৮ম মাস হচ্ছে شعبان শা’বান: شعبان শব্দটিتشعب القبائل হতে উৎকলিত। شعبان অর্থ ছড়িয়ে পড়া। আরবরা এই মাসে নানা উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেন, এজন্যই এ মাসকে شعبان ‘শা’বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। شعبان শব্দের বহুবচন হচ্ছে شعابين ও شعبانات
৯ম মাস হচ্ছে رمضان রমাদ্বান: অর্থাৎ গ্রীষ্ম বা গরমের মাস। আরবদেশে এই মাসে অত্যধিক গরম পড়তো বলে এ মাসকে رمضان ‘রমাদ্বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। رمضت الفصال অর্থাৎ অতিশয় পিপাসার কারণে গবাদি পশুর বাছুর গরম হয়ে যাওয়া। رمضان শব্দের বহুবচন হচ্ছে رماضين- رمضانات ও ارمضة।
হযরত শায়েখ সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ত বাকি অংশ পড়ুন...
২য় মাস হচ্ছে صفر ‘ছফর’: অর্থাৎ শূন্য, খালী মাস। যেহেতু এ মাসে আরবগণ যুদ্ধ ও ছফরের উদ্দেশ্যে গৃহ ত্যাগ করতো এবং এ কারণে তাদের ঘর-বাড়ীগুলো খালী থাকতো, এজন্য এ মাসকে صفر ‘ছফর’ নামে অভিহিত করা হয়। যেমন: কোন ঘর খালি হলে বলা হয়- صفر الـمكان অর্থাৎ স্থানটি খালি হয়েছে। صفر শব্দের বহুবচন اصفار যেমন: جمل শব্দের বহুবচন اجمال।
৩য় মাস হচ্ছে ربيع الاول রবীউল আউওয়াল শরীফ’: অর্থাৎ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস।
৪র্থ মাস হচ্ছে ربيع الثانى ‘রবীউছ ছানী বা ربيع الاخر ‘রবীউল আখির’: অর্থাৎ বসন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। এ মাস দুটিতে যেহেতু আরবে বসন্ত কাল ছিলো, তাই এ মাস দুটির নামকরণ ربيع الاو বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকেই বছরে ১২টি চন্দ্রমাস নির্ধারণ করে রেখেছেন। যা পরবর্তীতে হিজরতের সাথে সংগতি রেখে হিজরী সন হিসেবে আখ্যায়িত হয়। হিজরী সন বা চন্দ্রবছরের বারটি চন্দ্রমাস উনাদের ধারাবাহিকতা, নাম ও নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার নিয়মানুযায়ী আসমানসমূহ ও যমী বাকি অংশ পড়ুন...
৫ম মাস হচ্ছে جمادى الاولى ‘জুমাদাল ঊলা’: অর্থাৎ বরফ জমার প্রথম মাস।
৬ষ্ঠ মাস হচ্ছে جمادى الاخرى ‘জুমাদাল উখরা’ বা جمادى الاخر ‘জুমাদাল আখির’:( جمادى الاخرة বা ‘জুমাদাল আখিরাহ): অর্থাৎ বরফ জমার দ্বিতীয় মাস। এ দুটি মাসে যেহেতু আরবে বরফ জমতো, এজন্য এ দুটি মাসকে ‘জুমাদাল ঊলা’ ও জুমাদাল উখরা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। جمادى ‘জুমাদা’ অর্থ বরফ জমার কাল।
হযরত শায়েখ ইলমুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: আগেকার দিনে আরবদের হিসাব অনুসারে বছরে চন্দ্রমাসগুলো ঘুরে আসতো না, বরং প্রতিটি মাস সর্বদা বছরের একই ঋতুতে স্থিত থাকতো।
আমি (গ্রন্থকার হযরত ইবনে ক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকেই বছরে ১২টি চন্দ্রমাস নির্ধারণ করে রেখেছেন। যা পরবর্তীতে হিজরতের সাথে সংগতি রেখে হিজরী সন হিসেবে আখ্যায়িত হয়। হিজরী সন বা চন্দ্রবছরের বারটি চন্দ্রমাস উনাদের ধারাবাহিকতা, নাম ও নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ ال বাকি অংশ পড়ুন...
বর্ষপঞ্জি বলতে বছর গণনা বা হিসাব করার একটি সুশৃঙ্খল তর্জ ত্বরীকাকে বুঝানো হয়। মূলতঃ বর্ষপঞ্জি হচ্ছে মাস, সপ্তাহ ও দিনে বিভক্ত একটি বছর ভিত্তিক সারণি; যেখানে দিন, সপ্তাহ, মাস ও বছর এককগুলো ব্যবহৃত হয়। বর্ষপঞ্জি প্রণয়নের ভিত্তি হলো মহাকাশবিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণলব্দ উপাত্ত। আর এই উপাত্ত দ্বারা সময়ের পরিক্রমাকে বছর, মাস ও দিনে বিভক্ত করা হয়। আবর্তনশীল জ্যোতিষ্কসমূহ পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য যাদের নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন ক্রমান্বয়ে দিন, মাস ও বছরের হিসাব সৃষ্টি করে। সৌরজগতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একে অপরের আবর্তনের ফলে আমরা দিন, মাস ও বছরের বাকি অংশ পড়ুন...












