সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী আসবাবপত্রের পরিচয় ও ব্যবহার করার গুরুত্ব-ফযীলত মুবারক
, ০৫ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ব্যবহৃত মহাসম্মানিত সুন্নতী আসবাবপত্র সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: সাধারণভাবে আসবাবপত্র শব্দের স্বাভাবিক অর্থ হচ্ছে ঘরের দ্রব্যাদী, ঘরে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবহারিক জীবনে সামগ্রিকভাবে যা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
(১) এককথায় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেসমস্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী, আসবাবপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদী ব্যবহার করেছেন বা ব্যবহার করার জন্য মহাসম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন সেসকল দ্রব্যাদী ও আসবাবপত্রকে মহাসম্মানিত সুন্নতী আসবাবপত্র বলা হয়।
(২) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যেসকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী, আসবাবপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদী ব্যবহার করেছেন বা ব্যবহার করার জন্য মহাসম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন সেসকল দ্রব্যাদী ও আসবাবপত্রকে মহাসম্মানিত সুন্নতী আসবাবপত্র বলা হয়।
মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যবহৃত তৈজসপত্রাদীসমূহ অনেক সম্মানিত এবং বরকতময়।
কেননা ইজমা হয়েছে-
اِنَّ التُّـرْبَةَ الَّتِىْ اِتَّصَلَتْ اِلٰى اَعْظُمِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত জিসিম মুবারক) উনার স্পর্শ লাভে যে মাটি মুবারক ধন্য হয়েছে, তা যমীন ও আসমানের সমস্ত কিছু থেকে অধীক ফযীলতপূর্ণ। এমনকি সুমহান আরশে আযীম উনার থেকেও বেশী ফযীলতপূর্ণ। ” সুবহানাল্লাহ! (রদ্দুল মুহতার, শামী, বাবুয্ যিয়ারহ)
ফিক্বাহ শাস্ত্রের সুবিখ্যাত কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
مَا ضَمَّ أَعْضَاءَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فَاِنَّه اَفْضَلُ مُطْلَقًا حَتّٰى مِنَ الْكَعْبَةِ وَالْعَرْشِ وَالْكُرْسِىِّ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জিসিম মুবারক উনার স্পর্শ/পরশ মুবারক লাভে ধন্য সবকিছু এমনকি পবিত্র কা’বা শরীফ, পবিত্র আরশে আ’যীম শরীফ ও পবিত্র কুরসী শরীফ হতেও শ্রেষ্ঠ। ” সুবহানাল্লাহ! (দুররুল মুখতার ২য় খন্ড, ৬২৬ পৃষ্ঠা)
সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত তৈজষপত্র মুবারক ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ “মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে উনাদের মর্যাদা অন্য সমস্ত তৈজষপত্রের চেয়ে সর্বোত্তম। যদিও অন্যান্য তৈজষপত্র ব্যবহার করা যাবে কিন্তু মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক ব্যবহারের যে ফযীলত সে ফযীলত হাছিল করা যাবে না।
যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক ব্যতীত কোন কথা মুবারক বলেননি, কোন কাজ মুবারক করেননি। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ-অনুকরণের লক্ষ্যে মুসলমান উনাদেরকে মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক ব্যবহার করতে হবে। আর মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক ব্যবহার করতে হলে আগে মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক সম্পর্কে জানতে হবে বা ইলিম অর্জন করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلْعِلْمُ اِمَامُ الْعَمَلِ
অর্থ: “ইলিম হচ্ছে আমলের ইমাম। ” (মিফতাহু দারিস সাআদাহ)
আর তাই- খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মুসলমানদেরকে কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের অনুসরণ থেকে ফিরিয়ে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাদের রঙ্গে রঙিন করে দিতে মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক বিষয়ে অনবদ্য তাজদীদ মুবারক করেছেন। দৈনিক আল ইহসান শরীফ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ, বিভিন্ন কিতাবাদির মাধ্যমে প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এই অভূতপূর্ব তাজদীদ মুবারক উনার মাধ্যম দিয়ে মুসলমানরা বিভিন্ন মহাসম্মানিত সুন্নতী তৈজষপত্র মুবারক সম্পর্কে জানতে পারছে। সুবহানাল্লাহ!
সর্বোপরি সমস্ত কায়িনাতবাসির জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক সম্পর্কে ইলিম অর্জন করে, আমলে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক, মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক, খাছ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“আঙ্গুর” মহাসম্মানিত সুন্নতী ও জান্নাতী ফল
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সকল প্রকার সুন্নতী সামগ্রী সংগ্রহ করুন
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার নেয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লেবাছ “পাগড়ী
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কচু/ কচু শাক খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী জয়তুনের তেল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল জয়তুন
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী কাঠের লবণদানী
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা এবং ছানা ছিফত মুবারক বর্ণনা করাই হচ্ছেন “ইবাদত” উনার হাক্বীক্বত
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)