বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
প্রথমে তিনি পবিত্র মদীনা শরীফের ইয়াহুদী বনু কায়নুকা বংশোদ্ভূত একজন ইয়াহুদী আলিম ছিলেন। উনার বংশধারা উপরের দিকে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে গিয়ে মিলিত হয়েছে। উনার পূর্ব নাম ছিলো আল-হুসাইন, পিতার নাম সালাম ইবনুল হারিছ। দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নাম মুবারক রাখলেন ‘আবদুল্লাহ’, উনার উপনাম আবু ইউসুফ ও আবুল হারিছ। ইসলাম গ্রহণের পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ৫ যিলহজ্জ শরীফের পর)
মহান মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি যা আদেশ করবেন তা নির্দ্বিধায় পালন করবে। এটাই মুরীদের জন্য কল্যাণকর। সে সম্পর্কে আরো একটি ওয়াকেয়া রয়েছে।
হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন মুরীদ ছিলেন। তিনি একাধারে একই স্থানে চল্লিশ দিন করে চল্লিশবার নির্জনে ইবাদত করেছিলেন। চল্লিশবার হজ্জ আদায় করেছিলেন। একাধারে চল্লিশ বছর সারা রাত ইবাদতে লিপ্ত ছিলেন। একবার উক্ত মুরীদ হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকটে আবেদন জানালেন, হুজুর! আমি আপনার নির্দেশ অনুযায়ী দীর্ঘ চল্লিশ বছর ইবাদত-বন্দেগী করলাম; কিন বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান আলাইহাস সালাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের উমাইয়া শাখার অন্তর্ভুক্ত। হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মেয়ের নাম, সেজন্য হযরত উম্মে হাবীবা আলাইহাস সালাম এই কুনিয়াত মুবারকেই তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। উনার প্রকৃত নাম মুবারক ছিল হযরত রমলা আলাইহাস সালাম। উনার পিতা হযরত আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কুরাঈশ নেতা ছিলেন।
হযরত আবু সুফিয়ান রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মুবারকে এতই মশগুল যে, জীবনের সার্বক্ষণিক সাথী, একান্ত বিশ্বস্ত, বিচক্ষণ ছাহাবী আলাইহিস সালাম উনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে গ্রহণ করেননি; তবে বলেছেন, ‘মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
بُعِثْتُ لِاُتِـمَّ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ.
অর্থ: “আমি সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলীসমূহকে, উত্তম গুণাবলীসমূহকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ! (‘উকূদুয্ যাবারজুদ লিস সুয়ূত্বী ২/৪৬৮)
কাজেই, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা অবশ্যই সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী হবে। সুবহানাল্লাহ!
যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتْ سُفْيَانُ الثَّوْرِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانَ حَضْرَتْ اَلْفُقَهَاءُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ يَقُوْلُوْنَ لَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ اِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ اِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ وَنِيَّةٌ اِلَّا بِنِيَّةِ مُوَافَقَةِ السُّنَّةِ.
অর্থ: “হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, কোনো কথা কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না ‘আমল করা ব্যতীত। কোনো কথা এবং ‘আমল কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না নিয়ত ব্যতীত। আর কোনো কথা, ‘আমল এবং নিয়ত কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না পবিত্র সুন বাকি অংশ পড়ুন...












