(ঘটনা-১)
সালমা বেগম (ছদ্মনাম) একজন পর্দানশীন নারী। কুরআন-সুন্নাহ মেনে পর্দা করেন বিধায় তিনি কখনও গাইরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাননি। শুধু তাই নয়, মুখম-লের ছবি তুললে সেটাও গাইরে মাহরামের কাছে যাবে বিধায় তিনি ছবি তুলেননি। আর ছবি না তোলার কারণে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডিও করতে পারেননি। কিন্তু এনআইডি না থাকায় তিনি প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যেমন-
- দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে তিনি টিসিবি থেকে পণ্য নিতে চান। কিন্তু এনআইডি না থাকায় তিনি টিসিবি থেকে পণ্য নিতে পারছেন না।
- বাসা ভাড়া নিতে গেলে বাড়িওয়ালাকে এনআইডি ক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ছারছিনা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক পত্রিকা ৬০ বর্ষ ১লা সংখ্যা ১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিষেধাজ্ঞা না মেনে নাফরমান হয়ে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে বেয়াদবীমূলক উক্ত বক্তব্যের শরঈ ফায়ছালা জানতে ইচ্ছুক।
জাওয়াব: (৪র্থ অংশ)
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রবীউছ ছানী শরীফ মাস সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে একটি ওয়াকেয়া লেখা হয়, কোন এক সরাইখানায় এক জহুরী অবস্থান করছিলো, তার কাছে ছিলো বহুমূল্যবান একটি মুক্তা। যা সে একটি কৌটার মধ্যে রেখে সর্বদা নিজের কাছে পকেটে রাখতো, একদিন সে তার প্রিয় ওই কৌটাটি বের করে সবাইকে দেখালো এবং বললো, এর ভিতর এক মূল্যবান পাথর আছে যার মূল্য বাদশাহর ধনাগারেও নেই। দর্শকদের মধ্যে এক চোরও ছিলো। সে ওই কৌটাটি চুরি করার জন্য মনস্থির করে নিলো। সে জহুরীর সাথে বন্ধুত্বের ভাব দেখালো এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলো, “আপনি এ সরাইখানা ত্যাগ করে কোথায় যাবেন?” জহুরী তার গন্তব্য স্থলের নাম বলার সাথে সাথে চোরও বললো “যাক ভালই বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৫. প্রসঙ্গ : কোনা ফাঁড়া কোর্তা সুন্নত নয়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব ধরনের অর্থাৎ গোল, কোণা বন্ধ, কোণা ফাঁড়া সব ধরনের কোর্তাই পরিধান করেছেন। তাই কোণা ফাঁড়া কোর্তাও সুন্নত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বহুবার প্রমাণ করা হয়েছে যে, বাতিলপন্থীদের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল। কারণ, তারা একটি দুর্বল প্রমাণও পেশ করতে পারবেনা যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি ওই দিন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন গোঁফ ছোট করার ও দাড়ি লম্বা করার। (দারহী কী শরয়ী হাইছিয়ত)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করে থাকো তবে আমাকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩১)
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করার মধ্যে শুধু যে পারলৌকিক কল্যাণ নিহিত তা নয় বরং তা কল্যাণকর ইহকালের নিমিত্তেও। কেননা উনার সুন্নত মুবারকের অনুসরণ একদিক থেকে যেমন সমস্ত বালা-মুছিবত ধ্বংসকারী অন্যদিক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
ক্বমীছ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো- কোর্তা, জামা, ক্বমীছ ইত্যাদি। আর ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ক্বমীছ বা কোর্তা হলো, যার গেরেবান আছে যা বন্ধ করার জন্য কাপড়ের গুটলী লাগানো হয় যা নিছফুস্ সাক্ব। অর্থাৎ হাটু ও পায়ের গিরার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত বিলম্বিত। গোল যা কোনা ফাঁড়া নয়, যার আস্তিন আছে, যা অতি সহজেই মানুষের সতর ও ইজ্জত আবরু ঢাকে। ক্বমীছ বা কোর্তা অধিকাংশ সময় সাদা রংয়ের হওয়াই খাছ সুন্নত।
অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া সকল সুন্নত সমূহকে পুনরায় জিন্দা করে জারি করার মহান উদ্দেশ্যে রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা স বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَبَّ نَبِيًّا فَاقْتُلُوْهُ وَمَنْ سَبَّ اَصْحَابِـىْ فَاضْرِبُوْهُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কোনো নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করবে, উনার মানহানি করবে, আপনারা তাকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ মৃ বাকি অংশ পড়ুন...












