ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৯৮)
, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবিক আমরা এসেছি আপনার কাছে সেই সুসংবাদ দেয়ার জন্য। আপনি বেগানা নারীর ওয়াস্ওয়াসা থেকে বেঁচে নিজের ঈমান হিফাযত করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে খুশি করেছেন। যার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে এ ফযীলত দিয়েছেন এবং আরেকটা নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে।
কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে? মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রত্যেক যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার একজন লক্ষ্যস্থল থাকেন। এ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল হচ্ছেন হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন আপনাকে জানানোর জন্য, এ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল হচ্ছেন, হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আপনি যেন উনার কাছে যেয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত, মা’রিফত শিক্ষা করেন। সেটা জানিয়ে দেয়ার জন্য আমরা এসেছি।
কথা যখন শেষ হয়ে গেল তখন উনার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখতে পেলেন, যে স্থানে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম এসেছিলেন, ফেরেশ্তারা এসেছিলেন সে স্থানটা ঘ্রাণময়, সুঘ্রাণময় হয়ে আছে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যে নির্দেশ দেয়া হলো, সে নির্দেশ পেয়ে তিনি সরাসরি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, ফজর নামায পড়ে রওয়ানা হলেন সেই মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফের দিকে। সেখানে গিয়ে তিনি পৌঁছলেন। একে একে তিনি তিন বৎসর সেখানে অবস্থান করলেন।
তিনি বর্ণনা করেন, আমি প্রথম গিয়ে সালাম দিলাম, হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমার সালামের জবাব দিয়ে চলে গেলেন, আর কোন কথা বললেন না। তিনি যে মসজিদে নামায পড়াতেন, অবস্থান করতেন আমি সেখানে অবস্থান করতে লাগলাম। এক বৎসর অতিবাহিত হলো।
এরপর আমাকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আমি বললাম, রয় প্রদেশ থেকে এসেছি। এতটুকু কথা শেষ হয়ে গেল। আরেক বৎসর অতিবাহিত হলো।
এরপর তিনি আমাকে বললেন, আপনি কেন এসেছেন? আমি বললাম, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত-মা’রিফত, ইসমে আ’যম যা রয়েছে, সেটা শেখার জন্য এসেছি। ’ এরপর আরো এক বৎসর অতিবাহিত হয়ে গেল।
অতঃপর তিন বৎসর যখন অতিবাহিত হয়ে গেল তখন হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (এর মধ্যে হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তা’লীম-তালক্বীন উনার মসজিদে চলতে থাকলো। তাতে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি অংশগ্রহণ করতে লাগলেন। ) একটা কৌটা দিয়ে অর্থাৎ কাঠের ছোট একটা কৌটা দিয়ে বললেন, এ কৌটাটা নিয়ে সামনে নদী রয়েছে, নদীর অপর পারে একজন বুযূর্গ রয়েছেন সেখানে পৌঁছে দিবেন।
হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, ‘আমি সেটা নিয়ে রওয়ানা হলাম। নদী পার হয়ে একটা জঙ্গল, মনে মনে চিন্তা করলাম, এ জঙ্গলের মধ্যে তো কেউ দেখবেনা, কৌটার মধ্যে মনে হচ্ছে কিছু নড়াচড়া করছে, সেটা কি নড়াচড়া করছে? সেটা দেখার জন্য তিনি উদগ্রীব হয়ে গেলেন। সেটা খুললেন, দেখা গেল খোলামাত্রই সেই কৌটা থেকে একটা ইঁদুর বের হয়ে এক লাফ দিয়ে জঙ্গলে পড়ে সেটা অদৃশ্য হয়ে গেল।
হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ফিকির করতে লাগলেন, কাজটা কি হলো? ইঁদুরটা চলে গেল, জঙ্গল থেকে তো ইঁদুর ধরা সম্ভব নয়। এখন আমি কি করব? মহান আল্লাহ পাক উনার যে ওলীর কাছে আমাকে পাঠানো হয়েছে, আমি কি উনার কাছে যাব? অথবা আমি ফিরে যাব? কোনটা?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খরচ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার ফায়সালা
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৫)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (১)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিজাতীয় বিধর্মী তথা ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়তে হারাম-নাজায়িয
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৬)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












