সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
, ২০ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
وَمَا ذَكَرَ مِنْ اَنَّهٗ لَا ظِلَّ تَشَخَّصَهٗ فِـىْ شَـمْسٍ وَلَا قَمَرٍ لِاَنَّهٗ كَانَ نُـوْرًا
অর্থ: “যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন- নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও প্রকাশ পেতেন না। কেননা তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (শিফা শরীফ ১/৩৬৮)
আশরাফ আলী থানবী দেওবন্দী তার ‘শুকরুন নিয়ামাহ্’ নামক কিতাবের ৩৯ পৃষ্ঠায় লিখেছে,
يه بات مشهور هى كه همارى حضور صلى الله عليه وسلم كى سايه نهين تها (اسلئى كه) همارى حضور صلى الله عليه وسلم سر تا پا نور هى نور تهى
অর্থ: “এই কথা প্রসিদ্ধ যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না। কেননা তিনি আপাদমস্তক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম।” সুবহানাল্লাহ!
রশীদ আহমদ গাংগুহী দেওবন্দী তার রচিত কিতাব ‘ইমদাদুস্ সুলূক’ এর ৮৬ পৃষ্ঠায় লিখেছে,
بتواتر ثابت شد كه ان حضرت صلى الله عليه وسلم سايه نداشتند ..... وظاهر است كه بجز نور همه اجسام ظل مى دارند
অর্থ: “একথা মুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না। প্রকাশ থাকে যে, নূরের দেহ ব্যতীত সকল দেহেরই ছায়া রয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক না থাকা উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত ইমাম আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মাহমূদ হাফিযুদ্দীন নাসাফী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৭১০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُثْمَانُ ذُو النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّ اللهَ مَا اَوْقَعَ ظِلَّكَ عَلَى الْاَرْضِ لِئَلَّا يَضَعَ اِنْسَانٌ قَدَمَهٗ عَلـٰى ذٰلِكَ الظِّلِّ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান ইবনে আফফান আলাইহিস সালাম) তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ছায়া মুবারক যমীনে পতিত করেননি এজন্য যে, যাতে কোনো মানুষ ঐ ছায়া মুবারক উনার উপর পা রাখতে না পারে।” সুবহানাল্লাহ! (মাদারিকুত তানযীল ২/৪৯২)
আল্লামা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وَقَالَ مَعْنَاهُ لِئَلَّا يَطَأُ عَلَيْهِ كَافِرٌ فَيَكُوْنُ مَذَلَّةً لَهٗ
অর্থ: “ইমাম হযরত হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক না থাকার হিকমত মুবারক এই যে, যাতে কোনো কাফির উনার ছায়া মুবারক উনার উপর পা রাখতে না পারে; কারণ এতে উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক উনার খেলাফ হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ২/৯০)
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদেরকে এবং সমস্ত কায়িনাতবাসী সবাইকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ্ ছামিনাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ মুবারক
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস্ সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আল হাদিয়্যাতুল ইলাহিয়্যাহ ফী সীরাতি হাবীব ওয়া মাহবূবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পর্ব- ৬৭)
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












