সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের অন্তরের অন্তস্থলের খবরও রাখেন এবং মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী মাখলুক্বাতের বিভিন্ন হাজত পূরণ করেন
, ২৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা রব্বুল আলামীন তথা সারা আলমের রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। (পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১)
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিজেকে রব্বুল আলামীন হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন। আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: আমি আপনাকে রহমতুল্লিল আলামীন তথা সারা আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে প্রেরণ করেছি। (পবিত্র সুরা আম্বিয়া শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১০৭)
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিজেকে রব্বুল আলামীন হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন। আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার রুবূবিয়াত যেমন বিস্তৃত, তেমনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রহমত মুবারক হিসেবেও বিস্তৃত। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
رَحْمَتِى وَسِعَتْ كُلَّ شَىْءٍ
অর্থ: আমার রহমত মুবারক সমস্ত কিছুকে বেষ্টন করে আছেন। (পবিত্র সুরা আ’রাফ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৫৬)
অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রহমতুল্লিল আলামীন। তিনি রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে সারা কায়িনাতকে বেষ্টন করে আছেন। যিনি কায়িনাতকে বেষ্টন করে আছেন, উনার নিকট সৃষ্টি জগত অতি মামুলী বিষয়। আর এ জন্যই বলা হয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেবল ছাহিবে ইলমে গইব ও হাযির-নাযিরই নন। বরং তিনি সকলের অন্তরের অন্তস্থলের খবরও রাখেন এবং মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী মাখলুক্বাতের বিভিন্ন হাজতও পূরণ করেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়ে অসংখ্য নক্বলী দলীল ও আক্বলী দলীল রয়েছে। অনুসরণীয় ও গ্রহণযোগ্য কিতাবসমূহে এ বিষয়ে অনেক ঘটনা মুবারক উল্লেখ রয়েছে।
দ্বাদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, ইমামুল হিন্দ, হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আদদুররুছ ছামীন ফী মুবাশ্শারাতিন নাবিয়্যিল আমীন’ কিতাবে উল্লেখ করেন-
اخبرنى والدى انه كان مريضا فراى النبى صلى الله عليه و سلم فى الـمنام فقال كيف حالك يابنى ثم بشره بالشفاء و اعطاه شعرتين من شعور لحيته فتعافى من المرض فى الحال و بقيت الشعرتان عنده فى اليقظيه فاعطانى احدهما فهى عندى
অর্থ: আমার মুহতারাম ওয়ালিদ (হযরত আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেন, একদা তিনি মারিদ্বী শানে সময় অতিবাহিত করেন। তখন তিনি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারক লাভ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, হে বৎস! আপনার কি অবস্থা? অতপর, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে সুস্থতার ব্যাপারে সুসংবাদ প্রদান করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নূরুন নিয়ামত তথা দাড়ি মুবারক হতে দু’খানা হাদিয়া মুবারক করেন। (উনার ঘুম ভেঙ্গে যায়) তিনি তৎক্ষণাৎ সুস্থতা অনুভব করেন। ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে হাদিয়াকৃত নূরুন নিয়ামত তথা দাড়ি মুবারক দু’খানা নিজের হিফাযতে দেখতে পান। (হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন) আমার মুহতারাম ওয়ালিদ আমাকে নূরুন নিয়ামত মুবারক হতে একখানা হাদিয়া করেন। যা আমার নিকট স্বযতেœ সংরক্ষিত আছে। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উম্মতের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত। তিনি উম্মতের যাবতীয় সমস্যা সমাধান তো করেন, এমনকি উম্মতকে বিভিন্ন নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ইমাদুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম এবং উনার নূর মুবারকই সর্বপ্রথম সৃষ্টি
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (১)
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ক্বমীছ বা জামা নিছফে সাক্ব পর্যন্ত প্রলম্বিত হওয়া সম্মানিত সুন্নত মুবারক
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (৮ম অংশ)
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরামগণ উনাদের মর্যাদা উম্মতের মাঝে সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম স্থানে
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক (১ম পর্ব)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা সর্বপ্রকার বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত হওয়ার মাধ্যম
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












