সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দোয়া মুবারক করার পর মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি দোয়া মুবারক করেছেন তাই আমি অবশ্যই নাযিল করবো। আপনি যেহেতু দোয়া মুবারক করেছেন, তাই আমি অবশ্যই নাযিল করবো। তবে-
إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَن يَكْفُرْ بَعْدُ مِنكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لاَّ أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِّنَ الْعَالَمِينَ.
অর্থ : (মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,) নিশ্চয়ই আমি আপনার উম্মতের প্রতি খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিল করবো (সেই দিন তাদেরকে ঈদ পালন করতে হবে)। অতঃপর যে ব্যক্তি সে খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিলের দিনক বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوا اللهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِيْنَ.
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণ উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও। (সূরা তওবা শরীফ : আয়াত শরীফ ১১৯)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক করেন যে, তোমরা ছাদিক্বীন বা আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক পালন করা হচ্ছে বান্দার জন্য ফরয-ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭০. প্রসঙ্গ : প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ করা ফরয নয়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ নবীওয়ালা কাজ। এটা সকলের উপর ফরয। চিল্লা না দিলে ঈমান ঠিক হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ‘তাবলীগ’ অর্থ প্রচার করা। তাবলীগ দু’প্রকার- তাবলীগে আম ও তাবলীগে খাছ। তাবলীগে আম ফরযে কিফায়া আর তাবলীগে খাছ ফরযে আইন। তাবলীগে আম করবে মুবাল্লিগে খাছগণ, অর্থাৎ হক্কানী আলিম-উলামা বা পীর-মাশায়িখগণ উনারা। আর তাবলীগে খাছ মুবাল্লিগে আমের জন্যেই ফরয। অর্থাৎ প্রত্যেকের জন্যেই তার অধীনস্থদের মধ্যে তাবলীগ করা ফ বাকি অংশ পড়ুন...
সমাজে বহু লোক রয়েছে যারা অপরের শেকায়েত বা দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে বেড়ানোকে নিজেদের পেশায় পরিণত করে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত লোকেরা এই পেশায় লিপ্ত। এদের সম্মুখে রয়েছে একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থ। পরকালের কিছুমাত্র চিন্তা থাকলেও তারা এ কাজ করতে পারতো না।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَلْمِزُوا اَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ ۖ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِيـْمَانِ ۚ وَمَن لَّـمْ يَتُبْ فَاُولٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ ◌
অর্থ : তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ ঈমান বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর সে বলল, হে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি মনে করেছেন, আপনি এদিক দিয়ে আমার থেকে শ্রেষ্ঠ। আমি একজন মহিলা নিয়ে বসে আছি, রঙীন বোতল থেকে পানি পান করছি, শরাব পান করছি। মূলতঃ তা নয়, এটা শুদ্ধ নয়। এ বৃদ্ধ মহিলা আমার মা, তিনি হাঁটতে পারেন না। কিছুদূর পরপর উনার বিশ্রাম নিতে হয়, উনার পিপাসা লাগে এবং পানি পান করতে হয়। এই যে রঙীন বোতলটা এটা শরাব নয়, এটা পানি, খালেছ (বিশুদ্ধ) পানি, আমি উনাকে পানি পান করাই। কাজেই আপনি যে ধারণা করেছেন-
إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,“অধিকাংশ ধারণাই বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল:
(২২)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ مِنَ الْخُيَلَاءِ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ- قَالَتْ حَضْرَت اُمّ الْمؤْمِنِيْنَ سَيِّدَتُنَا السّادِسَة عَلَيْهَا السَّلَام يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بِذُيُولِهِنَّ؟ قَالَ تُرْخِينَهُ شِبْرًا. قَالَتْ إِذًا تَنْكَشِفَ أَقْدَامُهُنَّ؟ قَالَ تُرْخِينَهُ ذِرَاعًا لَا تَزِدْنَ عَلَيْهِ-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
১৬। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খিলাফ। উনার নিকট এসে কিছুদিন থাকার ইচ্ছা হলে পূর্বেই চিঠি-পত্রাদি বা অন্য কোনো মারফত অনুমতি নিয়ে আসা দরকার। চিঠি-পত্রাদি সরাসরি মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট না লিখে দরবার শরীফ উনার অন্য কারো নিকট লেখাই অধিক শিষ্টতা বা আদব।
১৭। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে কখনোই তর্ক-বিতর্ক করবেনা। উনার উপর নিজ ইচ্ছা চাপানোর চেষ্টা করবেনা বরং উনার ইচ্ছানুসারে কাজ করবে। উনার নিকট এমনভাবে থাকবে, যেমন গোসলদানক বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এখানে মুরীদ বা সালিকের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু আদব বর্ণনা করা হলো। বাকী আরো অনেক কিছু রয়েছে যা শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক উনার মাঝে এসে শিখে নিতে হবে।
১। সালিক বা মুরীদ সর্বদাই নিজ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করবে।
২। মনকে সকল দিক থেকে সরিয়ে শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দিকে নিয়োজিত রাখবে। যথাসম্ভব মাল ও জান দিয়ে উনার খিদমত করবে।
৩। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হুকুম ছাড়া উনার সামনে ফরয ও সুন্নত ব্যতীত কোনো নফল আমল করব বাকি অংশ পড়ুন...












