ইজমা হয়েছে যে, ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-বালি তথা পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই মহাসম্মানিত ও বরকতময় এবং ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন। আসমান-যমীন; এমন কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি।’
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ।
তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত ইছনাইনিল আযীম শরীফ, মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ! আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা।
, ২২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরতুল আল্লামা হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন- “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা বলেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ‘হস্তিবর্ষের মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা বার হিসেবে ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)।” সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ বর্ণনা ‘বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘সীরাত-ই-হালবিয়াহ’, ‘যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব’, ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে। বিশিষ্ট তাফসীরকারক হযরতুল আল্লামা ইবনে কাছির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘বেদায়া-নেহায়া’ ২য় খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠায় লিখেন, “সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন। এটাই প্রসিদ্ধ, মাশহুর ও গ্রহণযোগ্য মত।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইজমা হয়েছে যে, ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-বালি তথা পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই মহাসম্মানিত ও বরকতময় এবং ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন। আসমান-যমীন; এমন কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি।’
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেহেতু এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি কায়িনাতবাসীদেরকে বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ফযল ও রহমত হিসেবে (আমাকে) লাভ করেছো, সেজন্য তোমরা ঈদ বা খুশি প্রকাশ করো।’ সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেহেতু এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত ইছনাইনিল আযীম শরীফ, মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ! আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা যাবে। যে ঘরে পবিত্র ছলাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ-পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হবেনা সেই ঘর অন্ধকার কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যদি এই দুনিয়া মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একটি মশার পাখার সমপরিমাণ মূল্যেরও হতো তাহলে তিনি কোনো কাফিরকে এক ঢোক পানিও পান করাতেন না। দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট।
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ঊলা তথা প্রথমা, কুবরা তথা মূল, বড়, মহান, শ্রেষ্ঠা। সুবহানাল্লাহ!
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস অত্যন্ত জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপনে সার্বিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।।
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)