পাঠক কলাম:
মহিলাদের মুখ মন্ডলের ছবি তুলতে নিষেধের কথা কি শুধু আমরাই বলি??
, ১০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
একজন আমাকে বললো- পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের জন্য মহিলাদের মুখম-লের ছবি তোলার ব্যাপারে শুধু আপনারাই নিষেধ করেন। অন্য আর কাউকে নিষেধ করতে দেখিনি।
যারা এ ধরনের কথা বলেন, তাদেরকে আমি বলবো, শুধু আমরাই এ কথা বলি না, বরং বিশ্বের অনেক আলেমই একই ফতওয়া দিয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ বিভিন্ন দ্বীনি ইস্যুতে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ ভিত্তিক ফতওয়া দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত ‘আল ফিক্বহ ডট কম’ -এর ফতওয়াগুলো দেখতে পারেন। সেখানে পাসপোর্ট বা আইডির জন্য মহিলাদের মুখম-লের ছবি তোলার ব্যাপারে ফতওয়া দেয়া হয়েছে। আসুন ফতওয়াটি হুবহু অনুবাদ দেখি-
প্রশ্ন: পাসপোর্টে বা অন্য কোথাও মহিলাদের মুখের ছবিগুলিকে কি ‘আওরাহ (শরীরের অংশ যা জনসম্মুক্ষে ঢেকে রাখতে হবে) প্রকাশ করার জন্য বিবেচনা করা হয়? একজন মহিলা, যে তার ছবি তুলতে অস্বীকার করে, তার পক্ষে কি অন্য কাউকে হজ্জ করার জন্য অর্থ প্রদান করা জায়েয, কারণ সে এই কারণে পাসপোর্ট পেতে পারে না? কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে) অনুযায়ী মহিলাদের পোশাকের সীমা কী?
উত্তর: একজন মহিলার জন্য তার মুখের ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া জায়েয নয়, তা পাসপোর্টে হোক বা অন্য কোথাও, কারণ তার চেহারা আওরার (ছতর) অন্তর্ভুক্ত এবং পাসপোর্টে বা অন্য কোনও নথিতে তার মুখের ছবি রাখা অন্যতম। পুরুষদের মধ্যে ফিতনা (প্রলোভন) জাগানোর কারণ। (পার্ট নং ১৭; পৃষ্ঠা নং ১৭০)
কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ থেকে প্রমাণ অনুযায়ী একজন নারীর পুরো শরীরই ‘আওরাহ’। অতএব, একজন মহিলার জন্য অ-মাহরাম (স্ত্রী বা স্থায়ীভাবে অবিবাহিত আত্মীয় নয়) এর আগে তার সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা ওয়াজিব, কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন: ... এবং তাদের স্বামীদের ছাড়া তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করা, অথবা তাদের পিতা, অথবা তাদের স্বামীর পিতা, অথবা তাদের পুত্র, অথবা তাদের স্বামীর পুত্র এবং তিনি বলেন: এবং যখন তোমরা (স্ত্রীলোকদের) কাছে যা কিছু চাও, তখন পর্দার আড়াল থেকে তাদের কাছে চাও, এটি তাদের জন্য পবিত্র। আপনার হৃদয় এবং তাদের হৃদয়ের জন্য। ....”
-উম্মু আমিম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












