মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি কি আপনার সিনা মুবারক চাক ও প্রসারিত করিনি? অর্থাৎ আমি আপনার সিনা মুবারক চাক ও প্রসারিত করেছি।” শরহে ছুদূর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনার প্রতি নিয়ামতসমূহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিশেষ এক নিয়ামত।
সর্বাধিক ছহীহ ও বিশুদ্ধ মতে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল ইলম বা সিনা মুবারক চারবার চাক করা হয়েছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চারবার সিনা মুবারক চাকের লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অসীম-অফুরন্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন সেটার প্রকাশ ঘটানো বা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। কেননা সিনা মুবারক চাক করা সম্পর্কে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে না পারলে ঈমানদার থাকা কারো জন্যই সম্ভব নয়।
, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি কি আপনার সিনা মুবারক চাক ও প্রসারিত করিনি? অর্থাৎ আমি আপনার সিনা মুবারক চাক ও প্রসারিত করেছি। মহান আল্লাহ পাক ‘পবিত্র সূরা ইনশিরাহ শরীফ’ উনার প্রথম পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরহে ছুদূর সম্পর্কে বলেন। যা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনার প্রতি নিয়ামতসমূহের বিশেষ এক নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
শরহে ছুদূর বা সিনা মুবারক চাক করা সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ ব্যক্ত করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ছহীহ ও বিশুদ্ধ মতে, নূরে মুজাস্সাম হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সিনা মুবারক চাক করা হয়েছিল চারবার। প্রথমবার যখন তিনি স্বীয় দুধ মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালীমা সা’দিয়া আলাইহাস সালাম তিনি উনার লালন-পালনে, তখন উনার বয়স মুবারক তিন থেকে পাঁচ বছর ছিলো। দ্বিতীয়বার দশ থেকে চৌদ্দ বছর বয়স মুবারকে। তৃতীয়বার আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক ঘোষণার সময় হেরা গুহায় এবং চতুর্থবার আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাতিল ফিরকার লোকেরা বলে থাকে যে, “প্রথমবার সিনা মুবারক চাকের সময়, উনার ভিতর থেকে ক্বল্ব বের করে তা ফেঁড়ে শয়তানের অংশ বের করে ফেলে দিয়ে ক্বলবকে পবিত্র করা হয়েছিল এবং শিশু সূলভ আচরণ দূরীভূত করা হয়েছিল।” নাঊযুবিল্লাহ! “দ্বিতীয়বার সিনা মুবারক চাকের সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভিতর থেকে মুহলিকাত দূর করা বা মুনজিয়াত পয়দা করা হয়েছিল।” নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্য কুফরীমূলক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ইনকার ও ইহানতের শামিল। কারণ উম্মতদেরকে শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা এবং হিংসা-বিদ্বেষ ও কামভাব দূর করার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে প্রেরণ করলেন উনার মধ্যে সেগুলো থাকে কিভাবে? আর হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা তো নবী ও রসূল যদিও উনারা শিশু হোন না কেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা মতে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা সমস্ত প্রকার খারাপ বিষয় এবং অপবিত্রতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র এমনকি পবিত্র থেকে পবিত্রতম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার রঙে রঙীন, গুণে গুণান্বিত। পবিত্র হাদীছ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আপনাকে খলীল ও হাবীব হিসেবে গ্রহণ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাতিল ফিরকার লোকেরা বলে থাকে যে, “নুবুওওয়াতের ভার বহন ও ধারণ করার জন্য তৃতীয়বার সিনা মুবারক চাক করা হয়েছিলো।” নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার খিলাফ ও কুফরী। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা বিনা সিনা মুবারক চাকে নুবুওওয়াত ও রিসালতের ভার ধারণ ও বহন করলেন, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, যিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষে সিনা মুবারক চাক ব্যতীত নুবুওওয়াত ও রিসালতের ভার বহন ও ধারণ করতে অক্ষম ছিলেন- এ ধারণা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা ও শান মুবারক উনার পরিপন্থী। যা কাট্টা কুফরী। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিসহ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মনোনীত করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম ও মানুষের মধ্য হতে রসূল মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাতিল ফিরকার লোকেরা বলে থাকে যে, “নুবুওওয়াত প্রাপ্তির পরও খারাবী হাল বা ভাব দমিত না হওয়ায় আবার পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে সিনা মুবারক চাক করে পবিত্র করা হয়েছিলো।” নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্যও পবিত্র হাদীছ শরীফ ও সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ হওয়ায় কুফরীমূলক হয়েছে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি বিষয় পবিত্র ওহী মুবারক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং উনার খারাপ হাল বা অবস্থা থাকার ধারণা করা পবিত্র ওহী মুবারক উনার প্রতি দোষারোপের শামিল। যা ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত সঠিক বক্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চারবার সিনা মুবারক চাকের লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অসীম-অফুরন্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন সেটার প্রকাশ ঘটানো বা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা। পবিত্র করা, মা’ছূম করা, মুহলিকাত দূর করা বা মুনজিয়াত পয়দা করা কোনোটাই উদ্দেশ্য নয়। কারণ তিনি তো পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার গুণে গুণান্বিত হয়েই পয়দা হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরহে ছুদূর বা সিনা মুবারক চাক উনার যে ওয়াকেয়া তা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের একটি নিয়ামত প্রদানের আনুষ্ঠানিক ওয়াকেয়া। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত নিয়ামত দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। নতুন করে দেয়ার মতো কোনো নিয়ামত বাকি ছিল না। এর মেছাল হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পয়দা করেছেন। তারপরে দুনিয়াবী জিন্দিগীর চল্লিশ বৎসর বয়স মুবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত ও রিসালত প্রদান করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরহে ছুদূর বা সিনা প্রসারিত হওয়া ব্যতীত আল্লাহ পাক উনার ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের হাক্বীক্বী মুহব্বত, মা’রিফত, তায়াল্লুক, নিসবত ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা সম্ভব নয়। কাজেই সমস্ত উম্মতের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- শরহে ছুদূরের ফয়েয হাছিল করা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। কেননা সিনা মুবারক চাক করা সম্পর্কে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে না পারলে ঈমানদার থাকা কারো জন্যই সম্ভব নয়।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ!
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় ‘লাইলাতুম মুবারকাহ’ আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ মশহূর ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’ বা শবে বরাত। পবিত্র এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে শরীয়তে সুস্পষ্ট অনেক নির্দেশনা রয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক। যারা পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখবে তাঁদের সমস্ত গুণাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং জান্নাতী উটে চড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সুবহানাল্লাহ! যারা তিনটি রোযা রাখতে চায় তাদেরকে ১৩, ১৪, ১৫ শা’বান শরীফ অর্থাৎ আগামী ইয়াওমুল খমীস, জুমুয়াহ ও সাব্ত এ ৩ দিন রোযা রাখতে হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রশস্ত শিরোনাম আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনার মুবারক শানে সর্বো”” হুসনে যন পোষণ করা, মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এ বছরের জন্য আগামী ১৭ই তাসি’ ১৩৯২ শামসী, ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’। সুবহানাল্লাহ! যা আর মাত্র ৭ দিন পর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- দোজাহানে কামিয়াবী হাছিলে অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছের সাথে আসন্ন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ পালন করার জন্য এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৫ই শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সিবতু রসূল আল খমিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৪ঠা শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উক্ত দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাদেরকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনাদের মুবারক গোলামীতে যথাযথ আঞ্জাম দেয়া।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান পবিত্রতম বরকতময় ২রা শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া হলো ইহুদী-মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলমান সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, সমস্ত বিধর্মীদের বিশেষ করে ভারত ও ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। এদের সর্বপ্রকার পণ্যদ্রব্যগুলো বর্জন করা, বয়কট করা।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অতএব এ মাস হচ্ছেন- তওবা-ইস্তিগফারসহ খালিছভাবে ইবাদত-বন্দেগী করার মাস। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ পবিত্র মাসে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সর্বোচ্চ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা ও উনাদের গোলামী মুবারকের আঞ্জাম দেয়া এবং উনাদের উছীলা দিয়ে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফারসহ ইবাদত-বন্দেগী করা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)