কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সর্বত্র সুখ-শান্তি ও প্রাচুর্য ছড়িয়ে পড়েছিলো। অবস্থা এমন হয়েছিল যে, পবিত্র যাকাত নেওয়ার মত লোক তখন খুঁজে পাওয়া যেত না। সুবহানাল্লাহ!

এই প্রসঙ্গে আবূ মুহম্মদ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল হাকাম মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ২১৪ হিজরী) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘সীরাতু উমর ইবনে আব্দিল আযীয আলা মা রওয়াহু ইমাম মালিক ইবনু আনাস ওয়া আছহাবুহূ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,

হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

بَعَثَنِـىْ حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ علـٰى صَدَقَاتِ اِفْرِيْقِيَّةَ فَاقْتَضَيْتُهَا وَطَلَبْتُ فُقَرَاءَ نُعْطِيْهَا لَـهُمْ فَلَمْ نَـجِدْ بِـهَا فَقِيْرًا وَّلَـمْ نَـجِدْ مَنْ يَّأْخُذُهَا مِنّـِىْ قَدْ اَغْنٰـى حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ النَّاسَ فَاشْتَرَيْتُ بِـهَا رِقَابًا فَاَعْتَقْتُهُمْ

অর্থ: “আমাকে হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আফ্রিকায় পবিত্র যাকাত আদায়ের দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। আমি পবিত্র যাকাত আদায় করে ফক্বীর-ফুক্বারা, গরীব-অস্বচ্ছল লোকদের সন্ধানে বের হলাম যাদের মধ্যে পবিত্র যাকাত উনার এই অর্থ বিতরণ করতে পারি। কিন্তু (আশ্চর্যের বিষয়) একজন ফক্বীর বা গরীব লোকও আমরা পেলাম না এবং এমন একজন লোকেরও সাক্ষাৎ পেলাম না যিনি আমার থেকে পবিত্র যাকাত গ্রহণ করবেন।

قَدْ اَغْنٰـى حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَلنَّاسَ فَاشْتَرَيْتُ بِـهَا رِقَابًا فَاَعْتَقْتُهُمْ

‘হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সবাইকে ধনী বানিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর পবিত্র যাকাত উনার অর্থ দ্বারা আমি কিছু গোলাম ক্রয় করে তাদেরকে মুক্ত করে দেই’। ” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতু উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি লি আব্দিল্লাহ ইবনে আব্দিল হাকাম ১/৬৫)

এটাই হচ্ছেন সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক। সেই সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারকই পরিচালনা করেছেন হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং অন্যান্য হযরত খলীফা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আমীরুল মু’মিনীন, আস সাফফাহ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যদি এই দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে সোনার বাংলাকে স্বর্ণ দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়া সম্ভব। ” সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এই দেশে কোনো কিছুর অভাব নেই। অভাব হচ্ছে শুধু ইনসাফগার শাসকের। বাংলাদেশে যেই সম্পদ রয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার করলে, বাংলাদেশের মানুষ টাকার উপর গড়াগড়ি দিতে পারবে, টাকার উপর ঘুমাতে পারবে এবং স্বর্ণের পাত বিছিয়ে তারা শয়ন করতে পারবে। ” সুবহানাল্লাহ!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।