সুন্দরবনে ২২ বছরে ২৫ বার অগ্নিকা- সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহবাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন বিগত ২২ বছরে অন্তত ২৫ বার আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়েছে।
সর্বশেষ সাবতি (শনিবার) (০৪মে) বিকাল পৌনে তিন টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। আহাদ (রোববার) (০৫ মে) সকাল ৮ টায় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, বনরক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেছে বনরক্ষার কাজে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেছে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন নির্বাপণে আহাদ (রোববার) সকাল কাজ শুরু করা হয়েছে। অগ্নিকা-ের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এসিএফ চাঁদপাইকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা ধানসাগর ও স্টেশন কর্মকর্তা জিউধারাকে নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের ওই কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগুন নিভোনোর পর তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।
সুন্দরবনের অগ্নিকা-ের অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে বনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে। খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে কখনও আগুন লাগেনি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কটকায় একবার, একই রেঞ্জের নাংলী ও মান্দারবাড়িয়ায় দু’বার, ২০০৫ সালে পচাকোড়ালিয়া, ঘুটাবাড়িয়ার সুতার খাল এলাকায় দু’বার, ২০০৬ সালে তেড়াবেকা, আমুরবুনিয়া, খুরাবাড়িয়া, পচাকোড়ালিয়া ও ধানসাগর এলাকায় পাঁচবার, ২০০৭ সালে পচাকোড়ালিয়া, নাংলি ও ডুমুরিয়ায় তিনবার, ২০১০ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১১ সালে নাংলীতে দু’বার, ২০১৪ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১৬ সালে নাংলী, পচাকোড়ালিয়া ও তুলাতলায় তিনবার, ২০১৭ সালে মাদ্রাসারছিলায় একবার এবং ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগর এলাকায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ৩ মে (সোমবার) পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়দের প্রায় ৩০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ছুলাছা (মঙ্গলবার) (৪ মে) বিকেল ৫টায় আগুন নিভে যায়। পরবর্তী সময়ে আরবিয়া (বুধবার) (৫ মে) সকালে আগের অগ্নিকা-ের দক্ষিণ পাশে আবারও আগুন লাগে। সুন্দরবনের সবক’টি আগুনের ঘটনাই শুষ্ক মৌসুমে।
প্রতিবার আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বন বিভাগ। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব থেকে যায় ফাইলবন্দি।
সেই সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ৪০ কিলোমিটার খাল ও তিনটি পুকুর পুনঃখনন, আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগের জনবল বাড়ানো, বনরক্ষীদের টহল কার্যক্রম জোরদার, তিনটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের দড়ি দিয়ে বেড়া নির্মাণ, রিভার ফায়ার স্টেশন নির্মাণ ও বনসংলগ্ন ভরাট হয়ে যাওয়া ভোলা নদী খনন করা।
সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এ নিয়ে ২৫ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। বন বিভাগের হিসাবমতে, বিগত ২৪ বারের আগুনে ৭১ একর ৬৬ শতাংশ বনভূমির ক্ষতি হয়। এর আর্থিক মূল্য ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৩ টাকা।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ হিসেবে মৌয়ালীদের ব্যবহৃত আগুনের কু-লী, জেলেদের সিগারেট, দাবদাহ, অনাবৃষ্টি, খরা, বন অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের প্রতিশোধমূলক আচরণ, দুষ্কৃতকারীদের দিয়ে বনের মধ্যে আগুন ধরানোকে দায়ী করা হয়। আগুনের স্থায়িত্বের কারণ হিসেবে বিভিন্ন গাছের পাতার পুরু স্তরকেও দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
বন বিভাগের আগুন লাগলে তাত্ক্ষণিক সাড়া দেয়ার মতো যন্ত্রপাতি ও জনবল নেই। ফলে স্থানীয় ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পৌঁছতে আগুন বহুদূর ছড়িয়ে যায়। এতে বনে ক্ষতি হয় বেশি।
অগ্নিকা- থেকে সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখা এখন সময়ের দাবি।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছে, বলতে গেলে সম্প্রতি প্রায় প্রতিবছরই কম-বেশি সুন্দরবনে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। এতে পুড়ছে বন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণী। বনবিভাগ সুন্দরবনের অগ্নিকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। এমনকি আগুন নেভানোর জন্য বনবিভাগকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কোনো জনবল তৈরি করতে সক্ষম হয়নি। বন আইন বা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুন দেওয়ার বিরুদ্ধে আইনি বিধান থাকলেও বিগত বছর এসব আইনে তেমন কেউ সাজা পায়নি। সুন্দরবন একটি জাতীয় সম্পদ হলেও সরকার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্বের সাথে দেখছে না বলে অভিযোগ তোলেছে সে।
সরকারের কর্তাব্যক্তিরা একের পর এক সুন্দরবন কেন্দ্র করে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর ফলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের বন, জীববৈচিত্র্য ও নদীগুলো একে একে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।
যা কখনই কাম্য না। মূলত: সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে, সরকারকে এ চক্রান্ত থেকে বের হয়ে সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে।
সুন্দরবন মায়ের মতো প্রতিটি বড় বড় ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করছে। উপকূলের কোটি-কোটি মানুষকে নিরাপদ রাখতে ও তাদের জীবিকা নির্বাহে সুন্দরবন ব্যাপক ভূমিকা রাখে। অথচ বছরের পর বছর সেই সুন্দরবনই ভালো নেই। এর জন্য দায়ী আমরাই। ম্যানগ্রোভ এই বন জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী চোরা শিকারি, পানিবায়ুর পরিবর্তনে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ ও কাঠ পাচারকারীদের কারণে এখন অস্তিত্ব সংকটে।
সুন্দরবন দেশের মানুষের গর্ব, অহংকার। একে রক্ষা করার দায়িত্ব এদেশের মানুষেরই। ২৪ ঘণ্টায় ছয় বার প্রাকৃতিক রূপ বদলানো সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৫২ ভাগই এখন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ। এই বনের মোট আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগই হচ্ছে নীরাভূমি। বিশ্বের অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বনের তুলনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য অধিকতর সমৃদ্ধ। অথচ মানুষই সেই সম্পদ ধ্বংস করছে।
বন বিভাগ বলছে, পানিবায়ু পরিবর্তনের ফলেও বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবনে। সমুদ্রে পানির উচ্চতা বাড়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও পূর্ণিমা ও আমাবস্যার জোয়ারে সুন্দরবনের অনেক উঁচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীর ডিম। যাতে ব্যাহত হচ্ছে বণ্যপ্রাণীর বংশবিস্তার। উজান থেকে মিঠা পানির প্রবাহ না থাকায় মিঠা পানির স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে।
সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি রক্ষায় সুন্দরবন থেকে পর্যটকদের চাপ কমানো, আশপাশে শিল্প কারখানা নির্মাণ বন্ধ করা, অভয়ারণ্য এলাকায় বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং বণ্যপ্রাণী শিকারি, কাঠপাচারকারী ও বনে আগুন দিয়ে সম্পদ লুটকারীদের দমন করা প্রয়োজন বলেও জানায় বন বিভাগ।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ‘সুন্দরবন আমাদের সম্পদ। একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সুন্দরবন না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না, এই সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই। ম্যানগ্রোভ বেঁচে থাকলে, তা শক্তিশালী দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারবে ঘূর্ণিঝড়ের সামনে। এছাড়া পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই বনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ’
দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। এ বন কাঠের ওপর নির্ভরশীল শিল্পে কাঁচামাল জোগান দেয়। এছাড়া কাঠ, জ্বালানি ও ম-ের মতো প্রথাগত বনজ সম্পদের পাশাপাশি সুন্দরবন থেকে ঘর ছাওয়ার পাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া ও শামুক-ঝিনুক ব্যাপকভাবে আহরণ করা হয়। বৃক্ষপূর্ণ সুন্দরবনের ভূমি একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আবাসস্থল, পুষ্টি উৎপাদক, পানি বিশুদ্ধকারক, পলি সঞ্চয়কারী, ঝড় প্রতিরোধক, উপকূল স্থিতিকারী, শক্তি সম্পদের আধার এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রাকৃতিক প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুন্দরবন। সিডর, আইলা, ফণী, আম্ফান, বুলবুলসহ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ম্যানগ্রোভের প্রাচীর কতটা শক্তিশালী, তা সুন্দরবন বারবার জানান দিয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট আঘাত পেতে পেতে এখন সুন্দরবন নিজেই বিপদের মুখে পড়েছে। এজন্য দেশের স্বার্থেই সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়লে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জাতিসঙ্ঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে সুন্দরবনের জন্য ১০টি হুমকি চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, দূষণ, অবৈধ তৎপরতা ও পশুর নদের খননকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুন্দরবনের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য নদী ও খাল রয়েছে। এসব নদী-খাল দিনে দুবার জোয়ারের পানিতে ভরে যায়, আবার দুবারের ভাটায় পানি নেমে যায়। জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর পাড় ভাঙে আবার গড়ে। তবে গত ১০০ বছরে দেখা গেছে, ভাঙনই বেশি, যা আজও ঠেকানো যায়নি।
সুন্দরবনের আয়তন দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থা। কমে আসছে গাছগালা, লতাগুল্ম ও প্রাণী। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সুন্দরবন দুর্বলও হয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনের ওপর আর নির্যাতন নয়, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এই বন এক সময় হারিয়ে যাবে, সেইসঙ্গে হুমকিতে পড়বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব।
পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় আমাজন বনকে। আর বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয় সুন্দরবনকে। সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যা কিনা বিশ্বের বিস্ময়াবলির ঐতিহ্যের একটি অংশ। সুন্দরবন বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাজুড়ে বিস্তৃত। সুন্দবনের মোট আয়তন ১০,০০০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তার মধ্যে বাংলাদেশের অংশে পড়েছে প্রায় ৬২%-এর একটু বেশি।
জাতীয় স্বার্থেই সুন্দরবন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে এখনও টিকে আছে জর্ডানে বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ নামে এই রেলপথ হেজাজ রেলওয়ে পূণর্জ্জীবিত করলে এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে এক সূতায় বাধা সম্ভব সম্ভব মুসলিম বিশ্বের নিজস্ব বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমরনীতি সমৃদ্ধ করে নতুন সোনালী অধ্যায়ের সূচনা ইনশাআল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৯০ হাজার হরিণ থাকার কথা যে নিঝুম দ্বীপে প্রতিকূল পরিবেশে সে দ্বীপে এখন হরিণ সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার কিন্তু নারিকেল দ্বীপের কুকুর প্রেমীরা এক্ষেত্রে নির্বিকার ভয়াবহ বায়ু দূষণসহ নানা দূষণে ৩ কোটি লোকের ঢাকা বসবাসের জন্য চরম ঝুকিপূর্ণ কিন্তু তথাকথিত পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ! ওরা মূলত: পশু প্রেমী না শুধুই কুকুর প্রেমী, পরিবেশবাদী না শুধুই নারিকেল দ্বীপ ষড়যন্ত্রী!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশীদের টাকায় খেয়ে পড়ে বাঁচে যে কলকাতা তারাই দিলো- বাংলাদেশীদের চিকিৎসা না করার ভাওতাবাজি ঘোষণা গণমাধ্যমে এসেছে ও আসছে বাংলাদেশীরা না যাওয়ায় সব সেক্টরে ওদের মরনাপন্ন অবস্থা প্রতিবছর ভারতের মেডিক্যাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণার কবলে পড়ে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ওরা লুটে নেয় ১০ হাজার কোটি টাকা ভারতের দোসর সরকারের পতনের পর এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশের শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নমুখী। সার্টিফিকেট ও মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রতে পরিণত হচ্ছে শিক্ষা। কর্মমূখী ও বাস্তবিক শিক্ষার অভাবে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে না বাংলাদেশে। সরকারের উচিত, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারিকেল দ্বীপে মানুষের চেয়ে কুকুরের মর্যাদা বেশী দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। মানুষ না খেয়ে মরছে, শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে, চিকিৎসার অভাবে মানুষ মরছে, বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারসহ নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেদিকে নজর নেই, কার্যক্রম নেই, তৎপরতা নেই কিন্তু কুকুরের জন্য ৫০০০ ডিম ও চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জমাদী পাঠানো হচ্ছে
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঢাকা আর কত মারাত্মক দূষিত হলে ও বসবাসের অযোগ্য হলে এবং জনজীবন বিপর্যস্থ হলে বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা উঠবে? কাজ শুরু হবে? সেন্টমার্টিন নিয়ে এত হৈচৈ আর ৩ কোটি লোকের জনপদ ঢাকা নিয়ে রহস্যজনক নীরবতা!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)