মুনাফিকরা নিজেরা তো মহান আল্লাহ
পাক উনার রাস্তায়, এই জিহাদ মুবারকে কিছুই
দান করেনি; বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যাঁরা সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতেন- উনাদেরকে নিয়ে
তারা কটাক্ষ করতো, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করতো। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বিদ্রƒপ করে বলতো যে, ‘উনারা কি এই দু’চারটি খেজুর দান করে তথাকথিত বিশ্ব
শক্তি রোম সাম্রাজ্যকে পরাজিত করবেন! এমন অল্প কিছু দিয়েই কি উনারা বিশাল সাম্রাজ্য
জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছেন! নাঊযুবিল্লাহ!’
‘বুখারী শরীফ’-এ রয়েছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَـيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْـرًا
অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাতে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عن حضرت بهذ بن حكيم عن ابيه عن جده رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من استقبل العلماء فقد استقبلنى ومن زار العلماء فقد زارنى ومن جالس العماء فقد جالسنى ومن جالسنى فكانما جالس ربى وفى رواية اخرى من زار عالما فكانما زارنى ومن زارنى فكانما زار الله ومن زار الله فقد غفر له.
অর্থ: “হযরত বাহয ইবনে হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে, উনার পিতা উনার দাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি উলা বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, ১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনী আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে কিছু মুসলিম শিশু মিলে এক খ্রিষ্টান যাজককে হত্যা করেন। কারণ, সেই যাজক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানি করেছিলো। বিষয়টি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কাছে পেশ করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন,
فَوَاللهِ مَا فَرِحَ بِفَتْحٍ وَلَا غَنِيْمَةٍ كَفَرْحَتِهٖ بِقَتْلِ الْغِلْمَانِ لِذٰلِكَ الْاُسْقُفِ وَقَالَ اَلْاٰنَ عَزَّ الْاِسْلَامُ اَنَّ اَطْفَالًا صِغَارًا شُتِمَ نَبِيُّهُمْ فَغَضِبُوْا لَهٗ وَانْتَصَرُوْا فَاُهْدِرَ دَمُ الْاُسْقُفِ
“মহান বাকি অংশ পড়ুন...
‘ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্, দালাইলুন নুবুওওয়াহ্, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্, আল ইকতিফা, উয়ূনুল আছার, ইমতাউল আসমা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, তারীখুল খমীস, শারহুয যারক্বানী, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, জালালাইন, কাশ্শাফ, বায়যাবী, নাসাফী, দুররে মানছূর ইত্যাদি তাফসীরগ্রন্থসহ’ আরো অন্যান্য অনেক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, ‘একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জাদ্দ ইবনে ক্বাইসকে বলেন, ‘এই বছর কি বানূ আছফার অর্থাৎ রোম বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য বের হবে না?’ এ কথা শুনে জাদ্দ ইবন ক বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক:
তাই তো কবি যথার্থই বলেছেন-
مٹا دو اپنی ہستی کو اگر کچھ مرتبہ چاہو کہ دانہ بخاک ملکر گول گلزار ہوتا ہے
অর্থ: যদি সম্মান-মর্যাদা হাছিল করতে চাও তাহলে নিজের হাস্তী তথা অস্তিত্বকে বিলীন করে দাও। কেননা, শষ্য-দানা মাটির সাথে মিশে, অস্তিত্বকে বিলীন করার পরেই ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন যে, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগীর একটি বাহ্যিক রূপ আছে। আর একটি হাক্বীক্বত বা মৌলিক তথা প্রকৃত রূপ আছে। এ সব ইবাদত-বন্দেগীর হাক্বীক্বত বা প্রকৃত অবস্থাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু জাহির বাকি অংশ পড়ুন...
কোথা খিলাফত, কোথা হযরত ইমামুছ ছালিছী লহু?
কারবালার ওই আশিক দেখছি মেকি কান্নায় বহু।
কাট্টা কাফির ইয়াযীদ আমীর তাহার-ই পঙ্গপাল,
দ্বীন ইসলামী কর্তা সেজেই জুঝিতেছে ক্বীল-ক্বাল।
আহা! ইমামুছ ছালিছী ইশকে মাতাল লাখো জনতার ভীড়,
হায়! হাক্বীক্বী আশিক রহিছে আলীক্ব, সবে আজ অস্থির।
ওই কুফা চরিত্রে চরিত্রবান নামকাওয়াস্তে মুসলমান,
দেখি আহলে বাইতি স্বার্থের তরে মুখে মুখে কুরবান।
হায়! এলেই আঘাত প্রস্থান করে সুবিধাবাদীর দলে,
কাটলে বিপদ হৃদে গদ গদ, কারবালা শোক বলে।
মু’মিনী নিজাম রেখে অবিরাম ইয়াযিদী আস্তাকুঁড়ে,
শিয়ারা সাজছে কারবালা বীর মুজরি বাকি অংশ পড়ুন...
সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে যে,
وَتُعْرَفُ بِالْفَاضِحَةِ لِافْتِضَاحِ الْمُنَافِقِينَ فِيهَا
অর্থ: “তাবূক্বের সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মুনাফিক্বদের নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো বিধায়, এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক الفاضحة (আল ফাদ্বিহাহ্) নামে প্রসিদ্ধ। ” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪১৮, শারহুয যারক্বানী ২/৪০৪, ইমতা‘উল আসমা ৮/৩৯১, তারীখুল খমীস ২/১২২ ইত্যাদি)
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত তাবূক জিহাদ মুবা বাকি অংশ পড়ুন...












