ওযূর মুস্তাহাবসমূহ ও আদব:
আদব ও মুস্তাহাব সহকারে ওযূ করলে অধিক ছওয়াব ও ফযীলত মুবারক হাছিল হয়। না করলে কোনো গুনাহ নেই।
ওযূর আদবসমূহ হচ্ছে-
১. উঁচু জায়গায় বসে ওযূ করা, যাতে শরীরে অথবা কাপড়ে পানির ছিটা না লাগে।
২. ক্বিবলামুখী হয়ে বসা।
৩. ওযূর অঙ্গসমূহ ধৌত করতে কারো সাহায্য না নিয়ে নিজেই ধোয়া।
৪. ওযূ করার সময় দুনিয়াবী কথা না বলা।
৫. ওযূর নিয়ত মনে মনে এবং মুখে উচ্চারণ করা অর্থাৎ উভয়ভাবেই করা।
৬. ওযূর সময় যেসব দোয়া মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
ওযূর প্রকারভেদ
ওযূ তিন প্রকার- (১) ফরয, (২) ওয়াজিব, (৩) মুস্তাহাব।
ক) পবিত্র নামায উনার জন্য, পবিত্র জানাযা ও পবিত্র সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য ওযূ করা ফরয।
খ) পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফের জন্য ওযূ করা ওয়াজিব।
গ) ১. নিদ্রার পূর্বে, ২. নিদ্রা থেকে উঠে, ৩. মিথ্যা কথা বলার পর, ৪. কারো গীবত করার পর, ৫. মন্দ কবিতা আবৃত্তি করার পর, ৬. হাস্য-রসিকতার পর, ৭. ফরয গোসল সমাধা করার পর, ৮. নাপাক অবস্থায় খাওয়ার জন্য, ৯. পুনরায় আহলিয়ার সাথে একান্তে অবস্থান করার ইচ্ছা করলে, ১০. মুর্দাকে গোসল দেয়ার জন্য এবং ১১. একবার পবিত্র নামায আদায় করার পর দ্বিতীয়বার পবিত্র না বাকি অংশ পড়ুন...
বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পবিত্রতার অতীব গুরুত্ব রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلطُّهُوْرُ شَطْرُ الْإِيمَانِ
অর্থ: ‘পবিত্রতা অর্জন করা সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ।’ সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই সকল লোকদেরকে মুহব্বত করেন; যারা উনার কাছে বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করে, এবং যারা বেশি পাক-পবিত্র থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র ছলাত বা নামায মু’মিনদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ে’।
পবিত্র ছলাত বা নামায সম্মানিত শরীয়ত উনার একটি বুনিয়াদী ফরয ইবাদত। সুবহানাল্লাহ! যা ইহকালে গুনাহখতা ক্ষমা করার ও পরকালে জান্নাত অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার একটি অন্যতম মাধ্যম।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত পবিত্র ছল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা উপরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে মহাসম্মানিত খুতবা মুবারক দিতেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পর মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া। ” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
পবিত্র কালামুল্লাহ শ বাকি অংশ পড়ুন...












