মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ বোঝা নয়, বরং মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া ইহসান মুবারক
, ৩০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
তখন উম্মুল মু'মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি জিজ্ঞাসা মুবারক করলাম- ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি দু’জন হয়? তখন তিনি জবাব মুবারক দিলেন, “তাহলেও এভাবে আমি থাকবো। ” সুবহানাল্লাহ!
পরবর্তী আরেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উম্মুল মু'মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা মুবারক করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি কারো একজন মেয়ে সন্তান থাকে- তাহলে? তখন তিনি জবাব মুবারক দিলেন সে আর আমি এভাবেই থাকবো। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ কোনো পিতা মেয়েদের দ্বীনি তালীম-তালকীন দিয়ে নেককার পরহেযগার করে এবং নেককার পরহেযগার পাত্রের সাথে বিয়ে দেয় তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উক্ত পিতা একত্রে জান্নাতে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলত এখন সেই মেয়ে সন্তানদের দ্বীনি তা’লীম-তালক্বীন দেয়া হয় না; বরং বলে থাকে আমার এই মেয়েকে পুরুষের মতো করে স্বাবলম্বী করে তুলবো। যার কারণে এই স্বাবলম্বীর আকাঙ্খা পিতা-মাতার জন্য আযাব-গযবে পরিণত হয়। নাউযুবিল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে একজন মেয়ে আল্লাহওয়ালী হলেই একটা সমাজ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়া সহজ হয়। কেননা একটি মেয়ে এক সময় মা হয়। আর একজন মা যখন আল্লাহওয়ালী হয় তখন তার সন্তান-সন্তুতিগণ সহজেই আল্লাহওয়ালা আল্লাহওয়ালী হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেক পিতা-মাতাকে তাদের ছেলে সন্তানের পাশাপাশি মেয়ে সন্তানের তা’লীম-তালক্বীন অর্থাৎ দ্বীনি শিক্ষায় সচেতন হওয়া বাঞ্চণীয়। যখন সমাজের সব মেয়েরা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, সমাজ হবে কুলষমুক্ত, ফিতনা-ফাসাদ মুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
এখন এই সঠিক দ্বীনি ইলম শিক্ষা অর্জনের সঠিক স্থান হলো একমাত্র ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসা। যা সাইয়্যিদুনা ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা সহধর্মীনি উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকাতায় পরিচালিত। যেখানে খাছ পর্দার সাথে পবিত্র ইলমে ফিক্বাহ ও পবিত্র ইলমে তাসাউফসহ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনার আলোকে শিক্ষা দিয়ে হাক্বীক্বী আল্লাহওয়ালী বানানো হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাই আজই আপনার সন্তানকে দেরি না করে ঈমান-আক্বীদা আমল হিফাযত করার একমাত্র সু-প্রতিষ্ঠান মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ উনার মধ্যে নিয়ে আসুন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












