বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আবু হামিদ মুহম্মদ বিন মুহাম্মদ আল গাজ্জালী সমগ্র দুনিয়াতে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ নামে অর্থাৎ ইসলামের নিশ্চিত দলীল নামে পরিচিত। তিনি ফিকহ, কালাম, দর্শন ও তাসাউফের মত বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ধারার সাথে সমালোচনা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّـهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِىِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهٗ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيْدُ زِيْنَةَ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ
অর্থ : ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, যারা সকাল-সন্ধ্যা তথা দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরা কাহফ শরীফ : আয়াত শরীফ ২৮)
এ আয়াত শরীফ উ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ صَعِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ على الْـمِنْبَرِ فَحَمِدَ الله تَعَالـٰى وَاَثْنٰـى عَلَيْهِ ثُـمَّ قَالَ مَالِـىَ اَرَاكُمْ تَـخْتَلِفُوْنَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ اَمَا عَلِمْتُمْ اَنَّ حُبِّـىْ وَحُبَّ اَهْل بَيْتِـىْ وَحُبَّ اَصْحَابِـىْ فَرَضَهُ اللهُ تَعَالـٰى عَلـٰى اُمَّتِـىْ اِلـٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার উপর তাশরীফ মুবারক রাখলে বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মাসিক পত্রিকায় হজ্জের অজুহাতে ছবি তোলাকে বৈধ বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দলীল হিসেবে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ ১৭৩, পবিত্র সূরা আনআম শরীফ ১১৯ ও ১৪৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, তীব্র প্রয়োজন হারাম বস্তুকে সাময়িক হালাল করে দেয়। তাই হজ্জের ফরয আদায় করতে হারাম ছবি তোলা সাময়িক বৈধতা পাবে। নাউযুবিল্লাহ! এ বিষয়ে সঠিক জাওয়াব কি?
জাওয়াব:
একইভাবে পবিত্র সূরা আনআম শরীফ উনার ১৪৫ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قُلْ لَّا أَجِدُ فِيْ مَاۤ اُوحِيَ اِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلٰى طَاعِمٍ يَطْعَمُهٗ إِلَّاۤ اَنْ يَّكُوْنَ مَيْـتَةً اَوْ دَمًا مَّسْفُوْحًا বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ক্বওমী মাদরাসার মুখপত্রের জুমাদাল উখরা ১৪৪৬ হিজরী সংখ্যায় এক সুওয়ালের জাওয়াবে বলা হয়েছে, কদমবুছি নিষেধ হওয়ার পক্ষে শরীয়তে কোন নস তথা প্রমাণ নেই। তবে সেজদার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেনো না হয়ে যায় সেজন্য সতর্কতা হলো- কদমবুছি থেকে বিরত থাকা।
জাওয়াব (১ম অংশ):
কওমী মাদরাসার মুফতীদের উক্ত জাওয়াব স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল মুবারকের খিলাফ বা বির বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে ইবনে কাছীরের” ৮ম খ-, ৩-৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
قَالَ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ فِى قَوْلِهٖ تَعَالٰى وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ....... قَالَ هُوَ وَاللهِ اَلْغِنَاءُ ....... وَكَذَا قَالَ اِبْنُ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَعِكْرَمَةَ وَسَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَمُجَاهِدٍ وَمَكْحُوْلٍ وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ وَعَلِىِّ بْنِ بُذَيْمَةَ وَقَالَ حَسَنُ الْبَصْرِىِّ نَزَلَتْ هٰذِهِ الْاٰيَةُ فِى الْغِنَاءِ وَالْمَزَامِيْرِ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি لَهْوَ الْحَدِيثِ -এর ব্যখ্যায় বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! لَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা ছহীহ সনদেই বর্ণিত রয়েছে-
وَرُوِىَ عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّى قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকায়াত নামায পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রায্যাক ৩/২৪৭; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৪৬৩ এবং ২/১৩১, শরহুস সুন্নাহ ৩/৪৫০, উমদাতুল ক্বারী ১১/৪০৯, তুহফাতুল আহওয়াজী ২/৬২, শরহু আবী দাঊদ লিল আইনী ৪/৪৭১, আওনুল মা’বূদ ৩/৪৭৭, মুখতাছারুল আহকাম ৩/৪৩ বাকি অংশ পড়ুন...
- Pre
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- 7
- 8
- 9
- 10
- 11
- 12
- 13
- 14
- 15
- 16
- 17
- 18
- 19
- 20
- 21
- 22
- 23
- 24
- 25
- 26
- 27
- 28
- 29
- 30
- 31
- 32
- 33
- 34
- 35
- 36
- 37
- 38
- 39
- 40
- 41
- 42
- 43
- 44
- 45
- 46
- 47
- 48
- 49
- 50
- 51
- 52
- 53
- 54
- 55
- 56
- 57
- 58
- 59
- 60
- 61
- 62
- 63
- 64
- 65
- 66
- 67
- 68
- 69
- 70
- 71
- 72
- 73
- 74
- 75
- 76
- 77
- 78
- 79
- 80
- 81
- 82
- 83
- 84
- 85
- 86
- 87
- 88
- 89
- 90
- 91
- 92
- 93
- 94
- 95
- 96
- 97
- 98
- 99
- 100
- 101
- 102
- 103
- 104
- 105
- 106
- 107
- 108
- 109
- 110
- 111
- 112
- 113
- Next












