক্ত অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক অবদান রেখেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহের প্রাদুর্ভাবের সময়, বাংলাদেশ সরকার সিআইও-এর জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। যুদ্ধের প্রক্রিয়ায় অনেক অফিসার এবং সদস্যবৃন্দ তাদের দেশপ্রেমের জন্য মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যা দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক কাউন্টার ইনসার্জেন্সি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসামান্য অবদানের কারণে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দশকেরও বেশি দীর্ঘ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। বর্তমানে সেনাবাহিনী সরকারকে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পোস্ট সিআইওর ভূমিকা পালন করছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বরাবরই দেশের পক্ষে সাহসী ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে পেশাদার ও বিশ্বমানের। নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে তারা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে আছেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে শান্তি-সংগ্রামের পাশাপাশি অর্থনীতিতে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী অনন্য অবদান রাখছে। শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত আয় বাংলাদেশের তৃতীয় আয়ের খাত।
সেনাবাহিনী কোন ব্যক্তি, গোষ্টি ও দলের নয়। সেনাবাহিনী এদেশেরই নাগরিক ও দেশরক্ষার অকুতোভয় গর্বিত সন্তান। দেশের জন্য তাদের দরদ ও দেশপ্রেম অন্য কারো চেয়ে কোন অংশে কম নহে। তারপর সেনাবাহিনী যেহেতু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাহিনী সে হিসেবে জাতীয় প্রয়োজনে সাংবিধানিকভাবে অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও নির্দেশনা মেনে চলাটাও শৃংখলারই অংশ।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও পেশাগত দক্ষতায় বলীয়ান হয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ও দেশ গড়ার কাজে আরো বেশি অবদান রাখবেন।’
সকল দল-মতের উর্দ্ধে অতীতের মত তাদের থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগজাল ছিন্ন করে দেশের কল্যাণে সেনাসদস্যরা কাজ করবে ইনশাআল্লাহ এমনটাই প্রত্যাশা বাংলার গণ মানুষের।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












