নিম্নে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং সম্মানিত ইজমা’ শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে দলীলভিত্তিক বিস্তারিত জাওয়াব প্রদান করা হলো-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ
(১)
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْنًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ إبْرَاهِيمَ النَّخَعِيّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ১/৪৬৩, শরহে আবূ দাঊদ লিল আইনি ৪/৪৭১, ত্বরহুত তাছরীব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
উক্ত কিতাবে পবিত্র জুমু‘আর নামাযসমূহের বর্ণনা এভাবে দেয়া হয়েছে,
اَنْ يُّصَلِّىَ اَلسُّنَّةَ أَرْبَعًا ثُمَّ الْجُمُعَةَ ثُمَّ يَنْوِىْ أَرْبَعًا سُنَّةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يُصَلِّىَ الظُّهْرَ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سُنَّةَ الْوَقْتِ فَهٰذَا هُوَ الصَّحِيْحُ الْمُخْتَارُ
অর্থ: “প্রথমে (ছলাতুল জুমুআহ আদায়ের পূর্বে) ৪ রাকাত সুন্নাত পড়তে হবে। এরপর পবিত্র ছলাতুল জুমু‘আহ শরীফ আদায় করতে হবে। তারপর ৪ রাকাত সুন্নাতুল জুমু‘আহ অর্থাৎ বা’দাল জুমু‘আহর নিয়্যত করবে, অতঃপর আখেরী যোহর আদায় করবে (এটা মুস্তাহাব, সব স্থানে আদায় করতে হয়না), সর্বশেষ ২ র বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
মসজিদের ভিতরে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তসম্মত ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (১ম অংশ)
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে মসজিদের ভিতরে বা মসজিদের বাহিরে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার সঠিক ফায়ছালা হচ্ছে, মসজিদের ভিতরে হোক অথবা বাহিরে হোক, দাঁড়াতে সক্ষম হোক অথবা দাঁড়াতে অক্ষম হোক, প্রত্যেক অবস্থাতেই চেয়ার, টেবিল, টুল, বেঞ্চ অথবা অনুরূপ (পা ঝুলে থাকে এমন) কোন আসনে বসে নামায আদায় করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ এবং নামায বাতিল হওয়ার কারণ। এ ফতও বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল মুবারক:
যেমন বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِسَلَامٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে ৪ রাকায়াত নামায পড়তেন। মাঝে পৃথক হতেন না অর্থাৎ এক সালামে ৪ রাকায়াত পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরহু মা‘য়ানিইল আছার ১/৩৩৫, ত্বহাবী শরীফ)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وروى حَضْرَتْ ا বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ صَعِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ على الْـمِنْبَرِ فَحَمِدَ الله تَعَالـٰى وَاَثْنٰـى عَلَيْهِ ثُـمَّ قَالَ مَالِـىَ اَرَاكُمْ تَـخْتَلِفُوْنَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ اَمَا عَلِمْتُمْ اَنَّ حُبِّـىْ وَحُبَّ اَهْل بَيْتِـىْ وَحُبَّ اَصْحَابِـىْ فَرَضَهُ اللهُ تَعَالـٰى عَلـٰى اُمَّتِـىْ اِلـٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার উপর তাশরীফ মুবারক রাখলে বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা ছহীহ সনদেই বর্ণিত রয়েছে-
وَرُوِىَ عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّى قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকায়াত নামায পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রায্যাক ৩/২৪৭; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৪৬৩ এবং ২/১৩১, শরহুস সুন্নাহ ৩/৪৫০, উমদাতুল ক্বারী ১১/৪০৯, তুহফাতুল আহওয়াজী ২/৬২, শরহু আবী দাঊদ লিল আইনী ৪/৪৭১, আওনুল মা’বূদ ৩/৪৭৭, মুখতাছারুল আহকাম ৩/৪৩ বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। কেননা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং উনাকে দেখে দেখে আমল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একারণেই উনাদেরকে বানানো হয়েছে সত্যের মাপকাঠি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا اٰمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনতে পারো, তাহলে তো বাকি অংশ পড়ুন...
একাধিক হাদীছ শরীফ বিশারদগণ উনারা ‘আল ফাওয়াইদ’ কিতাবের উদ্ধৃতিতে এই হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন এবং সনদ নির্ভরযোগ্য বলেছেন। যেমন- হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আশ শামায়িলুশ শরীফাহ’ কিতাবে উল্লেখ করেন-
وَاقْتصر عَلَيْهِ مَعَ وُرُوده من طَرِيق مَقْبُول فقد رَوَاهُ الخلعي رحمة الله عليه فِي فَوَائده من حَدِيث سيدنا حضرت كرم الله وَجهه عليه السلام قَالَ الْحَافِظ الزين الْعِرَاقِيّ رحمة الله عليه وَإِسْنَاده جيد
অর্থ: “এ কথার উপরই সন্তুষ্ট থাকা উচিত যখন এই হাদীছ শরীফখানা আরেকটি গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেটা ইমাম খিলা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আল ফাওয়াই বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলে আসা প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজনস্বীকৃত একটি ইবাদত হচ্ছে, পবিত্র ছলাতুল জুমুআহ উনার পূর্বের ৪ রাকাত নামায যা ‘ক্বাবলাল জুমুআহ’ নামে পরিচিত এবং পবিত্র ছলাতুল জুমুআহ শরীফ উনার পরে ৪ রাকাত নামায যা বা’দাল জুমুআহ্ নামে পরিচিত। আর পবিত্র বা’দাল জুমুআহ্ শরীফ উনার পর আরো ২ রাকাত নামায আদায় করতে হয়, যাকে সুন্নাতুল ওয়াক্ত বলা হয়। উল্লেখিত প্রত্যেকটা নামাযই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
কিন বাকি অংশ পড়ুন...
৩ নং হাদীছ শরীফ:
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اَرْبَعًا وَبَعْدَهَا اَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ
অর্থ: “রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (পবিত্র জুমুয়ার দিন) পবিত্র ছলাতুল জুমুয়াহ আদায় করার পূর্বে পৃথক না হয়ে অর্থাৎ এক সালামে চার রাকায়াত ছলাত আদায় করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ১০/২৭৬, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ২/২৩০, হাদ বাকি অংশ পড়ুন...












