মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমাদের পরস্পরের আমানত সম্পর্কে খিয়ানত করো না। ’
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
, ৪ঠা জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা জনগণের কল্যাণে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত হয়ে থাকে। বিনিময়ে সরকার তার অধীনে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকে। এমনিভাবে প্রতিটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকে। এজন্য সকল কর্মচারীদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, জনগণের কাজ ভালোভাবে দায়িত্বসহকারে যথাযথ সম্পাদন করে দেয়া। এজন্য কাজের বিনিময়ে তারা জনগণের নিকট হতে অতিরিক্ত কোন কিছু গ্রহণ না করা। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সেটা হবে ঘুষ। কেননা এ সম্পর্কে কঠিন হুশিয়ারী দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন- আমরা যাকে কোন কাজে নিযুক্ত করি এবং তাকে সে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করি, সে যদি জনগণের নিকট হতে তার পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে তাহলে তা হবে ‘গুলূল’ অর্থাৎ খিয়ানত তথা অবৈধ-ঘুষ।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কাজ সরকারী-বেসরকারী প্রতিটি কর্মচারীদের নিকট পবিত্র আমানত। এ আমানতের খিয়ানত করা যাবে না। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ‘হে মু’মিনগণ! জেনে শুনে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে খিয়ানত করো না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও খিয়ানত করো না। জেনে রেখো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তÍান-সন্তুতিতো এক পরীক্ষা। আর মহান আল্লাহ পাক উনারই নিকট মহা পুরস্কার রয়েছে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তোমাদের মধ্যে যাকে আমি কার্যে আমিল নিযুক্ত করি, আর সে যদি আমাদের নিকট থেকে একটি সূঁচ অথবা তদপেক্ষা ছোট কিছুও গোপন করে তাহলে নিশ্চয়ই তা হবে আমানতের খিয়ানত, যা নিয়ে সে ক্বিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একবার খলীফা উমর ইবনে আবদুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট কিছু হাদিয়া পেশ করা হলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। তখন উনাকে বলা হলো, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদিয়া গ্রহণ করতেন; কিন্তু আপনি করছেন না কেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদিয়াই গ্রহণ করেছেন; কিন্তু আমাদের জন্য এটাতো রিশওয়াত (ঘুষ) ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি তো সমস্ত কিছুর মালিক তাই উনাকে হাদিয়া দ্বারা উনার নৈকট্যের আকাঙ্খা করা হতো; কিন্তু আমাদেরকে এখন আমাদের শাসন ক্ষমতার জন্য কিছু দেয়া হয়। ’’
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত মুআ’য ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ইয়েমেনে পাঠালেন। আমি রওয়ানা হলে তিনি আমার পেছনে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে আমাকে ফিরিয়ে আনলেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি কি বুঝতে পেরেছেন আমি কেন (লোক পাঠিয়ে) আপনাকে ডেকে এনেছি?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমার অনুমতি ব্যতীত আপনি (মানুষের নিকট হতে উপঢৌকন হিসেবে) কোন মাল গ্রহণ করবেন না। কেননা এভাবে গ্রহণ করা আত্মসাত বা খিয়ানত। যে ব্যক্তি আত্মসাত করবে সে হাশরের দিন আত্মসাতের মালসহ উপস্থিত হবে। আমি আপনাকে এ কথাগুলো বলে দেবার জন্যই ডেকেছি। এখন নিজের কাজে রওয়ানা হন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ইহুদীদের নিকট প্রেরণ করেছিলেন। উনার দায়িত্ব ছিলো ইহুদীদের খেজুর বাগানের ‘খারাজ’ (কর) কত হয় তার পরিমাণ নির্ধারণ করা। তিনি যখন ইহুদীদের নিকট পৌঁছলেন তখন উনার সামনে ‘রিশওয়াত’ (ঘুষ) স্বরূপ কিছু মাল পেশ করা হলো। হযরত সাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তা দেখে তাদেরকে বললেন, তোমরা যা পেশ করেছো তা তো ‘রিশওয়াত’ (ঘুষ)। আমরা তা কিছুতেই গ্রহণ করবো না।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিচারক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বিবাদমান পক্ষদ্বয়ের কারো নিকট হতে কোন হাদিয়া বা উপহার গ্রহণ করতে পারবে না। গ্রহণ করা হলে তা ঘুষ হিসেবে গণ্য হবে। দেশে বিচারক, কর্মকর্তা, কর্মচারী তার পর্যাপ্ত বেতন ভাতা এবং তার পরিবারের ভরণপোষণ সরকার থেকে প্রাপ্ত হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমরা কাউকে সরকারী কাজে নিয়োগ করলে তার বাসস্থান না থাকলে তার ব্যবস্থা করে দেবো, তার খাদেম না থাকলে আমরা তা ব্যবস্থা করে দেবো, আর আহলিয়া না থাকলে আমরা তার বিবাহের ব্যবস্থা করে দেবো। ’ তাই যদি কেউ ঘুষ গ্রহণ করে তাহলে তাকে বরখাস্ত করা সরকারের কর্তব্য।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, জনগণের কাজ সম্পাদন করে দেয়া। আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপাজন করে তা হালাল পথে খরচ করা। তাহলেই আমানত রক্ষা করা সহজ ও সম্ভব হবে। এমনকি উক্ত পন্থায় কাজ করলে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা সহজ থেকে সহজতরভাবে সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক। যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার “পবিত্র শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন। কাজেই প্রত্যেক সালিকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রত্যেক দিন নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ একবার অবশ্যই পাঠ করা।
১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে ভোট চাওয়া, নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া তথা প্রচলিত গণতান্ত্রিক রাজনীতি বা মানব রচিত কোন মতবাদ অনুসরণ করা সম্পূর্ণ হারাম। যে সমস্ত ধর্মব্যবসায়ীরা বলে থাকে যে, ‘নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতি বা ভোট নির্বাচন করেছেন’। নাউযুবিল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ছুবহে ছাদিকের সময় মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করেছেন। তাই, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম হলেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা কায়িনাত মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ‘বার’। আর ছুবহে ছাদিক হলেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ বা কায়িনাত মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ‘সময়’।
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশে পবিত্র জুমাদাল ঊখরা শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ১৪৪৭ হিজরী, ২৩শে সাদিস ১৩৯৩ শামসী, ২১শে নভেম্বর ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ দিবাগত সন্ধ্যায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আইয়ামুল্লাহ’ অর্থাৎ সম্মানিত বিশেষ বিশেষ দিনসমূহের কথা উল্লেখ করেছেন। আর এই সম্মানিত দিনসমূহের নিয়ামতসমূহ কখনোই পাওয়া যাবে না যদি চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করা না হয়।
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান এবং রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনাদের এই দেশে মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ীই শাসনকার্যসহ সর্বপ্রকার কার্যপরিচালিত হবে। এটাই এ দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানরা মনে-প্রাণে চেয়ে থাকে এবং এটাই তাদের একান্ত দাবি। তাই বাংলাদেশের সংবিধানে মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী যত আইন রয়েছে তা বাদ দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী সংবিধান রচনা করতে হবে।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ বরকতময় বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানার্থে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা। তবেই ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী অর্জন করা সম্ভব হবে।
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ পবিত্র বরকতময় ১৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হাকিমুল হাদীছ, শাইখুল ইসলাম, হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করার মাধ্যমে দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরয।
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদেরকে না চিনার কারণেই সাধারণ মুসলমান তাদের ধোঁকায় পড়ে সম্মানিত ঈমান-আমল বিনষ্ট করে গুমরাহীতে নিমজ্জিত হচ্ছে। সম্মানিত ঈমান-আমল হিফাযত করতে হলে উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদেরকে চিনতে ও চিহ্নিত করতে হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












